Site icon The News Nest

৪৫ বছর পর গ্রেফতার বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডে ‘মোস্ট ওয়ান্টেড’ মাজেদ

bangabandhu

ঢাকা: বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে খুনের পর আর খোঁজ মেলেনি। টানা ৪৫ বছর আত্মগোপন করে থাকার পর, মঙ্গলবার সকালে রাজধানী ঢাকাতেই পুলিশের হাতে ধরা পড়েন চাঞ্চল্যকর রাজনৈতিক খুনে অন্যতম অভিযুক্ত, ফাঁসির আসামি মাজেদ। বিবিসি বাংলা সূত্রে দাবি, এই সাড়ে ৪ দশকের মধ্যে ২০ বছরেরও বেশি সময় তিনি কলকাতায় আত্মগোপন করেছিলেন।

আরও পড়ুন: শবেবরাতের ভীড় এড়াতে বন্ধ থাকছে রাজ্যের সব কবরস্থান,ঘরে থেকেই প্রার্থনার আর্জি মুখ্যমন্ত্রীর

ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের সহকারী সরকারি কৌঁসুলি হেমায়েতউদ্দিন খান হিরনের উদ্ধৃতি দিয়ে বিবিসি জানাচ্ছে, গত ২০ থেকে ২২ বছর ধরে ভারতে আত্মগোপনে ছিলেন মাজেদ। ছিলেন কলকাতায়। তবে, বরখাস্ত এই সেনা অফিসার কলকাতার কোথায় এতগুলো বছর লুকিয়ে ছিলেন, তা স্পষ্ট করেননি।

বাংলাদেশ পুলিশ সূত্রে খবর, গত মার্চের ১৫-১৬ তারিখ নাগাদ মাজেদ বাংলাদেশে ঢোকেন। আবদুল মাজেদকে মঙ্গলবার ভোরে ঢাকার মিরপুর এলাকা থেকে পুলিশের কাউন্টার টেররিজম ইউনিট (সিটিটিসি) গ্রেফতার করে। সিটিটিসি জানিয়েছে, মাজেদের বাংলাদেশে ঢোকার বিষয়টি ইন্টারপোলের কাছ থেকেই তাঁরা জানতে পেরেছিলেন। তার পর থেকেই মাজেদের গতিবিধির উপর তাদের নজর ছিল।

আরও পড়ুন: এবার করোনায় আক্রান্ত ‘কামা সূত্র’-র মায়া, ইনস্টাগ্রামে পোস্ট দিয়ে জানালেন নিজেই

বাংলাদেশের আইনমন্ত্রী জানিয়েছেন, আব্দুল মাজেদকে মিরপুরের সাড়ে ১১ নম্বর এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তিনি ফাঁসির আসামি। ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিদের কারাগারের সলিটারি কনফাইনমেন্টে (পৃথক সেল) রাখা হয়। আব্দুল মাজেদও সলিটারি কনফাইনমেন্টে থাকবে। তিনি বলেন, আব্দুল মাজেদ বঙ্গবন্ধু হত্যার ষড়যন্ত্র এবং হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে প্রত্যক্ষ ভাবে জড়িত ছিলেন। তাঁর বিরুদ্ধে সাক্ষ্য-প্রমাণ পাওয়ার পর, আপিল আদালত তাঁকে মৃত্যুদণ্ড দেয়।

বিশ্বের অন্যতম চাঞ্চল্যকর রাজনৈতিক হত্যাকাণ্ডের একটি বাংলাদেশের জাতির জনক তথা প্রতিষ্ঠাতা রাষ্ট্রপতি শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে খুন। আন্তর্জাতিক মহলে ঝড় উঠেছিল ১৯৭৫ সালের ১৫ অগস্ট।ওই হত্যাকাণ্ডে জড়িত সেনা অফিসারদের একজন আবদুল মাজেদ। অনেকেই এখনও পলাতক। কয়েক জনের এরই মধ্যে ফাঁসিও হয়েছে।

এক নজরে বঙ্গবন্ধুর খুনিরা (মৃত্যুদণ্ড প্রাপ্ত)- ১২ খুনির মধ্যে পাঁচ খুনির মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়েছে,।তারা হল- কর্নেল (অব.) সৈয়দ ফারুক রহমান, কর্নেল (অব.) সুলতান শাহরিয়ার রশীদ খান, লে. কর্নেল (অব.) মহিউদ্দিন আহমদ, মেজর (অব.) একে বজলুল হুদা এবং মেজর (অব.) একেএম মহিউদ্দিন (আর্টিলারি)। বাকি সাতজনের মধ্যে আজিজ পাশা ২০০১ সালে জিম্বাবোয়েতে মারা যায়।

বাকি পলাতক খুনিরা: লে. কর্নেল (বরখাস্ত) খন্দকার আবদুর রশিদ, মেজর (বরখাস্ত) শরিফুল হক ডালিম, লে. কর্নেল (অব.) এএম রাশেদ চৌধুরী, মেজর (অব.) এসএইচএমবি নূর চৌধুরী ও রিসালদার মোসলেম উদ্দিন খান। অভিযোগ গ্রেফতার বা প্রত্যর্পণ ঠেকাতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, পাকিস্তান, লিবিয়া সহ আফ্রিকা ও ইউরোপের বিভিন্ন দেশে তারা লুকিয়ে।

আরও পড়ুন: Super Pink Moon 2020- দেখুন সেরা ছবি বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে

Exit mobile version