Site icon The News Nest

পুলওয়ামার ধাঁচে হামলার ছক রুখল সেনা, ৪৫কেজি IED নিয়ে হামলার ছক জইশ-হিজবুলের!

ওয়েব ডেস্ক:আবারও বড়সড় হামলার থেকে রক্ষা পেল জম্মু ও কাশ্মীরের পুলওয়ামা। বিরাট গাড়ি বোমা বিস্ফোরণ রুখে দিল বাহিনী। বিস্ফোরক বোঝাই একটি গাড়িকে থামাতেই চম্পট দেয় চালক। গাড়ির ভেতর থেকে উদ্ধার হয় ২০ কেজি IED। যা ভয়ংকর বিস্ফোরণ ঘটাতে সক্ষম।

পরে বম্ব ডিসপোজাল স্কোয়াড IED-সহ গাড়িটি ধ্বংস করে দেয়। বিরাট বিস্ফোরণে এলাকার বহু বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। পুলিশ, সেনাবাহিনী ও আধা সামরিক বাহিনীর যৌথ অভিযানে হামলা রুখে দেওয়া সম্ভব হয়েছে। প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিশ জানিয়েছে, এই গোটা ঘটনার পেছনে জইশ-ই-মহম্মদ ও হিজবুল মুজাহিদিন ছিল।

সেনা সূত্রে খবর, উপত্যকায় ফের পুলওয়ামার মতো হামলা হতে পারে, এই তথ্য আগেই দিয়েছিলেন গোয়েন্দারা। এ দিন পুলওয়ামায় চেক পয়েন্টে তল্লাশি চলাকালীন ওই গাড়িটি ধরা পড়ে। গাড়ির কাগজপত্র দেখে সন্দেহ হয় নিরাপত্তারক্ষীদের। বিপদ আঁচ করে ব্যারিকেড ভেঙে গাড়িটি নিয়ে পালিয়ে যাওয়ায় চেষ্টা করে চালক। 

আরও পড়ুন: উচ্চস্তরীয় বৈঠকে সেনাপ্রধান নরবণে, লাদাখে বিশাল সৈন্য সমাবেশ করে চাপ বাড়াল ভারতও

সেই চেষ্টা সফল হয়নি। গাড়িটি ধরা পড়ে যায়। কাশ্মীর পুলিশের ইনস্পেক্টর জেনারেল (আইজি) বিজয় কুমার বলেন, ‘‘নিরাপত্তারক্ষীরা গুলি চালায়। কিন্তু কোনও ভাবে পালিয়ে যেতে সক্ষম হয় গাড়ির চালক।

তল্লাশিতে গাড়ি থেকে বিপুল পরিমাণে আইইডি উদ্ধার হয়।” তিনি আরও বলছেন, ‘‘হামলা হতে পারে এ খবর আমাদের কাছে আগে থেকেই ছিল। আমরা গত কাল থেকেই ওই গাড়িটিকে খুঁজছিলাম।’’

উদ্ধার হওয়া ওই বিপুল বিস্ফোরক এ দিন নিষ্ক্রিয় করে দেয় বাহিনী। তলব করা হয় বম্ব স্কোয়াডকে। বিস্ফোরক নিষ্ক্রিয় করার আগে আশপাশের বাসিন্দাদেরও সরিয়ে দেওয়া হয়।গত দু’মাস ধরে কাশ্মীরে জঙ্গি হানার ঘটনা বেড়েছে। সীমান্তের ওপার থেকে প্রশিক্ষণ নিয়ে উপত্যকায় ঢুকছে জঙ্গিরা। তাই বাড়ছে সেনা-জঙ্গি সংঘর্ষের ঘটনাও। একাধিক গুলি বিনিময়ের ঘটনায় এই দু’মাসে সেনা অফিসার-সহ ৩০ জন নিরাপত্তা রক্ষী প্রাণ হারিয়েছেন সংঘর্ষে নিহত হয়েছে ৩৮ জন জঙ্গিও। মে মাসের প্রথম দিকে পুলওয়ামায় সেনা ও জঙ্গি সংঘর্ষে নিহত হয় হিজবুল মুজাহিদিনের শীর্ষ নেতা রিয়াজ নাইকু।

গত বছর ফেব্রুয়ারিতে এই পুলওয়ামাতেই বিরাট হামলা চালিয়েছিল সন্ত্রাসবাদীরা। জইশের হামলায় শহিদ হন ৪০ জন CRPF জওয়ান। এরপরই ভারত ও পাকিস্তানের তিক্ততা চরমে ওঠে। গত দু মাসে ফের সন্ত্রাসবাদী হামলার চেষ্টা চলে জম্মু ও কাশ্মীরে। শহিদ হন অফিসার-সহ ৩০ নিরাপত্তা রক্ষী। এই সময়ে খতম করা হয়েছে ৩৮ জন সন্ত্রাসবাদীকে।

প্রশ্ন উঠছে তাহলে ৩৭০ ধারা প্রত্যাহার করে নতুন করে হলটা কী? এখন কেন্দ্রের শাসনে কাশ্মীর। সেখানকার রাজনৈতিক দলগুলোর দফা রফা। অথচ সেখানে নিয়মিত জঙ্গি -জওয়ান সংঘর্ষের খবর মিলছে। তার মানে কি এটিকেও করোনার মতই ভবিতব্য বলে ধরে নিতে হবে ? আজ নয় কাল হয়ত করোনার ভ্যাকসিন বের হবে। কিন্তু কাশ্মীরের কি হবে ?

আরও পড়ুন: স্টেশনেই মারা গিয়েছে পরিযায়ী মা, বছর দেড়েকের সন্তান চেষ্টা করছে জাগাতে!

Exit mobile version