কাবুল (Kabul) দখলে চলে এসেছে গত মাসেই। কিন্তু এখনও আফগানিস্তানে সরকার গঠন হয়নি। নতুন সরকার গঠনের আগেই তালিবান (Taliban) সংসারের দ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে এসে পড়ার পর থেকে নানা গুঞ্জন শোনা যাচ্ছিল। অবশেষে সমস্ত জল্পনার সমাপ্তি। আগামিকাল, শুক্রবারের জুম্মার নামাজের পর নতুন সরকার গঠন নিয়ে ঘোষণা করতে চলেছে তালিবান। এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের সূত্র থেকে তেমনই দাবি করা হচ্ছে। সেই ঘোষণাতেই জানানো হবে, সরকারের বিভিন্ন পদে কারা থাকবে।
এদিকে বুধবারই জানা গিয়েছে মন্ত্রিসভায় জায়গা পাওয়া নিয়ে হাক্কানি (Haqqani) গোষ্ঠী এবং কান্দাহারের মোল্লা ইয়াকুব গোষ্ঠীর মধ্যে মতবিরোধ দেখা দিয়েছে। যা সরকার গঠনের আগেই অস্বস্তিতে ফেলেছে তালিবানকে। তালিবানের সেনাবাহিনীর দায়িত্বে রয়েছে মোল্লা ইয়াকুব গোষ্ঠী। নতুন সরকারের মন্ত্রিসভায় ঠাঁই দেওয়ার দাবি জানিয়েছে তারা। কিন্তু হাক্কানি গোষ্ঠী সেখানে নিজেদের প্রভাব খাটানোর চেষ্টা করছে বলে অভিযোগ উঠছে।
শুধু হাক্কানি বা ইয়াকুব গোষ্ঠীই নয়, একে একে তালিবানের অন্য গোষ্ঠীগুলিও নিজেদের অধিকার নিয়ে সরব হতে শুরু করেছে। আর তাতেই সিঁদুরে মেঘ দেখছে তালিবানের শীর্ষনেতারা। যদিও বুধবার রাতের বৈঠকের পরে তালিবানের তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, ইসলামিক নেতাদের প্রাধান্য আফগানিস্তানে সরকার তৈরি করবে তারা। তবে তখনই মন্ত্রিসভা সম্পর্কে বিশদে কিছু জানায়নি তারা। যা সম্ভবত শুক্রবারই জানা যাবে।
আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমের খবর , তালিবান গভর্নিং কাউন্সিলের প্রধান হতে পারেন তালিবান সুপ্রিম কমান্ডার হাইবাতুল্লা আখুন্দজাদা। পাশাপাশি সরকারের রোজকার কাজকর্ম দেখতে পারেন আখুন্দজাদার ৩ ডেপুটির অন্যতম মোল্লা আব্দুল গনি বারাদর।তালিবানের শীর্ষ ধর্মীয় নেতা মোল্লা আখুন্দজাদা বালোচিস্তানের এক মসজিদে ১৫ বছর ধরে ধর্মীয় দায়িত্ব পালন করেছেন। ইরানের মতো তালিবান সরকারের মাথাতেও থাকবেন এই ধর্মীয় নেতা। দেশ চালানোর ক্ষেত্রেও ইরানকে অনুসরণ করতে পারে তালিবান।
কাতারের দোহায় তালিবানের দফতর থেকে তালিবানের দ্বিতীয় গুরুত্বপূর্ণ নেতা শের মহম্মদ আব্বাস স্ট্যানিকজাই সংবাদমাধ্যমে বলেন, নতুন সরকারে থাকবে মহিলা ও দেশের সব জাতিগোষ্ঠীর প্রতিনিধিরা। তবে গত ২০ বছরে যারা সরকারে ছিলেন তাদের নতুন সরকারের কোনও দায়িত্ব দেওয়া হবে না।