বিজয়ের সুবর্ণজয়ন্তী উদ্যাপনে যোগ দিতে ভারতের রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ তিন দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে আজ ঢাকায় উড়ে গেলেন। রাষ্ট্রপতি হিসাবে এটি তাঁর প্রথম বাংলাদেশ সফর। মুক্তিযুদ্ধে বাংলাদেশের বিজয়ের সুবর্ণজয়ন্তী, মুজিববর্ষের সমাপ্তি অনুষ্ঠান এবং বাংলাদেশ ও ভারতের কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষ্যে ভারতের রাষ্ট্রপতির সফরের সব প্রস্তুতি ইতিমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে। সূত্রের খবর, সে দেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী বর্ষের অনুষ্ঠানের পাশাপাশি ঢাকার বিখ্যাত রমনা কালীমন্দিরে পুজো দেওয়ার কথাও রয়েছে তাঁর।
বুধবার বিমানবন্দর থেকে সোজা সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধে পৌঁছবেন কোবিন্দ। সেখানে একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করবেন। তার পরে যাবেন ধানমন্ডিতে, বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘর পরিদর্শনে। বিকালে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং সে দেশের বিদেশমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন। সফরের দ্বিতীয় দিনে অর্থাৎ ১৬ ডিসেম্বর সকালে বাংলাদেশের জাতীয় প্যারেড গ্রাউন্ডে বিজয় দিবসের সুবর্ণজয়ন্তী বর্ষের অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রীয় অতিথি হিসাবে উপস্থিত থাকবেন কোবিন্দ।
আরও পড়ুন: ওমিক্রন রুখতে নয়া ভ্যাকসিন তৈরির সিদ্ধান্ত, আনছে Novavax
সফরের শেষ দিন অর্থাৎ ১৭ ডিসেম্বর শুক্রবার সকালে ঢাকার ঐতিহ্যবাহী রমনা কালী মন্দিরের সদ্য সংস্কার করা অংশের উদ্বোধন করার কথা রয়েছে তাঁর। মন্দির পরিদর্শনের পাশাপাশি সেখানে পুজোও দেবেন তিনি। ওই দিন দুপুরে তিনি দিল্লি ফিরবেন।
রাষ্ট্রপতির এই সফরের প্রাক্কালে বিদেশমন্ত্রী হর্ষবর্ধন শ্রিংলা আজ বলেন, “অতিমারি পর্বের পর এই প্রথম রাষ্ট্রপতির বিদেশ যাত্রা। এর থেকেই বোঝা যায়, বাংলাদেশের সঙ্গে আমাদের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক কতটা গুরুত্বপূর্ণ।” সিএএ অথবা দুর্গাপুজোয় বাংলাদেশে হিংসার ঘটনা নিয়ে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কে কি কিছুটা অস্বস্তি তৈরি হয়েছে? জবাবে শ্রিংলা বলেন, “আমি কিছু দিন আগেই বাংলাদেশ ঘুরে এলাম। কোনও অস্বস্তির চিহ্ন দেখিনি। দু’দেশের সম্পর্ক এখন তুঙ্গ বিন্দুতে রয়েছে। মার্চেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ঢাকা গিয়েছিলেন। এর মধ্যে বিদেশমন্ত্রীও বাংলাদেশ সফর করেছেন। দু’দেশের নেতাদের মধ্যে এমন অসামান্য সংযোগ খুব কম দেশের মধ্যেই রয়েছে।”
আরও পড়ুন: Indonesia: সমুদ্রগর্ভে ৭.৩ মাত্রার ভূমিকম্প, জারি হল Tsunami সতর্কতা