শ্রীনগর থেকে সংযুক্ত আরব আমিরশাহির শারজায় যেতে গেলে তাদের আকাশসীমা ব্যবহার করতে পারবে না ভারত। বুধবার স্পষ্ট জানিয়ে দিল পাকিস্তান। আর এই ঘোষণার ফলে দুই শহরের মধ্যে বিমান পরিষেবা কিছুটা প্রভাবিত হবে বলে মনে করা হচ্ছে।
১১ বছর পর গত ২৩ অক্টোবর কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের হাত ধরে শ্রীনগর-শারজা রুটে বিমান পরিষেবা চালু হয়। শ্রীনগরের সঙ্গে দীর্ঘ ১১ বছর পর সংযুক্ত আরব আমিশাহির সরাসরি বিমান পরিষেবা চালু হয়েছিল। ইমরান খান প্রশাসনের এই সিদ্ধান্তের জেরে ধাক্কা খেল এই পরিষেবা। কারণ, পাকিস্তানের আকাশসীমা ব্যবহার না করতে পারলে এই রুটের বিমানগুলিকে উদয়পুর, আহমেদাবাদ, ওমান ঘুরে শারজায় পৌঁছতেই হবে। ফলে একদিকে যেমন যাত্রাপথের সময়সীমা একঘণ্টা বেড়ে যাবে তেমনই বাড়বে খরচও। স্বাভাবিকভাবেই এই রুটের বিমানের চাহিদা কমবে।
শ্রীনগর-শারজা রুটের পুনরজ্জীবনের দিনই পাকিস্তানের মনোভাব নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন কাশ্মীরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লাহ। টুইটারে তিনি প্রশ্ন তুলেছিলেন, ‘পাকিস্তান কি মন বদলেছে? শ্রীনগর থেকে শারজাগামী বিমানের জন্য পাকিস্তানের আকাশসীমা ব্যবহারে অনুমতি দিয়েছে ইসলামাবাদ? যদি সেই অনুমতি না দেয়, তাহলে এই রুটের ভবিষ্যৎও হবে ইউপিএ-২ আমলের শ্রীনগর-দুবাইয় বিমানের মতো। অকালেই মৃত্যু হবে এই রুটের।’ তাঁর সেই আশংকায় সত্যি হল শেষ পর্যন্ত।
Very unfortunate. Pakistan did the same thing with the Air India Express flight from Srinagar to Dubai in 2009-2010. I had hoped that @GoFirstairways being permitted to overfly Pak airspace was indicative of a thaw in relations but alas that wasn’t to be. https://t.co/WhXzLbftxf
— Omar Abdullah (@OmarAbdullah) November 3, 2021
২০১৯-এ বালাকোটে সার্জিকাল স্ট্রাইকের পরেও ভারতকে তাদের আকাশসীমা ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল পাকিস্তান। আমেরিকা এবং ইউরোপে এয়ার ইন্ডিয়ার দূরপাল্লার বিমান পরিষেবা প্রভাবিত হয়। ফলে গুজরাত হয়ে ঘুরপথে পশ্চিমের দেশগুলিতে যেতে হচ্ছিল বিমানগুলিকে। যার জেরে জ্বালানি খরচ এবং বিমান ভাড়ার উপর বিপুল প্রভাব পড়েছিল।
২০১৯-এ মোদীর জার্মানি সফরের সময়ও পাকিস্তান বলেছিল তাদের আকাশসীমা ব্যবহার করতে পারবে না ভারত। সে সময় পাকিস্তানের বিদেশমন্ত্রী বলেছিলেন, “কাশ্মীরের পরিস্থিতি পর্যালোচনা করেই আমরা এই সিদ্ধান্ত নিয়েছি।” ওই বছরই ভারতের রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের আইসল্যান্ড সফরের সময়ও পাকিস্তান তাদের আকাশসীমা ব্যবহার করতে দেয়নি। কিন্তু পাক প্রধানমন্ত্রী যখন শ্রীলঙ্কা সফরে গিয়েছিলেন এ বছরের ফেব্রুয়ারিতে, তখন তিনি ভারতের আকাশসীমা ব্যবহার করেছিলেন। আর সে ক্ষেত্রে কিন্তু কোনও আপত্তি জানায়নি ভারত।