Site icon The News Nest

Humayun Ahmed: নারী চরিত্রের বিশেষ কিছু দিক ফুটিয়ে তুলেছেন সুন্দর ভাবে, পড়ুন হুমায়ূন আহমেদের এই সব উক্তি

collage

নারী হৃদয় নিয়ে অনেক সাহিত্যিক অনেক কিছুই বলেই গেছেন। তবে তাদের সব কথা আমাদের অন্তরে এমনভাবে স্থান পায়নি যেমন ভাবে পেয়েছে হুমায়ূন আহমেদের উক্তি গুলোর মাধ্যমে। তাকে নারী বিশ্লেষক বললেও ভুল বলা হবে না। নারী বিষয়ে হুমায়ূন আহমেদের বানী গুলো নীচে পর্যায়ক্রমে দেওয়া হল –

পৃথিবীর সব মেয়েদের ভেতর অলৌকিক একটা ক্ষমতা থাকে। কোন পুরুষ তার প্রেমে পড়লে মেয়ে সঙ্গে সঙ্গে তা বুঝতে পারে। এই ক্ষমতা পুরুষদের নেই। তাদের কানের কাছে মুখ নিয়ে কোন মেয়ে যদি বলে- ‘শোন আমার প্রচণ্ড কষ্ট হচ্ছে। আমি মরে যাচ্ছি।’ তারপরেও পুরুষ মানুষ বোঝে না। সে ভাবে মেয়েটা বোধ হয় এপেন্ডিসাইটিসের ব্যাথায় মরে যাচ্ছে!’

পৃথিবীতে সব নারীদের ডাক উপেক্ষা করা যায়, কিন্তু ‘মা’ এর ডাক উপেক্ষা করার ক্ষমতা প্রকৃতি আমাদের দেয়নি।

যে নারীকে ঘুমন্ত অবস্থায় সুন্দর দেখায় সেই প্রকৃত রূপবতী।

মেয়েরা ব্যাক্তিগত চাহিদার কাছে কখনো পরাজিত হয় না।

মেয়েদের মন পৃথিবীর সবচেয়ে স্পর্শকর জায়গা। এই মন অনেক কঠিন বিষয় সহজে মেনে নেয়, আবার অনেক সহজ বিষয় সহজে মেনে নিতে পারে না।

মেয়েদের আসল পরীক্ষা হচ্ছে সংসার। ঐ পরীক্ষায় পাশ করতে পারলে সব পাশ!

তরুণী মেয়েদের হঠাৎ আসা আবেগ হঠাৎ চলে যায়। আবেগকে বাতাস না দিলেই হলো।আবেগ বায়বীয় ব্যাপার, বাতাস পেলেই তা বাড়ে। অন্য কিছুতে বাড়ে না|

ভদ্র ছেলেদের জন্য মেয়েদের মনে কখনও প্রেম জাগে না। যা জাগে সেটা হল সহানুভূতি |

মেয়েদের স্বভাবই হচ্ছে হালকা জিনিস নিয়ে মাতামাতি করা।

মেয়েরা ভয়ঙ্কর দুর্যোগেও সাজ ঠিক রাখতে ভোলে না।

বেশিরভাগ রূপবতী মেয়ে নকল হাসি হাসে। হাসার সময় ঢং করার চেষ্টা করে। তাদের হাসি হায়েনার হাসির মতো হয়ে যায়।

আরও পড়ুন: জেনে নিন ইমাম গাজ্জালীর অমর বাণী,যা আপনার মনেও আলো জ্বালবে

মেয়েদের সবচে বেশি আনন্দ হয়, যখন ঝগড়াতে স্বামীকে হারাতে পারে। স্বামীর পরাজিত মুখ স্ত্রীর কাছে যুদ্ধে জয়ের মতো।

একটি ছেলে যখন মিথ্যা বলে তখন বোঝা যায় ছেলেটি মিথ্যা বলছে। কিন্তু একটি মেয়ে যখন মিথ্যা বলে তখন বোঝার উপায়নেই মেয়েটি মিথ্যা বলছে।

রূপবতী নারীদের অনুরোধ প্রত্যাখ্যান করতে নেই । প্রত্যাখ্যান করলে অভিশাপ লাগে। রূপের অভিশাপ । রূপ তখন ধরা দেয় না । রূপের অভিশাপে পরা ভয়াবহ ব্যাপার।

প্রকৃতি শুধুমাত্র মেয়েদের মধ্যেই বিপরীত গুণাবলীর দর্শণীয় সমাবেশ ঘটিয়েছে, মেয়েকে যেহেতু সব সময়ই সন্তান ধারণ করতে হয়, সেহেতু প্রকৃতি তাকে করল – শান্ত, ধীর, স্থির। একই সঙ্গে ঠিক একই মাত্রায় তাকে করল- অশান্ত, অধীর, অস্থির।

মেয়েদের তৃতীয় নয়ন থাকে। এই নয়নে সে প্রেমে পড়া বিষয়টি চট করে বুঝে ফেলে।

অতিরিক্ত রূপবতীরা বোকা হয়, এটা জগতের স্বঃতসিদ্ধ নিয়ম।

প্রতিটা মেয়ে হয়ত তার স্বামীর কাছে রানী হয়ে থাকতে পারে না। কিন্তু প্রতিটা মেয়েই তার বাবার কাছে রাজকন্যা হয়ে থাকে।

মেয়েরা গোছানো মানুষ পছন্দ করে না। মেয়েরা পছন্দ করে অগোছালো মানুষ।

কাজল ছাড়া মেয়ে দুধ ছাড়া চায়ের মত।

আরও পড়ুন: সুফি সাধক হাসান বসরীর কালজয়ী উপদেশ সমূহ

 

Exit mobile version