ওয়েব ডেস্ক: বিরাট কোহলি বা মহেন্দ্র সিং ধোনি নন, প্রাক্তন ভারতীয় ক্রিকেটার যুবরাজ সিংয়ের মতো ‘সেরা অধিনায়ক হলেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়।’
স্পোর্টসস্টারের এক ইন্টারভিউতে যুবরাজ সাফ জানিয়ে দিয়েছেন,“স্টাইলিশ বাঁ হাতি ব্যাটসম্যান জানিয়েছেন, ‘আমি সৌরভের অধিনায়কত্বে খেলেছি এবং অনেক সাহায্য পেয়েছি। তারপর মাহি (ধোনি) আসে। সৌরভ ও মাহির মধ্যে পার্থক্য করা কঠিন। সৌরভের অধীনে অনেক বেশি সময় খেলেছি। ক্রিকেট-মুহূর্তও রয়েছে। সৌরভ আমাকে অনেক সাহায্য করেছিল। একই সাহায্য আমি মাহি বা বিরাটের থেকে পাইনি।”
‘আমি এমন সময়ে ক্রিকেট খেলেছি, যখন IPL শুরু হয়নি। ক্রিকেট হিরোদের টিভিতে দেখতাম, আর হঠাৎ একদিন তাঁদেরই পাশে বসতে পেরেছিলাম। ওদের প্রত্যেকের জন্যই অনেক শ্রদ্ধা রয়েছে আমার মনে। অনেক কিছু শিখেছি। আজ কিন্তু, সেভাবে টিমে কোনও সিনিয়র নেই, যাঁরা জুনিয়রদের শেখাতে পারবে।’ বর্তমান ভারতীয় টিম সম্পর্কে এমনই আক্ষেপ যুবরাজের।
আরও পড়ুন: করোনার বিরুদ্ধে প্রচারে আফ্রিদিকে সমর্থন বার্তা, নেটিজেনদের তোপের মুখে যুবরাজ
৩০৪টি ওডিআই ম্যাচে জাতীয় দলের জার্সিতে খেলে ৮৭০১ রান তাঁর দখলে। এর মধ্যে ১৪টি শতরানও হাঁকিয়েছেন। তিনি জানিয়ে দিয়েছেন, আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে মুথাইয়া মুরলিধরণ তাঁর দেখা সবথেকে কঠিন বোলার। নিজের অভিজ্ঞতা থেকে তিনি বলছেন, “মুরলিকে খেলতে বারেবারেই সমস্যায় পড়তাম। তবে শচীন বলেছিল, সুইপ করতে। তারপরে স্বছন্দে খেলতে পারতাম।” পাশাপশি তিনি বলছেন, “গ্লেন মাকগ্রাথের আউটগোয়িং ডেলিভারি বেশ সমস্যায় ফেলতো। তবে মাকগ্রাথের বিপক্ষে বেশি খেলতে হয়নি। কারণ, ডাগ আউটে বসে টেস্টে দলের সিনিয়রদের চিয়ার করতাম।”
২০০২ সালে সৌরভের নেতৃত্বে ন্যাটওয়েস্ট ট্রফি জেতে ভারত। ফাইনালে মহম্মদ কাইফের সঙ্গে যুবরাজের জুটিই তফাত গড়ে দেয়। ২০০৩ সালে দক্ষিণ আফ্রিকায় বিশ্বকাপের ফাইনালে ওঠে ভারত। তাতেও অবদান ছিল যুবির। ২০০৭ সালে মহেন্দ্র সিংহ ধোনির নেতৃত্বে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে চ্যাম্পিয়ন হয় ভারত। ২০১১ সালে ঘরের মাঠে একদিনের ক্রিকেটেও বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হয় ধোনির দল। দু’বারই অবদান ছিল যুবির।
আরও পড়ুন: নিজামউদ্দিন: বিদেশিদের কেন আটকানো হয়নি? প্রশ্নের মুখে কেন্দ্র ও দিল্লি সরকারের ভূমিকা