৮ জুন বিশ্ব সমুদ্র দিবস। সারাবিশ্বের মানুষের জীবনে সমুদ্র গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে যাচ্ছে। বাস্তুসংস্থানের কেন্দ্রবিন্দুতে আছে সমুদ্র। পৃথিবীর ফুসফুসও বলা যেতে পারে সমুদ্রকে। ২০২১ সালের সমুদ্র দিবসের থিম ‘সমুদ্র:জীবন আর জীবিকা’। ২০২১ থেকে ২০৩০ সাল পর্যন্ত সমুদ্র নিয়ে গবেষণা আর সামুদ্রিক পরিবেশ দূষণ রোধে কাজ করার লক্ষ্য নিয়েছে জাতিসংঘ।
রাষ্ট্রপুঞ্জের ওয়েবসাইট বলছে, ১৯৯২-এ ব্রাজিলের রিও ডি জেনেইরোয় প্রকৃতি ও উন্নয়ন নিয়ে তাদের একটি কনফারেন্স হয়। তারপর থেকে প্রতি বছর নানা দেশে পালিত হয়ে আসছে বিশ্ব সমুদ্র দিবস। ২০০৮-এ রাষ্ট্রপুঞ্জের সাধারণ পরিষদ ঠিক করে, ২০০৯-এর ৮ জুন দিনটি বিশ্ব সমুদ্র দিবস হিসেবে স্বীকৃতি দেবে তারা।
জেনে নিন এই তথ্যগুলি:
পৃথিবীর ৩০০ কোটি মানুষ জীবন ও জীবিকার জন্য সরাসরি সমুদ্রের ওপর নির্ভরশীল। পৃথিবীর ৫০ থেকে ৮০ শতাংশ জীব সমুদ্র ধারণ করে। অথচ পৃথিবীর চারপাশ বেষ্টিত সমুদ্রের মাত্র ১ শতাংশ সংরক্ষণ করা হয়।
আরও পড়ুন: অসম্ভবকে সম্ভব করতে মরুভূমিতে কোটি কোটি গাছ লাগাচ্ছে চীন
পৃথিবীতে মোট উৎপাদিত অক্সিজেনের ৭০ শতাংশই সমুদ্রের নিচে উদ্ভিদগুলো তৈরি করে। আমাদের নিশ্বাস সমুদ্রের ওপর নির্ভরশীল। গ্রেট ব্যারিয়ার রিফ কোরালের আবাস এই সমুদ্রই। সমুদ্রের নিচে বিশ্বের সবচেয়ে বড় প্রাকৃতিক এ সৃষ্টি ২ হাজার ৬০০ কিলোমিটার লম্বা। এ সৃষ্টি দৃশ্যমান চাঁদ থেকেও। বিশ্বের জলভাগের মাত্র ৫ শতাংশ মানুষ আবিষ্কার করতে পেরেছে। বাকিটা এখনো মানবসভ্যতার কাছে অজানা।
ওয়ার্ল্ড রেজিস্টার অব মেরিন স্পিশিস জানায়, বর্তমানে সারাবিশ্বের সমুদ্রে ২ লাখ ৩৬ হাজার ৮৭৮ ধরনের সামুদ্রিক প্রাণী আছে। আগ্নেয়গিরির ৯০ শতাংশেরই উৎপত্তিস্থল সমুদ্র।
পৃথিবীর ৭০ ভাগের বেশিই সমুদ্র দিয়ে বেষ্টিত। পৃথিবীতে বৃহত্তম ৫টি মহাসাগর আছে। প্রশান্ত মহাসাগর, আটলান্টিক মহাসাগর, ভারত মহাসাগর, আর্কটিক মহাসাগর এবং দক্ষিণ মহাসাগর।
পুরো সমুদ্র জলবায়ু পরিবর্তন রোধে সর্বোচ্চ ভূমিকা রাখছে। পৃথিবীতে সূর্য থেকে আসা আলোকরশ্মি, পৃথিবীর কার্বন ডাইঅক্সাইড সমুদ্রই হজম করে নিচ্ছে। কিন্তু কার্বন ডাইঅক্সাইড দিন দিন বাড়তে থাকায় সমুদ্রের জল আরো অ্যাসিডিক হয়ে যাচ্ছে। ফলে, সাম্প্রতিক সময়ে সমুদ্রে ক্ষতিকর উদ্ভিদ জন্ম নিচ্ছে। বিপুল পরিমাণে মাছ মরতে পারে, সামুদ্রিক খাবারগুলো বিষাক্ত হয়ে উঠতে পারে।
আরও পড়ুন: অসম্ভবকে সম্ভব করতে মরুভূমিতে কোটি কোটি গাছ লাগাচ্ছে চীন