সন্ত্রাসবাদ নিয়ে ফের পাকিস্তানকে তুলোধনা করল ভারত। রাষ্ট্রপুঞ্জের বার্ষিক সাধারণ সভায় ভারতের প্রতিনিধি স্নেহা দুবে কড়া ভাষায় ইমরান সরকারের সমালোচনা করেন। কাশ্মীর প্রসঙ্গে পাকিস্তানের নাক গলানো নিয়েও অভিযোগ করেছেন তিনি।
রাষ্ট্রপুঞ্জে পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের বক্তৃতার পরেই স্নেহা তাঁর বিরোধিতায় বলেন, ‘‘যে সব জঙ্গি সংগঠনগুলিকে রাষ্ট্রপুঞ্জ নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে তার মধ্যে সব থেকে বেশি সংগঠন পাকিস্তানের মাটি থেকেই নাশকতা চালায়। এই রেকর্ড তাদের দখলেই রয়েছে। ওসামা বিন লাদেনকে তারা আশ্রয় দিয়েছিল। পাক সরকার তাঁকে শহিদের মর্যাদাও দিয়েছে। তাই শান্তির বার্তা পাক প্রধানমন্ত্রীর মুখে মানায় না।’’
শুক্রবার রাষ্ট্রসংঘে কাশ্মীর প্রসঙ্গ তুলে ধরেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। জম্মু ও কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা রদ হওয়া থেকে কাশ্মীরের ‘পাকপন্থী’ বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতা সৈয়দ আলি শাহ গিলানির মৃত্যু নিয়েও সরব হন তিনি। তারপরই, রাষ্ট্রসংঘে জবাব দেওয়ার অধিকার প্রয়োগ করে পাকিস্তানকে তুলোধোনা করেন ভারতের ফার্স্ট সেক্রেটারি স্নেহা দুবে। স্পষ্ট ভাষায় তিনি জানিয়ে দেন যে, জম্মু-কাশ্মীর ও লাদাখ ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয়। এনিয়ে কোনও আলোচনা কাম্য নয়।
ভারতের প্রতিনিধি স্নেহা বলেন, “এর আগেও আন্তর্জাতিক মঞ্চটিকে ব্যবহার করে ভারতের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালিয়েছে পাকিস্তান। এটা খুবই দুর্ভাগ্যের বিষয়। আজ পাকিস্তানে হিন্দু, শিখ, জৈন সংখ্যালঘু সম্প্রদায় নিপীড়িত। কিন্তু ভারত একটি বহুমাত্রিক গণতান্ত্রিক দেশ। এদেশের সংখ্যালঘু সম্প্রদায় থেকে প্রেসিডেন্ট তথা প্রধানমন্ত্রী পদেও বসার নজির রয়েছে।”
জঙ্গি কার্যকলাপ থেকে সবার দৃষ্টি অন্য দিকে সরানোর জন্যই পাকিস্তান বার বার কাশ্মীর প্রসঙ্গ নিয়ে আসে বলেও দাবি করেছেন স্নেহা। তিনি বলেন, ‘‘দুর্ভাগ্যজনক ভাবে বার বার বিশ্বের সামনে ভারত নিয়ে পাকিস্তান মিথ্যে অপবাদ দেওয়ার চেষ্টা করছে। যাতে বিশ্বের নজর অন্য দিকে ঘোরানো যায় এবং তার সুযোগ নিয়ে পাকিস্তানে থাকা জঙ্গিরা বিভিন্ন দেশে নাশকতা চালাতে পারে সেই চেষ্টা করছে তারা। কিন্তু গোটা বিশ্ব জানে সন্ত্রাসবাদে মদত দেয় পাকিস্তান।’’