Site icon The News Nest

Rishi Sunak: চতুর্থ দফার ভোটেও শীর্ষে ঋষি সুনক, তবে শেষ ধাপে কঠিন হচ্ছে লড়াই

rishi sunak london 5837884

ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী হওয়ার দৌড়ে আপাতত সবার আগে ভারতীয় বংশোদ্ভূত ঋষি সুনক। সোমবারের ভোটে কনজারভেটিভ পার্টির ১১৫ জন আইনসভার সদস্য তাঁকে ভোট দিয়েছেন। তবে ব্রিটেনের প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী ঋষিই বিদায়ী প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের উত্তরসূরি হবেন কি না তা এখনও জোর দিয়ে বলা যাচ্ছে না। কারণ শেষ দফা ভোটে চার জন প্রতিপক্ষ থাকলেও ভোটে দ্বিতীয় স্থানে থাকা প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থীর সঙ্গে ঋষির খুব বেশি ফারাক নেই। সে ক্ষেত্রে প্রতিপক্ষ কমলে যখন তাঁদের ভোট শেষ দুই প্রার্থীর মধ্যে ভাগ হবে, তখন বদলে যেতে পারে ফলাফল।

ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী হবার লড়াইয়ে ঋষি সুনকের পরেই রয়েছেন পেনি মরডুয়ান্ট। শেষ দফার ভোটে তিনি পেয়েছেন ৮২ টি ভোট। অন্যদিকে ব্রিটেনের বিদেশ সচিব লিজ ট্রাস্টও এই মুহূর্তে ভালো অবস্থানে রয়েছেন বলে মনে করা হচ্ছে। আগামী বুধবার পরবর্তী দফার ভোট ব্রিটেনে। আর সেদিনই বোঝা যাবে ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী হওয়ার লড়াইয়ে শেষ দুই প্রতিযোগী কে হতে চলেছে। এর মাঝেই একটি সমস্যা দেখা দিয়েছে কনডারভেটিভ পার্টির অন্দরে। প্রধানমন্ত্রী হওয়ার দৌড়়ে থাকা প্রতিপক্ষরা নিজেদের হয়ে প্রচার করতে গিয়ে পরষ্পরকে দোষারোপ করা শুরু করেছেন। কনজারভেটিভ পার্টি বিষয়টি নিয়ে চিন্তিত। তাঁরা মনে করছেন এই ধরনের ঘটনা দেশের জনতার সামনে পার্টির ভাবমূর্তি নষ্ট করতে পারে।

আরও পড়ুন: Sri Lanka Crisis: গোতাবায়া পলাতক, জরুরি অবস্থা জারি, অস্থায়ী প্রেসিডেন্ট বিক্রমসিংহে

অন্যদিকে, ভারতীয় তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থা ইনফোসিসে তাঁর স্ত্রী অক্ষতামূর্তির অংশীদারিত্ব এবং সেখান থেকে প্রাপ্ত আয় বাবদ ব্রিটেনে কর না দেওয়া নিয়ে বিগত কয়েক মাস ধরেই আলোচনা চলছে সে দেশে। সম্প্রতি ঋষি-পত্নী অক্ষতার পারিবারিক সম্পত্তির কথা উঠতেই গর্জে উঠলেন সুনক। এ প্রসঙ্গে ঋষি বলেন, ‘‘আমি ব্রিটেনের করদাতা। আমার স্ত্রী অন্য দেশের। তাই তাঁর ক্ষেত্রে নিয়মটা আলাদা। বিষয়টা মিটে গিয়েছে।’’

ঋষির সঙ্গে অক্ষতার পরিচয় স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে। ২০০৯ সালে বিয়ে করেন তাঁরা। ঋষি ব্রিটেনের নাগরিক হলেও, তাঁর স্ত্রী সে দেশের পাসপোর্ট নেননি। অক্ষতার যুক্তি, ভারতের নাগরিক হিসেবে তাঁর দ্বৈত নাগরিকত্বের সুযোগ নেই। সম্প্রতি জানা যায়, ব্রিটেনের কর ব্যবস্থায় অক্ষতা ‘নন-ডোমিসাইলড’ হিসাবে চিহ্নিত। যাঁরা ব্রিটেনের স্থায়ী নাগরিক নন, তাঁদের এই তকমা দেওয়া হয়। বিদেশ থেকে তিনি যে আয় করেন তার জন্য ব্রিটেনে তাঁকে কর গুনতে হয় না। এই তকমা দেওয়া নিয়ে প্রশ্ন ওঠে ব্রিটেনের রাজনীতিতে।

আরও পড়ুন: Bangladesh: ট্রাক দুর্ঘটনায় মৃত্যু অন্তঃসত্ত্বার, পেট ফেটে জন্ম হল শিশুকন্যার

Exit mobile version