Pakistan: Pak Vote Count Ends, Imran Khan Has Lead, Nawaz Sharif Army's Backing

Pakistan: গণনা শেষ, জনমত ইমরানের পক্ষে হলেও পাক সেনার পছন্দ নওয়াজকেই

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest

ভোটগ্রহণ পর্ব শেষ হয়েছিল বৃহস্পতিবার স্থানীয় সময় বিকেল ৫টায়। প্রায় ৬০ ঘণ্টা পরে রবিবার দুপুরে পাকিস্তানে ভোটগণনা শেষ হওয়ার কথা জানাল সে দেশের নির্বাচন কমিশন। ভোটগণনা শেষ হলেও কে বা কারা পাকিস্তানের পরবর্তী সরকারের নেতৃত্ব দিতে চলেছেন, তা এখনও স্পষ্ট নয়। কারণ পাকিস্তানের ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলির ২৬৪টি আসনে গণনা শেষ হয়ে গেলেও কোনও দলই একক ভাবে ‘জাদুসংখ্যা’ ছুঁতে পারেনি। ত্রিশঙ্কু ফলাফল হওয়ায় জোট সরকারই ক্ষমতায় আসতে চলছে বলে মনে করা হচ্ছে। অবশ্য পাকিস্তানের চারটি প্রাদেশিক নির্বাচনের ভোটগণনা এখনও চলছে। এখনও পর্যন্ত যে প্রাথমিক ফল জানা গিয়েছে, তাতে পঞ্জাব প্রদেশে এগিয়ে রয়েছে নওয়াজের দল। খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশে এগিয়ে ইমরানের দল। সিন্ধ প্রদেশে নিজেদের গড় ধরে রাখার ইঙ্গিত দিয়েছে বিলাবলের পিপিপি। আর বালুচিস্তান প্রদেশে জোর লড়াই চলছে পিপিপি এবং পিএমএল-এনের মধ্যে।

ইতিমধ্যে নির্বাচন কমিশনের ওয়েবসাইটে ফল ঘোষিত হয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে, জেলবন্দি প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের (Imran Khan) দল পিটিআই (PTI) সমর্থিত নির্দল প্রার্থীরা সর্বোচ্চ ১০১টি আসন জিতেছেন। ২৬৫টি আসনের সংসদে ম্যাজিক ফিগার ১৩৩।অন্যদিকে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফের (Nawaz Sharif) পিএমএল-এন ৭৩টি আসনে জয়লাভ করেছে। বিলাবল ভুট্টোর দল পিপিপি ৫৪টি আসনে জিতেছে। শরিফ-ভুট্টো জোট হলেও ৬ আসন কম পড়ছে। এই অবস্থায় পুনর্নির্বাচনের ফল এবং অন্যান্যদের (৩৩) উপর নির্ভর করছে গদি দখল। কমিশন সূত্রে জানা গিয়েছে, রিগিংয়ের অভিযোগের ভিত্তিতে ১৫ ফেব্রুয়ারি ৪০টি আসনে পুনর্নির্বাচন হবে। তবে এই আসন যদি কোনও একটি দলের পক্ষে যায়, তা হলেও একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাওয়া মুশকিল।

এই আবহে আরও এক বার বিলাবলের পিপিপি-র সঙ্গে হাত মিলিয়ে সরকার গড়ার কথা জানিয়েছেন নওয়াজ। মাঝে শোনা গিয়েছিল বিলাবলের পিতা আসিফ আলি জারদারির সঙ্গে বৈঠক হয়েছে নওয়াজের। কিন্তু এমন কোনও বৈঠকের কথা তিনি জানেন না বলে দাবি করেছেন বিলাবল নিজেই। তবে পাকিস্তানের রাজনৈতিক শিবিরের বড় অংশ মনে করছেন, ইসলামাবাদের কুর্সিতে কে বসবেন, শেষমেশ তা ঠিক করবে পাক সেনাই, আরও স্পষ্ট করে বললে সেনাপ্রধান আসিম মুনির।

অতীতে দু’বার সেনার ‘হাতযশে’ ক্ষমতা খোয়ানো নওয়াজই এ বার ‘সেনার বাজি’ বলে জল্পনা। আপাত ভাবে মনে করা হয়েছিল, নির্বিঘ্নেই জয় হাসিল করবেন নওয়াজ। কার্যক্ষেত্রে তা হয়নি। বরং দলীয় প্রতীক না পেয়ে নির্দল হয়ে লড়েই চমক দেখান ইমরানের দলের ‘নির্দলেরা’।

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest