World Poetry Day 2020: করোনা আতঙ্ক ভুলিয়ে দিল কবিতার দিন

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest

ওয়েব ডেস্ক: আজ ‘বিশ্ব কবিতা দিবস’। বিশ্বের আনাচে কানাচে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কবি ও কবিতা পাঠকদের দিন আজ। ১৯৯৯ সালে ২১ মার্চকে ইউনেস্কো বিশ্ব কবিতা দিবস হিসেবে ঘোষণা করে। দিবস পালনের উদ্দেশ্য হল বিশ্বব্যাপী কবিতা পাঠ, রচনা, প্রকাশনা ও শিক্ষাকে উৎসাহিত করা। ইউনেস্কোর অধিবেশনে এই দিবস ঘোষণা করার সময় বলা হয়েছিল, ‘এই দিবস বিভিন্ন জাতীয়, আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক কবিতা আন্দোলনগুলোকে নতুন করে স্বীকৃতি ও গতি দান করবে।’

image 116737

কবিতা যেমন মন ছুঁয়ে যায় ছড়াও তেমন। এমন বহু কবিতা আছে যা ভোলা যায় না জীবনভর। আসলে কবিতা এবং ছড়া হল হৃদয়ের অনুভূতির শব্দে প্রকাশিত রূপ, সে কারণে তা এমন করে হৃদয়ে সারা জাগায়।শৈশবের ছড়াও বৃদ্ধ বয়সে চোখে জল এনে দেয়. সে কারণেই দার্শনিক এরিস্টটল মনে করতেন ছড়া ইতিহাসের থেকে অনেক বেশি সূক্ষ্ম এবং অনেক বেশি দার্শনিক।

আরও পড়ুন: World Happiness Day 2020: করোনা আতঙ্কে ম্লান গোটা বিশ্বের হাসি

বিশ্বজুড়ে ২১ মার্চ দিনটি আন্তর্জাতিক কবিতা দিবস পালন করে সব দেশই। আগে অক্টোবর মাসে বিশ্ব কবিতা দিবস পালন করা হতো। প্রথম দিকে কখনও কখনও ৫ অক্টোবর এই উৎসব পালিত হলেও বিংশ শতাব্দীর শেষভাগে রোমান মহাকাব্য রচয়িতা ও সম্রাট অগস্টাসের রাজকবি ভার্জিলের জন্মদিন স্মরণে ১৫ অক্টোবর এই দিবস পালনের প্রথা শুরু হয়। এখনও অনেক দেশে অক্টোবর মাসে জাতীয় বা আন্তর্জাতিক কবিতা দিবস পালন করা হয়। এই দিবসের বিকল্প হিসেবে অক্টোবর অথবা নভেম্বর মাসের কোনো এক দিন কবিতা দিবস পালনেরও প্রথা আছে।

POETRY

 

কবিতা। কবিতার সংজ্ঞা কি, সংজ্ঞা দিয়ে কবিতা বাধাঁ যায়? আসলে কবিতা হচ্ছে সাহিত্যের প্রাচীনতম শাখা। তবুও আজ পর্যন্ত কবিতার সুনির্দিষ্ট কোন সংজ্ঞা পাওয়া যায় নাই। কবিতার সংজ্ঞা হয়না। ইচ্ছের লালন থেকে বেড়ে ওঠা সবই কবিতা, কবিতা ভালোবাসার ভাষা, কবিতা প্রতিবাদের ভাষা। বিশ্লেষকদের মতে, কবিতা প্রতিমুহূর্তে আচরণে-আবরণে, আহ্বানে নিজের অস্তিত্ব তথা বোধজাত উপলব্ধি ঠিক রেখে নিজেকে ভাঙ্গে আবার গড়ে। কবিতা মানব মনের অনবদ্য ধ্যান ও মননের বহিঃপ্রকাশ; ভাবনার অনুরণন থেকে বেড়ে ওঠা পঙক্তিমালাই কবিতা।

কবিতা ভাবপ্রকাশের ভাষা, প্রগাঢ় বোধের নান্দনিক প্রতিচ্ছবি। কবিতা অধিকারের ভাষা, প্রতিবাদের ভাষা। কবিতা হচ্ছে শব্দমাল্যের সুগভীর গাঁথুনি, হৃদয়ের অনবদ্য সুখানুভূতি। কবিতা কখনো কালের সাক্ষী, সমকালের মুখপাত্র, কখনো দগ্ধ হৃদয়ের আর্তনাদ। 

আরও পড়ুন: করোনার জের, প্রাণ ফিরে পাচ্ছে মানুষের হাতে ক্ষয়ে যাওয়া বিপন্ন প্রকৃতি

জাতি, ধর্ম, বর্ণ , লিঙ্গ, ভাষা, সংস্কৃতির বেড়া জাল ভেঙে দিতে পারে কবিতা। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কথা আজ আর আলাদা করে বলার প্রয়োজন নেই। তাঁর অসংখ্য কবিতা আমাদের মৃতপ্রায় মনে প্রাণ সঞ্চার করে।এছাড়া গালিবের কবিতা পড়ুন, প্রতিটা কবিতা আপনাকে নতুন করে জীবন সম্পর্কে ভাবিয়ে তুলবে। আজকের দিনে কবি মুনাওয়ার রানা কিংবা রাহাত ইন্দুরি পড়ুন কিংবা শুনুন সমসাময়িক সামাজিক ও রাজনৈতিক অবস্থা বিশ্লষেণের ধরণ বদলে যাবে। দেশের অস্থির অবস্থাতেও একঝাঁক তরুণ কবির কবিতা আমাদের বেঁচে থাকতে অনুপ্রাণিত করছে। আসলেকেও না চাইলেও কবিতা বেঁচে থাকবে। কারন প্রেম কিংবা প্রতিবাদ ,কবিতার মত এমন সুনিপুনভাবে ফুটিয়ে তোলা যায় না কিছুতেই।

আজ যে কবিতাকে গুরুত্বপূর্ণ মনে হচ্ছে না পরে তাই প্রতিবাদের স্লোগান হতে পারে। ফাইজ আহমেদ- এর ‘হাম দেখেঙ্গে’ কবিতাতে তা বুঝিয়ে দিয়েছেন। দেশ কালের বেড়া ভেঙে কবিতা অন্যায়ের বিরুদ্ধে গর্জে ওঠে। একই ভাবে এই কবিতাই বিশ্বজনীন প্রেম বয়ে আনে। সে কারণেই কবিতার সীমানা নেই, মনের কিনারায় তার বাস।

Gmail 5

 

 

 

 

বিভিন্ন দেশে বিভিন্নভাবে পালন করা হবে কবিতা দিবস। কবিতা ছড়িয়ে যাক সকল হৃদয়ে, আবৃত্তি হোক একের পর এক, রচনা, পাঠ ও কবিতা প্রকাশনা উৎসাহিত হোক।

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest