কলকাতা: ঘূর্ণিঝড় আমফানে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষদের আর্থিক সাহায্যের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। সেইমতো প্রায় ৩০ লাখ মানুষকে নগদ টাকা দেওয়া হয়েছে বলে জানালেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
মঙ্গলবার একাধিক টুইটবার্তায় মুখ্যমন্ত্রী জানান, বাড়ি সারাইয়ের জন্য আমফান বিধ্বস্ত পাঁচ লাখ মানুষ, ফসলের ক্ষতি বাবদ ২৩.৩ লাখ কৃষক এবং দু’লাখ পান চাষিকে আর্থিক সাাহায্য করা হয়েছে। সবমিলিয়ে মঙ্গলবার পর্যন্ত ১,৪৪৪ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। আমফান বিধ্বস্তদের সাহায্যের জন্য প্রাথমিকভাবে অবশ্য ১,৩৫০ কোটি টাকা লাগবে বলে ধারণা করা হয়েছিল বলে জানিয়েছেন মমতা।
আরও পড়ুন: PM CARES থেকে পরিযায়ীদের অ্যাকাউন্টে ১০ হাজার করে টাকা চাইলেন মমতা
রাজ্যের কাজের খতিয়ান তুলে ধরার পাশাপাশি করোনাভাইরাস পরিস্থিতির মধ্যেও যেভাবে আমফানের ধাক্কা সামলাতে মানুষ এগিয়ে এসেছেন, তারও ভূয়সী প্রশংসা করেন মুখ্যমন্ত্রী।
মমতা জানান , করোনাভাইরাস মহামারীর মধ্যে রাজ্য সুপার সাইক্লোন আমফান আছড়ে পড়েছিল। ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। তা সত্ত্বেও রাজ্যবাসী ঘুরে দাঁড়ানোর প্রবল আকাঙ্ক্ষা এবং প্রতিশ্রুতিবদ্ধ রাজ্য সরকার ঝাঁপিয়ে পড়ায় দুর্গতদের জন্য ত্রাণ ও পুনর্গঠনের কাজ শুরু করা গিয়েছে।
শুধু ঘোষণা করে দায় সারা হয়নি , প্রশাসনিক স্তরে কতটা কাজ করা হয়েছে, তাও নজরে রাখছে নবান্ন। যে জেলাগুলি আমফানে বিধ্বস্ত হয়েছে, মঙ্গলবার সেগুলির জেলাশাসকদের সঙ্গে বৈঠক করেন মুখ্যসচিব রাজীব সিনহা। খতিয়ে দেখেন ত্রাণ ও পুনর্গঠনের কাজ।
রাজীব সিনহা জানান, জেলাশাসকদের বিজ্ঞপ্তির ভিত্তিতে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের পাঠানো হয়েছে। যাঁদের বাড়ি ভেঙেছে, তাঁদেরও টাকা পাঠানো হয়েছে। তবে কয়েকটি ক্ষেত্রে আইএফএসসি কোড বা ব্য়াঙ্ক অ্যাকাউন্ট নম্বর না পাওয়ায় কিছুটা সমস্যা হয়েছে। আগামী দু’দিনে পুরো বিষয়টি মিটে যাবে বলে আশ্বাস দিয়েছেন মুখ্যসচিব। তবে মাত্র ১২ দিনের মধ্যে যেভাবে ৩০ লাখ মানুষকে আর্থিক সাহায্য করা হয়েছে, তা বড় ব্যাপার বলে মন্তব্য বলে দাবি করেন রাজীব।
আরও পড়ুন: দিনকয়েকের মধ্যেই খুলে যাচ্ছে পেট্রাপোল সীমান্ত বাণিজ্য, ইঙ্গিত দিল নবান্ন