বিশ্বজুড়ে বাণিজ্য যুদ্ধের দামামা! ডোনাল্ড ট্রাম্পের পালটা দিয়ে এবার নতুন শুল্ক ঘোষণা করল চিন। পাশাপাশি মার্কিন সংস্থার বিরুদ্ধে নিয়মভঙ্গের তদন্তও করতে চলেছে বেজিং। বিশ্বের বৃহত্তম অর্থনীতির দুই দেশ যেভাবে শুল্ক যুদ্ধ শুরু করেছে তাতে সিঁদুরে মেঘ দেখছে ওয়াকিবহাল মহল।
গত নভেম্বরে আমেরিকার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জেতার পরেই কানাডা ও মেক্সিকোর পণ্যে বাড়তি শুল্ক বসানোর কথা ঘোষণা করেছিলেন ট্রাম্প। জানিয়েছিলেন, অবৈধ অভিবাসন সমস্যা এবং সীমান্ত দিয়ে ফেন্টানাইল মাদক পাচার বন্ধ করতেই তিন দেশের পণ্যের উপর শুল্ক চাপানোর এই সিদ্ধান্ত। সেই সঙ্গে বেজিংকে হুঁশিয়ারি দিয়ে ট্রাম্প জানিয়েছিলেন, চিনে তৈরি বহু অবৈধ ওষুধ মেক্সিকো সীমান্ত দিয়ে আমেরিকায় ঢুকলেও বেজিং কোনও পদক্ষেপ করেনি।
চিন যত দিন না এই বিষয়ে ব্যবস্থা নেবে, তত দিন পর্যন্ত চিনা পণ্যে শুল্ক চাপানো হবে। প্রয়োজনে চিনা পণ্যে আরোপিত শুল্কের হার ৩৫ শতাংশ পর্যন্ত হতে পারে বলেও জানিয়েছিলেন ট্রাম্প। এর পর গত শনিবার কানাডা, মেক্সিকো এবং চিনা পণ্যের উপর শুল্ক আরোপের কথা ঘোষণা করেন ট্রাম্প। চিনা পণ্যে ১০ শতাংশ শুল্ক এবং বাকি দুই দেশের পণ্যের উপর ২৫ শতাংশ শুল্ক ঘোষণা করা হয়। মঙ্গলবার থেকেই তা কার্যকর হওয়ার কথা ছিল।
মার্কিন পণ্যের উপর ১৫ শতাংশ শুল্ক চাপানোর কথা ঘোষণা করল চিন। তবে সমস্ত পণ্যে এই বর্ধিত হারে শুল্ক কার্যকর হবে না। কয়লা এবং তরল প্রাকৃতিক গ্যাসের উপর ১৫ শতাংশ কর বসানো হয়েছে। তেল এবং কৃষির সরঞ্জামের উপর থাকবে ১০ শতাংশ শুল্ক।
চিনের বাণিজ্য মন্ত্রকের তরফে বিবৃতি দিয়ে বলা হয়েছে, আমেরিকা একপাক্ষিকভাবে শুল্ক বাড়াচ্ছে তাতে বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার নিয়ম লঙ্ঘন হচ্ছে। এছাড়াও চিন গুগলের বিরুদ্ধে তদন্ত করছে। মঙ্গলবার স্টেট অ্যাডমিনিস্ট্রেশন ফর মার্কেট রেগুলেশনের এক বিবৃতি অনুসারে, চিন মার্কিন প্রযুক্তি জায়ান্ট গুগলের বিরুদ্ধে বিশ্বাস-ভঙ্গের অভিযোগ করেছে। হোয়াইট হাউস জানিয়েছে, আগামী কয়েক দিনের ট্রাম্প-জিনপিংয়ের মধ্যে আলোচনা হতে পারে। যা ‘পারস্পারিক যুদ্ধে’র আবহে বেশ তাৎপর্যপূর্ণ।