Site icon The News Nest

আজ মহালয়া…দেবীপক্ষ আরও এক মাস পর, জেনে নিন পুজোর সম্পূর্ণ নির্ঘণ্ট

mahalaya 2019 1569598369

‘আশ্বিনের শারদ প্রাতে…’

না, এ বার আর আশ্বিনের শারদ প্রাতে হল কই! পুজো তো এখনও ঢের দেরি। মহালয়ার দিনেও পুজোর অনুভূতিটাই এল না এ বার। আর তার কারণ, আশ্বিনটা যে এ বার মল মাসে পরিণত।

প্রতিবারের মতো এ বারও বীরেন্দ্রকৃষ্ণ ভদ্রের কণ্ঠে চণ্ডীপাঠ শুনে ঘুম ভাঙল আমবাঙালির। আর সেই চণ্ডীপাঠ শুনেই অনেকে বিভিন্ন নদীর ঘাটে চলে গিয়েছেন পিতৃপুরুষদের স্মৃতির উদ্দেশে তর্পণের জন্য। মহালয়ার এক সপ্তাহের মাথায় পুজো, এটাই চিরকালীন নিয়ম। তর্পণের অমাবস্যা শেষে হয়ে শুক্ল প্রতিপদ শুরু হওয়া মানেই পিতৃপক্ষ শেষ করে দেবীপক্ষের সূচনা। কিন্তু এ বার আর ষষ্ঠীতে বোধনের ঢাকে কাঠি পড়তে ছ’দিন নয়, পাক্কা ছত্রিশ দিনের অপেক্ষা।

তবুও বহুদিনের আবেগ তো। ভোর চারটের সময় বীরেন্দ্রকৃষ্ণ ভদ্রের কণ্ঠে ‘আশ্বিনের শারদপ্রাতে বেজে উঠেছে আলোকমঞ্জির..’ শুনেই মনটা হু হু করে উঠেছে। গায়ে কাঁটা দিয়ে উঠেছে। কাশের দোলনায় মন পাড়ি দিয়েছে দেবী দুর্গার কাছে। শুরু হয়ে গিয়েছে প্রতীক্ষা। আর তাই দেখে নিন কবে দেবী দুর্গা মর্ত্যে আসছেন।

আরও পড়ুন: প্রতি বছর একই তারিখে হয় বিশ্বকর্মা পুজো, এবার দিন পাল্টে যাওয়ার কারণ জেনে নিন…

এবারের দুর্গাপুজোর নির্ঘণ্ট

দেবীর আগমন : দেবী দুর্গার দোলায় আগমন। ফল – মড়ক।

ষষ্ঠী : ৪ কার্তিক (২১ অক্টোবর) দুপুর ২ টো ৪৫ মিনিট ১ সেকেন্ডে ষষ্ঠী পড়বে। ৫ কার্তিক (২২ অক্টোবর) দুপুর ১ টা ১২ মিনিট ১০ সেকেন্ড পর্যন্ত ষষ্ঠী থাকবে।

সপ্তমী : ৫ কার্তিক (২২ অক্টোবর) দুপুর ১ টা ১২ মিনিট ১১ সেকেন্ডে সপ্তমী পড়বে। ছাড়বে ৬ কার্তিক (২৩ অক্টোবর) বেলা ১২ টা ৪ মিনিট ১৯ সেকেন্ডে।

অষ্টমী : ৬ কার্তিক (২৩ অক্টোবর) বেলা ১২ টা ৪ মিনিট ২০ সেকেন্ডে অষ্টমী পড়বে। থাকবে ৭ কার্তিক (২৪ অক্টোবর) সকাল ১১ টা ২২ মিনিট ৪১ সেকেন্ড পর্যন্ত।

সন্ধিপুজো : সন্ধিপুজো শুরু হবে ৭ কার্তিক (২৪ অক্টোবর) সকাল ১০ টা ৫৮ মিনিট ৪১ সেকেন্ডে। শেষ হবে সকাল ১১ টা ৪৬ মিনিট ৪১ সেকেন্ডে।

নবমী : নবমী পড়বে ৭ কার্তিক (২৪ অক্টোবর) সকাল ১১ টা ২২ মিনিট ৪২ সেকেন্ডে। ছাড়বে ৮ কার্তিক (২৫ অক্টোবর) সকাল ১১ টা ১১ মিনিট ১৫ সেকেন্ডে পর্যন্ত।

দশমী : ৮ কার্তিক (২৫ অক্টোবর) সকাল ১১ টা ১১ মিনিট ১৬ সেকেন্ডে দশমী পড়বে। থাকবে ৯ কার্তিক (২৬ অক্টোবর) সকাল ১১ টা ৩০ মিনিট ৯ সেকেন্ড পর্যন্ত।

দেবীর গমন : দেবী দুর্গার গজে গমন। ফল – শস্যপূর্ণ বসুন্ধরা।

(যাবতীয় সময় পি এন বাগচি পঞ্জিকা মতে)

আরও পড়ুন: কিভাবে শুরু হয়েছিল পিতৃপক্ষের তর্পণ? জানলে অবাক হবেন

Exit mobile version