আফগানিস্তান ছেড়ে চলে গিয়েছে মার্কিন সেনা। তালিবান দখল নেওয়ার দিন ১৫-র মধ্যে সব মার্কিন সেনা ফিরে গিয়েছে আমেরিকা। কিন্তু যাওয়ার সময় সব সামরিক বিমান বা অস্ত্র নিয়ে যাওয়া সম্ভব হয়নি। সেগুলি আফগানিস্তানের মাটিতেই রয়ে গিয়েছে। তবে চাইলেও সেগুলো ব্যবহার করতে পারবে না তালিবরা। কারণ আসার সময় সেগুলি নিষ্ক্রিয় করে দিয়ে আসা হয়েছে।
সম্প্রতি একটি ভিডিয়ো ভাইরাল হয়েছে, সেখানে দেখা যাচ্ছে কয়েকজন তালিবান সদস্য এরকমই একটি পরিত্যক্ষ বিমানে দড়ি ঝুলিয়ে দোলনার মতো ব্যবহার করার চেষ্টা করছে। আর সেই ভিডিয়ো টুইট করে আমেরিকাকে কটাক্ষ করল চিন।
প্রথম থেকেই তালিবানের প্রতি সমর্থন প্রকট হয়েছে চিনের। এবার সরাসরি আমেরিকাকে কটাক্ষ। আফগানিস্তানের মাটিতে পরিত্যক্ত কয়েক বিলিয়ন ডলারের সেই সব অস্ত্র সরঞ্জামকে পতন হওয়া সাম্রাজ্যের কবরস্থান বলে উল্লেখ করেছেন চিনের বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র লিজিয়ান ঝাও। আমেরিকাকে কটাক্ষ করে তিনি লিখেছেন, ‘সাম্রাজ্যের কবরস্থল ও তাদের যুদ্ধাস্ত্র। তালিবান তাদের বিমানকে দোলনা আর খেলনায় পরিণত করেছে।
চিন আগেই তালিবানকে আর্থিক সাহায্যের আশ্বাস দিয়েছিল। প্রায় সব দেশই যখন মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে তাদের থেকে তখন চিনকে পাশে পেয়ে খুশি তালিবান। বর্তমান পরিস্থিতিতে কেউই তালিবান শাসিত আফগানিস্তানের সঙ্গে বাণিজ্য করতে বা বিনিয়োগে আগ্রহী নয়। প্রত্যাশিতভাবেই, এই সঙ্কটজনক পরিস্থিতিতে তাদের ত্রাতা হয়ে এগিয়ে এসেছে চিন। সেই কথা স্বীকার করেছে তালিবান নিজেই। তালিবানের পক্ষ থেকে চিনকে ‘সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ পার্টনার’ (অংশীদার) হিসেবে ব্যাখ্যা করা হয়েছে।
আফগানিস্তানকে নতুন করে সাজিয়ে তুলতে তালিবান যে চিনের উপরই ভরসা রাখছে, সেটা পরোক্ষভাবে স্বীকার করে নিয়েছেন তালিবানি মুখপাত্র জাবিউল্লা মুজাহিদ। তালিবানের স্পষ্ট বার্তা, পাক অধিকৃত কাশ্মীর হয়ে পাকিস্তান পর্যন্ত বিস্তৃত প্রস্তাবিত সড়ক-সহ গোটা বিশ্বকে সড়কপথে জুড়তে যে পরিকল্পনা চিনের রয়েছে, সেটা তারা সমর্থন করে। তালিবানি মুখপাত্রের কথায়, “চিনই আমাদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার। আমাদের জন্য চিন অসাধারণ সব সুযোগ প্রস্তুত করেছে। কারণ আমাদের দেশ এই মুহূর্তে বিনিয়োগ এবং পুনর্গঠনের জন্য প্রস্তুত।”