Site icon The News Nest

‘পাকিস্তানের পরমাণু বোমার জনক’ আব্দুল কাদের খান প্রয়াত, বিজ্ঞান মহলে শোকের ছায়া

abdul khan

পাকিস্তানের (Pakistan) পারমাণবিক প্রকল্পের জনক আব্দুল কাদের খান প্রয়াত। রবিবার সকালে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছে ৮৫ বছর। তাঁর মৃত্যুতে শোকস্তব্ধ বিজ্ঞানী মহল।

পাকিস্তানের জনপ্রিয় পরমাণু বিজ্ঞানী ছিলেন আব্দুল কাদের খান। পারমাণবিক বোমা প্রকল্পের জন্য এইচইইউ ভিত্তিক গ্যাস-সেন্ট্রিফিউস ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধিকরণ প্রোগ্রামের প্রতিষ্ঠাতা তিনিই। পাকিস্তানের সংবাদ মাধ্যম, ডনের খবরে বলা হয়েছে, গত ২৬ আগস্ট করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছিলেন ড. আবদুল কাদির খান। এরপর তিনি রিসার্চ ল্যাবরেটরিজ হাসপাতালে ভর্তি হন। পরে তাকে রাওয়ালপিন্ডির সামরিক হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। সেখান থেকে সুস্থ হয়ে ১১ সেপ্টেম্বর ঘরে ফিরেন তিনি।  এদিন ভোরেই হঠাৎ শ্বাসকষ্ট শুরু হয় খানের। তাঁকে সঙ্গে সঙ্গে হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। সেখানেই চিকিৎসা চলাকালীন তাঁর মৃত্যু হয়েছে। এই মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন পাক মন্ত্রী এবং বিশিষ্ট জনেরা। রবিবার সকাল ৭টা নাগাদ ইসলামাবাদের এক হাসপাতালে তাঁর মৃত্যু হয়েছে।

আবদুল কাদির খানের মৃত্যুতে শোক জ্ঞাপন করেছেন পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী পারভেজ খাত্তাক। তাঁর মৃত্যুকে পাকিস্তানের জন্য অপূরণীয় ক্ষতি বলে অভিহিত করেন তিনি। প্রসঙ্গত, ভারতের মধ্যপ্রদেশের ভোপালে ১৯৩৬ সালে জন্মগ্রহণ করেন আবদুল কাদির। পরে দেশভাগের  সময় ১৯৪৭ সালে পরিবারের সঙ্গে তিনি পাকিস্তানে চলে যান।

করাচি থেকে উচ্চশিক্ষা লাভ করার পর পশ্চিম বার্লিন এবং নেদারল্যান্ডসেও পড়াশোনা করেন। পরে বেলজিয়াম থেকে তিনি ডক্টোরেট উপাধি লাভ করেন। আবদুল কাদির ইউরেনিয়াম সেন্ট্রিফিগের মাধ্যমে পরমাণু অস্ত্র তৈরির ক্ষেত্রে বড় অবদান রেখেছিলেন পাকিস্তানের জন্য। পরে অবশ্য তিনি ইরান, উত্তর কোরিয়া এবং লিবিয়াকে পরমাণু অস্ত্রের ফর্মুলা বিক্রি করে গৃহবন্দি হয়েছিলেন। ২০০৪ সালে তাঁকে গৃহবন্দি করা হয়েছিল। ২০০৯ সালে তাঁকে মুক্তি দেওয়া হয়েছিল। পাকিস্তানের পারমাণবিক গবেষণায় আব্দুল কাদের খানের অবদান অনস্বীকার্য।

 

Exit mobile version