Switzerland legalised suicide capsules to assist euthanasia and painless death

১ মিনিটে যন্ত্রণাহীন মৃত্যু! এই দেশে ছাড়পত্র পেল ডেথ-মেশিন

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest

চাইলেই মৃত্যু। এক মুহূর্তে, চোখের পলকে। ইচ্ছামৃত্যুর এমনই এক যন্ত্রকে আইনি স্বীকৃতি দিল সুইৎজারল্যান্ড(Switzerland legalises machine for euthanasia)।

থ্রি-ডি প্রিন্টেড পোর্টেবল এই ক্যাপসুলে শুয়ে পড়লে এক মিনিটের মধ্যেই মৃত্যু নিশ্চিত। কোনও ব্যক্তির  বেদনাহীন ইচ্ছামৃত্যু ত্বরান্বিত করতে এই যন্ত্র তৈরি করছে সুইস সংস্থা একজিট ইন্টারন্যাশনাল। ইচ্ছামৃত্যু এই যন্ত্রের নাম দেওয়া হয়েছে দা সারকো সুইসাইড পড। এই সংস্থা বহুদিন ধরে স্যুইৎজার ল্যান্ডে স্বেচ্ছায় ইচ্ছামৃত্যুর আইনি স্বীকৃতি নিয়ে লড়াই করছে।

জানা গিয়েছে, এই ক্যাপসুলের ভিতরে ঢুকে নিজের মৃত্যু নিশ্চিত করতে চাইলে একজনকে তিনটি ধাপ পেরোতে হবে। প্রথমে ইচ্ছামৃত্যুতে আগ্রহী সেই ব্যক্তিকে ফের সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার সুযোগ দেওয়া হবে।  সেই ব্যক্তি নিজের সিদ্ধান্তে অনড় থাকলে তাঁকে আগে থেকে স্থির করে রাখা কতগুলো প্রশ্নের উত্তর দিতে হবে। শেষ ধাপ হিসেবে সেই ক্যাপসুলে ঢুকতে একটি বোতাম টিপতে হবে।

এই ক্যাপসুলে শুয়ে পড়লে ভিতর থেকেই যন্ত্রকে কন্ট্রোল করতে পারবে কোনও ব্যক্তি।  এক মিনিটের মধ্যে শরীরের অক্সিজেন মাত্রা কমে মৃত্যু হবে তাঁর। বেদনাহীন মৃত্যু নিশ্চিত করবে সারকো পড।   জানা গিয়েছে, চিকিৎসা বিজ্ঞানের ভাষায় হাইপোক্সিয়া এবং হাইপোক্যাপ্নিয়ার জেরে সেই ব্যক্তির বেদনাহীন মৃত্যু নিশ্চিত করবে এই যন্ত্র। এই গোটা পরিকল্পনার পিছনে আছেন ‘ডক্টর ডেথ’, যাঁর আসল নাম Philip Nitschke। তাঁকে সকলে মৃত্যুর চিকিৎসক বলেই চেনে।

একাধিক আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যম সূত্রে খবর, ১৯৪২ থেকে স্যুইৎজারল্যান্ডে ইচ্ছামৃত্যু আইনি স্বীকৃতি পেয়েছে। এযাবৎকাল আগ্রহী ব্যক্তিকে বিশেষ ক্যাপসুল খাইয়ে কোমায় পাঠানো হত। সেখান থেকে ধীরে ধীরে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ত সেই ব্যক্তি। গত বছর প্রায় ১৩০০ স্যুইস নাগরিক এই পদ্ধতি অবলম্বন করে মৃত্যু নিশ্চিত করেছে।

যদিও থ্রি-ডি এই পড ইতিমধ্যে সমালচনার মুখে পড়েছে। গ্যাস চেম্বার কোনও মানুষের মৃত্যুর কারণ হতে পারে না। কারণ দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় গ্যাস চেম্বারে ঢুকিয়ে গণহত্যার স্মৃতি এখনও ইউরোপীয়দের মনে টাটকা। এভাবেই সমালোচনায় সরব একাধিক সংগঠন। তাই এই চেম্বার নতুন করে সেই স্মৃতি ফিরিয়ে আনবে। এমনটাই মন্তব্য সমাজকর্মীদের।

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest