শ্রীনগর: শনিবার দুপুরে টহলরত সিআরপিএফ ও জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশের যৌথবাহিনীর উপর আচমকা আঘাত হানে সন্ত্রাসবাদীরা। টহলদারি বাহিনীর গাড়িতে বিস্ফোরণ ঘটালে ঘটনাস্থলেই মারা যান দুই সিআরপিএফ জওয়ান।
গুরুতর জখম অবস্থায় আরও এক কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার আগেই তাঁর মৃত্যু হয়। ঘটনার পরে এলাকায় পৌঁছয় নিরাপত্তাবাহিনীর বিশাল ব্যাটালিয়ন। গোটা এলাকা ঘিরে ফেলে দুষ্কৃতীদের খোঁজে শুরু হয়েছে তল্লাশি।ঘটনাটি ঘটেছে বারামুল্লা জেলার সোপোরে
করোনা-সংকেটর মধ্যেও কাশ্মীরে এলওসি বরাবর ক্রমাগত অস্ত্রবিরতি লঙ্ঘন করছে পাকিস্তানের সেনা। যার যোগ্য জবাবও দিচ্ছে ভারতীয় সেনাবাহিনী। তবে এখানেই শেষ নয়, অভিযোগ ভারতে জঙ্গি ঢোকানোর চেষ্টাও চালাচ্ছে পাকিস্তান। সম্প্রতি কেরান সেক্টরের কাছে একটি জঙ্গি দলকে ধাওয়া করে খতম করেন জওয়ানরা। নিহত হয় ৫ জঙ্গি। ভারতে ঢোকার জন্য পাক অধিকৃত কাশ্মীরের দুধনিয়ালের লঞ্চপ্যাডই ব্যবহার করছিল জঙ্গিরা। যা সম্প্রতি উড়িয়ে দিয়েছে ভারতীয় সেনা।
আরও পড়ুন: আক্রান্তদের শরীরে ফের হানা দিতে করোনা, উদ্বেগে স্বাস্থ্য মন্ত্রক
সীমান্ত সন্ত্রাস নিয়ে পাকিস্তানকে সেনা প্রধানের কটাক্ষের ২৪ ঘণ্টার পরই জম্মু-কাশ্মীরে জঙ্গি হানা। এবার বারামুল্লা জেলার সোপোরেতে সন্ত্রাসবাদী হানায় প্রাণ হারালেন ৩ জন CRPF জওয়ান। পুলিশ ও CRPF এর যৌথ টহলদারি ভ্যানে আচমকা হামলা চালায় জঙ্গিরা। ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে অতিরিক্ত নিরাপত্তা বাহিনী।
গতকাল সাংবাদিকদের কাছে পাকিস্তান নিয়ে সরব হন সেনাপ্রধান নারাভানে। জম্মু ও কাশ্মীর সফরে গিয়ে তিনি বলেন, ‘মারণ ভাইরাসের বিরুদ্ধে ভারত যখন লড়াই চালাচ্ছে। নিজের দেশের মানুষের পাশাপাশি অন্য দেশের পাশেও দাঁড়াচ্ছে। পাকিস্তান তখনও সন্ত্রাস চালিয়ে যাচ্ছে।’
প্রশ্ন উঠছে তাহলে কাশ্মীর থেকে ৩৭০ ধারা প্রত্যাহার করে কী লাভ হল? দেশের মানুষ শুনেছিলো জম্মু -কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা কেড়ে নিলে পাকিস্তান আর সীমান্তে নাশকতা চালাতে পারবে না। জঙ্গিদের দফা রফা হয়ে যাবে। কিন্তু এখন দেখা যাচ্ছে জঙ্গিরা বহাল তবিয়তে রয়েছে। কেবল লকডাউনের অভিজ্ঞতা আগাম সঞ্চয় করেছেন কাশ্মীরবাসী। এতদিন শোনা যেত পিডিপি কিংবা এনসি-র মদতে জঙ্গিরা এসব করছে। তারাও তো এখন আর ময়দানে নেই। যদি ধরেই নেওয়া হয় সর্ষের মধ্যে ভূত নেই, তাহলেও তো প্রশ্ন থাকে ভুত তাহলে আছে কোথায়? বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলি এমন প্রশ্ন তোলেনি। এ প্রশ্ন সচেতন নেট নাগরিকদের একাংশের।
আরও পড়ুন: দেশে করোনা আক্রান্তদের প্রায় ৩০ শতাংশই নিজামু্দ্দিনের সঙ্গে জড়িত, জানাল স্বাস্থ্য মন্ত্রক