আরব দুনিয়ায় চমক! প্রথম মহিলা প্রধানমন্ত্রী পেল আরবের কোনও দেশ। উত্তর আফ্রিকার তিউনিশিয়ায় প্রধানমন্ত্রী নিযুক্ত হলেন নাজলা বাউদেন রমধান। প্রেসিডেন্ট কাইস সইদ প্রশাসনিক দায়িত্ব নেওয়ার দু’মাসের মধ্যে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ও তাঁর মন্ত্রিসভাকে বরখাস্ত করে রমধানকে সেই পদে বসালেন।
রাজনীতির সঙ্গে তার বিশেষ যোগাযোগ ছিল না। ৬৩ বছরের এই নারী তিউনিশিয়ায় ন্যাশনাল স্কুল অফ ইঞ্জিনিয়ার্সে জিয়োলজির অধ্যাপিকা ছিলেন। পরবর্তীকালে উচ্চশিক্ষা এবং বিজ্ঞান গবেষণা মন্ত্রণালয়ের ডিরেক্টরও ছিলেন। বিশ্বব্যাঙ্কের সঙ্গেও বহু কাজ করেছেন। কিন্তু কখনো সরাসরি রাজনীতিতে অংশ নেননি তিউনিশিয়ার নতুন প্রধানমন্ত্রী নাজলা বাউদেন রমধান।
এর আগে আরব বিশ্ব কোনো নারী প্রধানমন্ত্রী পায়নি। সেই দিক থেকে রমধানের দায়িত্ব ঐতিহাসিক। কিন্তু কেন তাকে শিক্ষাজগত থেকে রাজনীতিতে তুলে আনা হলো, আদৌ তিনি প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব সামলাতে পারবেন কি না, তা নিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছে। রমধান এমন এক সময় তিউনিশিয়ার প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব নিতে যাচ্ছেন যখন দেশটিতে নানাবিধ সংকট বিদ্যমান। বিপ্লবের মাধ্যমে ২০১১ সালে তিউনিশিয়ায় গণতান্ত্রিক যাত্রা শুরু করে। বর্তমানে ব্যাপক অর্থনৈতিক সংকট চলছে দেশটিতে।
আরও পড়ুন: ফের আক্রান্ত ম্যাঁক্রো, ফরাসি প্রেসিডেন্টকে লক্ষ্য করে উড়ে এল ডিম! দেখুন ভিডিয়ো
রমধানের কথা ঘোষণা করে প্রেসিডেন্ট বলেন, এ এক ঐতিহাসিক ঘটনা। এই প্রথম কোনো নারী এই পদে এলেন। নারী অধিকার প্রতিষ্ঠিত হলো।নতুন পদ পেয়ে স্বাভাবিকভাবেই খুশি রমধান। প্রেসিডেন্টকে ধন্যবাদও জানিয়েছেন তিনি। প্রেসিডেন্ট বলেছেন, দুইজনে মিলে নতুন করে তিউনিশিয়াকে গড়ে তুলবেন তারা।
উল্লেখ্য, দুই মাস আগে বিক্ষোভের মুখে পড়ে তিউনিসিয়ার প্রধানমন্ত্রী হিচাম মেচিচিকে বরখাস্ত করে সংসদ বিলুপ্ত ঘোষণা করতে বাধ্য হন প্রেসিডেন্ট কায়েস সাঈদ। গত সপ্তাহে তিনি নতুন ডিক্রি জারি করেছেন। এতে তার ক্ষমতা বাড়ানোর সুযোগ রাখা হয়। বলা হয়, দেশ পরিচালনায় নিরংকুশ ক্ষমতা পাবেন কায়েস সাঈদ। এ পদক্ষেপকে ক্ষমতা কুক্ষিগত করার চেষ্টা উল্লেখ করে নিন্দা জানিয়েছে বিভিন্ন দেশ ও সংস্থা।
আরও পড়ুন: ‘রক্ষণশীলতার’ অবসান, জার্মানির নির্বাচনে পরাজিত অ্যাঞ্জেলা মর্কেলের দল