US-Taliban deal? The Taliban will not form a government until August 31

Afghanistan Crisis: আমেরিকা-তালিবান চুক্তি? ৩১ অগাস্ট পর্যন্ত সরকার গঠন করবে না তালিবানরা

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest

চুক্তি ভেঙে তালিবান কাবুল দখল করেছে বলে অভিযোগ করেছেন আফগানিস্তানের প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট আশরফ গনি। দেশে সরকার গড়া নিয়েও আমেরিকার সঙ্গে তালিবানের আলাদা চুক্তি হয়েছে বলে এ বার উঠে এল রিপোর্ট। তাতে বলা হয়েছে, ৩১ অগস্টের মধ্যে আফগানিস্তান থেকে সমস্ত নাগরিকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে আমেরিকা। তা না হওয়া পর্যন্ত সরকার গড়া যাবে না বলে তাদের সঙ্গে চুক্তি হয়েছে তালিবানের।

সংবাদসংস্থা এপি-র খবর অনুযায়ী, নাম গোপন রাখার শর্তে ওই আফগান কর্তা জানিয়েছেন, তালিবানদের তরফে মূল মধ্যস্থতাকারী আনাস হাক্কানি দেশের পূর্বতন সরকারের প্রশাসনিক কর্তাদের এই ইঙ্গিত দিয়েছেন৷ হাক্কানি জানিয়ে দিয়েছেন, আমেরিকার সঙ্গে তাদের চুক্তি অনুযায়ী যতক্ষণ না পর্যন্ত মার্কিন সেনা আফগানিস্তান থেকে প্রত্যাহার করা হচ্ছে, ততক্ষণ তারা কিছুই করতে পারবেন না৷ তবে হাক্কানি স্পষ্ট করেননি, কিছু না করার অর্থ শুধুমাত্র রাজনৈতিক পদক্ষেপের মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকবে কি না৷

হাক্কানির এ হেন দাবির পর প্রশ্ন উঠেছে, ৩১ অগাস্টের পর কি তাহলে নিজেদের আসল রূপ দেখাবে তালিবানরা? পূর্বতন সরকারের অধীনে কর্মরত আধিকারিকদের তারা নতুন সরকারে অন্তর্ভুক্ত করবে কি না, তা নিয়েও প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে৷ তার উপরে এখনও তালিবানরা স্পষ্ট করে জানায়নি, আফগান জাতীয় সুরক্ষা বাহিনীর ভবিষ্যৎ কী৷ অথবা আফগান সামরিক বাহিনীর পরিবর্তে দেশের নিরাপত্তার ভার তালিবানরা কাদের হাতে তুলে দেবে, তাও এখনও স্পষ্ট নয়৷

আরও পড়ুন: নেতাজির ‘মৃত্যুবার্ষিকী’-তে শ্রদ্ধা Congress ও BJP’র! নিন্দায় সরব TMC

মার্কিন সেনবাহিনীর এক আধিকারিক জানিয়েছেন, এখনও পর্যন্ত আফগানিস্তানে তাঁদের মোট ৫২০০ জন সেনা কর্মরত রয়েছেন৷ বর্তমানে আফগানিস্তান থেকে আমেরিকার নাগরিকদের পাশাপাশি অন্যান্য দেশের নাগরিকদের উদ্ধারেও সহায়তা করছে মার্কিন সেনা৷ এমন কি, আফগানদেরও সাহায্য করছে তারা৷ আফগানিস্তান থেকে আমেরিকা সহ অন্যান্য দেশগুলির সেনাবাহিনী প্রত্যাহার শুরু হতে না হতেই যে দ্রুত গতিতে তালিবানরা গোটা দেশ দখল করেছে, তাতে সেই দেশগুলির নেতৃত্বেরও অনেকে রীতিমতো অবাক৷ আফগানিস্তানের অনেক জায়গাই এখন কার্যত প্রশাসন শূন্য অবস্থায় রয়েছে৷

তালিবানের সঙ্গে সত্যি সত্যি কোনও চুক্তি হয়েছে কি না, তা নিয়ে আমেরিকার তরফে এখনও পর্যন্ত কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি। তবে বৃহস্পতিবার দেশের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন জানিয়েছিলেন, দেশের সমস্ত নাগরিককে নিরাপদে ফিরিয়ে আনাই তাঁদের লক্ষ্য। কিন্তু ৩১ ডিসেম্বরের পরেও যদি আমেরিকার কোও নাগরিক থেকে যান আফগানিস্তানে? প্রশ্নের উত্তরে বাইডেন বলেন, ‘‘আমেরিকার এক জন নাগরিকও যদি আফগানিস্তানে আটকে থাকেন, তাঁকে উদ্ধার না করা পর্যন্ত সরব না আমরা।’’ যদিও ৯/১১ হামলার কুড়ি বছর পূর্তি উপলক্ষে ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে আফগানিস্তান থেকে সেনা সরানোর কথা আগেই ঘোষণা করেছিলেন বাইডেন।

আরও পড়ুন: 19-Party Meet: বিরোধী মতানৈক্য দূরে সরিয়ে একজোট হওয়ার বার্তা সনিয়ার, গণতন্ত্র বাঁচানোর ডাক মমতার

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest