Site icon The News Nest

মানস ভুঁইঞার ছেড়ে যাওয়া রাজ্যসভার আসনে সুস্মিতা দেবকে প্রার্থী করল তৃণমূল

susmita dev

রাজ্যসভায় যাচ্ছেন সুস্মিতা দেব। মানস ভুঁইয়ার ছেড়ে যাওয়া আসনে সুস্মিতা দেবকে পাঠাচ্ছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। টুইট করে এ কথা জানিয়েছে দল। আগামী ৪ অক্টোবর রাজ্যসভার ভোট।খবর পাওয়ার পর সুস্মিতা দেব  বলেছেন, ‘‘আদর্শ নিয়ে সংসদে সোচ্চার হওয়া আমার লক্ষ্য হবে। দিদিকে আমার আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি।’’

ক’দিন আগেই কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দেন প্রয়াত কংগ্রেস নেতা সন্তোষমোহন দেবের মেয়ে সুস্মিতা। শিলচরের পাশাপাশি ত্রিপুরায় সুস্মিতাকে সামনে রেখেই পরিকল্পনা সাজাচ্ছে তৃণমূল।

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এ কাছে সুস্মিতা পণ করেছেন, ত্রিপুরা (Tripura Politics)  তিনি বিজেপির থেকে ছিনিয়ে আনবেন। প্রসঙ্গত, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ত্রিপুরার মিছিলে শিলচর,কাছাড়, বরাক থেকে সুস্মিতা লোক নিয়ে আসছেন বলে অভিযোগ করেছে বিজেপি। আর তারই জবাব দিতে গিয়ে সুস্মিতা দেব জানিয়েছেন, “আমার সঙ্গে ত্রিপুরার যোগ, বিজেপির একাধিক নেতার চেয়ে অনেক বেশি আছে। আমি আমার বাবার সাথে বহুবার এখানে এসেছি। বাবার সূত্র ধরে আমার যোগাযোগ আছে এখানের মানুষের সাথে। রাজ্যের মানুষ আমাকে চেনেন।”

ভিন রাজ্য থেকে মানে আসাম থেকে লোক নিয়ে আসার অভিযোগ করেছে বিজেপি। সুস্মিতার বক্তব্য, “ত্রিপুরার বিজেপি আগে বরাক বিজেপির সাথে তাদের যোগাযোগ ঠিক করে রাখুক। বিজেপি একদিকে বলছে আমার সাথে কেউ নেই৷ আবার অন্যদিকে বলছে আমি লোক নিয়ে আসছি। এটা কি করে সম্ভব হয়? আসলে ওরা যে মিথ্যা কথা বলছে তা প্রমাণিত।”

সুস্মিতার দলত্যাগে বিড়ম্বনায় পড়েছে কংগ্রেসে। সুস্মিতা দেবের পদত্যাগ প্রসঙ্গে কংগ্রেস মুখপাত্র রণদীপ সিং সুরজেওয়ালার বক্তব্য, “সুস্মিতা ভালো মানুষ। ভালো রাজনীতিক। তিনি কেন আচমকা দল ছাড়লেন তা আমাদের জানা ছিল না।”

সনিয়াকে লেখা চিঠিতে সুস্মিতা জানিয়েছিলেন, ‘জাতীয় কংগ্রেসের সঙ্গে তিন দশকের সম্পর্ক শেষ করছি। আমার পাশে থাকার জন্য সতীর্থ ও দলের নেতা-মন্ত্রীদের ধন্যবাদ। তিন দশকের স্মৃতি আমি সারা জীবন মনে রাখব।’ এ ছাড়া পথ প্রদর্শন ও সহযোগিতার জন্য সনিয়াকেও ধন্যবাদ জানিয়েছেন সুস্মিতা।

 

Exit mobile version