তাঁরা বুঝতে পেরেছিলেন আর বেশি সময় নেই হাতে। যা করার তাড়াতাড়ি করে দেশ ছাড়তে হবে। তাই তালিবান কাবুলে ঢুকতেই যাবতীয় গুরুত্বপূর্ণ নথি পুড়িয়ে ফেললেন আমেরিকার দূতাবাসের কর্মীরা।
কাবুলে তালিবান আধিপত্য বিস্তার হবে, এই আশঙ্কা সৃষ্টি হতেই মার্কিন সেনাদের বিশেষ নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বলা হয়েছে, “জরুরি পরিস্থিতিতে ধ্বংসাত্বক নীতি” অনুসরণ করে দূতাবাসের যাবতীয় গোপন নথি যেন সম্পূর্ণরূপে নষ্ট করে দেওয়া হয়। মার্কিন দূতাবাসের কর্মীদেরও এই কাজে সাহায্যের হাত লাগানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। সূত্রের খবর, আমেরিকার যাবতীয় পতাকা, চিহ্ন বা অন্যান্য সামগ্রী যা ব্য়বহার করে বিশ্বের কাছে ভুল বার্তা পাঠানো যায়, এমন সমস্ত সামগ্রীই নষ্ট করে ফেলতে বলা হয়েছে। পাশাপাশি দূতাবাসে মার্কিন নাগরিক এবং আফগান ও মার্কিন সরকারের যাবতীয় নথিও নষ্ট করে ফেলার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: আফগানিস্তানের মাজার-ই-শরিফ থেকে রাষ্ট্রদূতদের সরাচ্ছে ভারত
মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্টের মুখপাত্র জানান, বিশ্বের যে কোনও প্রান্তেই এই ধরনের পরিস্থিতির সৃষ্টি হলে আমাদের উপস্থিতির যাবতীয় প্রমাণ মিটিয়ে দিতেই এই নীতি অনুসরণ করা হয়। কাবুলেও একই পদ্ধতি অনুসরণ করা হচ্ছে। অ্যাসোসিয়েট প্রেসের তথ্য অনুযায়ী, বিমানবন্দরে যাওয়ার পথে বিপদের সম্মুখীন হতে পারে, এই আশঙ্কায় দূতাবাসের কর্মী ও কূটনৈতিকরা রাস্তা এড়িয়ে যাচ্ছেন। তারা সকলেই দূতাবাসে আশ্রয় নিয়েছেন। এ দিন সকালে দূতাবাস থেকে কালোে ধোঁয়া বের হতে দেখা যাওয়ার পরই কাবুলে মার্কিন দূতাবাসের ছাদে একাধিক হেলিকপ্টার অবতরণ করতে দেখা গিয়েছে।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন জানিয়েছেন, মার্কিন কূটনীতিবিদ ও নাগরিকদের আফগানিস্তান থেকে সুরক্ষিতভাবে ফিরিয়ে আনার জন্য পাঁচ হাজার সেনা পাঠানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: এক গনিকে সরিয়ে কাবুলের মসনদে আর এক গনি? প্রেসিডেন্টের বাসভবনে তালিবান