কারোর হাতে একে-৪৭(AK-47), কারোর কাছে আবার এম১৬ অ্য়াসল্ট রাইফেল (M16 assault Rifle)। তবে অস্ত্রশস্ত্রে মন নেই তালিবানি যোদ্ধাদের(Taliban), কারণ সামনে রয়েছে এক অলীক বিস্ময়। আফগানিস্তানে সরকারি ক্ষমতা দখলের পর কাজের ফাঁকে এ বার দেশ ভ্রমণে বেড়িয়েছে নয়া তালিবান যোদ্ধারা। ঘুরতে ঘুরতে চিড়িয়াখানায় পৌঁছেই অবাক তাঁরা। একসঙ্গে এত ধরনের জীবজন্তু দেখে তাদের আর বিস্ময়ের শেষ নেই।
তালিবান যোদ্ধাদের মধ্যে অধিকাংশই এসেছে আফগানিস্তানের প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে। আফগানিস্তান(Afghanistan)-র ক্ষমতা দখল করতে বেরিয়েই তারা প্রথমবার শহরে পা রেখেছে। জীবনে চিড়িয়াখানা দর্শনও এই প্রথম। তাই কিছু ঘণ্টার জন্য নিজেদের পরিচয় ভুলে মনের ভিতরের শিশুটাকেই জাগিয়ে তুলেছিল তালিবান সৈন্যরা।
চিড়িয়াখানায় আগত আফগানিদের টিকিট কাটতে হলেও তালিবান যোদ্ধারা বিনা টিকিটেই ঘুরে বেড়ান গোটা চিড়িয়াখানায়। সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়া একাধিক ছবিতে দেখা যাচ্ছে, যেখানে সাধারণ মানুষ চিড়িয়াখানার খোলা উদ্যানে বসে খাওয়া-দাওয়া করছেন, সেখানেই তালিবানি যোদ্ধারা বাঘ, সিংহ, নেকড়ে, উট, মাক্যাওদের খাঁচার সামনে ভিড় জমিয়েছে। কোথাও আবার দেখা যাচ্ছে, হরিণের শিংয়ে হাত দিয়েই হাসিতে গড়িয়ে পড়ছে তারা।
আব্দুল কাদির নামক এক তালিব, যিনি বর্তমানে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের হয়ে কাজ করছেন, তিনি জানান, বন্ধুদের সঙ্গে তিনি চিড়িয়াখানা দেখতে এসেছেন। তিনি বলেন, “আমার পশুপাখি খুব ভাল লাগে, বিশেষ করে যে সমস্ত জন্তু আমাদের দেশে পাওয়া যায়। সিংহ আমার সবথেকে প্রিয়।”
চিড়িয়াখানায় বন্দুক নিয়ে ঢোকার অনুমতি না থাকলেও বহু তালিবান যোদ্ধার হাতেই বিভিন্ন অস্ত্রশস্ত্র দেখা যায়। তবে আব্দুল জানান, অনেকেই আবার বাইরে অস্ত্র রেখে এসেছেন, যাতে মহিলা ও শিশুরা ভয় না পায়। চিড়িয়াখানার ভিতর নিরাপত্তারক্ষীদের যেমন তালিবানিদের সঙ্গে ছবি তুলতে দেখা যায়, তেমনই আবার ছোট ছোট বাচ্চাদেরও অস্ত্রে হাত রেখে ছবিও তুলতে দেওয়া হয়।