Site icon The News Nest

নতুন পাসপোর্টে জেরুজালেমকে ‘অধিকৃত ফিলিস্তিনি অঞ্চল’ লিখল যুক্তরাজ্য

passport

যুক্তরাজ্য-ইসরায়েলের দ্বিনাগরিকত্ব সম্পন্ন এক মহিলার নতুন পাসপোর্টে জন্মস্থান হিসেবে জেরুজালেমের জায়গায় ‘দখলকৃত ফিলিস্তিনি অঞ্চল’ লিখেছে ব্রিটিশ কর্তৃপক্ষ। এ নিয়ে ব্যাপক উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা তৈরি হয়েছে ইসরায়েলিদের মধ্যে। বুধবার ইসরায়েলি দৈনিক হারেজের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

ইসরায়েলের রাষ্ট্রীয় সম্প্রচারমাধ্যম কানকে দেয়ার এক সাক্ষাৎকারে আয়েলেৎ বালাবান নামে এক ইহুদি নারী জানান, তার নতুন পাসপোর্টে ব্রিটিশ কর্তৃপক্ষ জেরুজালেমকে ‘দখলকৃত ফিলিস্তিনি অঞ্চল’ উল্লেখ করেছে, যা দেখে তিনি রীতিমতো হতবাক হয়ে যান।

আরও পড়ুন : Gold Hallmarking: সোনার গয়নায় হলমার্ক বাধ্যতামূলক ,ঘোষণা কেন্দ্রের! কী হবে আপনার পুরনো সোনার ?

আয়েলেৎ বলেন, আমি ভেবেছিলাম তারা হয়তো দ্বিধায় পড়েছে। কারণ আমি গাজা থেকে উদ্বাস্তু ইহুদিদের একটি মোশাবে (কমিউনিটিতে) থাকি, যদিও সেটি আমার জন্মস্থান নয়।

এ মহিলা জানান, দুই বছর আগে তার ভাইয়ের পাসপোর্ট ইস্যু করা হয়েছিল। সেখানে ঠিকই জন্মস্থান হিসেবে জেরুজালেম লেখা হয়েছে।

অর্থাৎ, ব্রিটিশ কর্তৃপক্ষ তাদের ইসরায়েল-নীতিতে কোনো পরিবর্তন আনলে সেটি অতিসম্প্রতিই আনা হয়েছে।

আয়েলেৎ জানান, তিনি এ বিষয়ে জানতে লন্ডনে ইসরায়েলের রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিলেন। তবে এখন পর্যন্ত কোনো জবাব পাননি।

জেরুজালেমে ব্রিটিশ কনস্যুলেটের ওয়েবসাইটে বলা রয়েছে, জেরুজালেমের ওপর সার্বভৌমত্বের স্বীকৃতির বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত স্থগিত রেখেছে যুক্তরাজ্য। দেশটি পশ্চিম জেরুজালেমের ওপর ইসরায়েলের একচ্ছত্র কর্তৃত্বের স্বীকৃতি দিলেও পূর্ব জেরুজালেমকে ইসরায়েলিদের দখলকৃত হিসেবে বিবেচনা করে।

এ বিষয়ে মন্তব্যের জন্য ইসরায়েলের বিদেশ মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিল কান কর্তৃপক্ষ। তারা জানিয়েছে, পাসপোর্টের ওই ঘটনায় তদন্ত করা হচ্ছে। আর ইসরায়েলে ব্রিটিশ দূতাবাসে যোগাযোগ করলে তারা এখন পর্যন্ত কোনো জবাব দেয়নি।

আরও পড়ুন : সিইও-র পাশাপাশি মাইক্রোসফটের চেয়ারম্যান পদে এই ভারতীয় বংশোদ্ভূত

Exit mobile version