Site icon The News Nest

করোনার গ্রাসে সৌদি রাজপরিবার! আক্রান্ত অন্তত ১৫০ সদস্য

Saudi Royal Family

রিয়াধ: করোনার করাল ছায়া ব্রিটিশ রাজপরিবারে পড়েছিল। আক্রান্ত হয়েছিলেন প্রিন্স অফ ওয়েলস চার্লস। এখন তিনি সুস্থ হয়ে উঠেছেন। কিন্তু জানা গিয়েছে, করোনার থাবা পড়েছে এবার সৌদি রাজপরিবারেও। নিউ ইয়র্ক টাইমসের রিপোর্ট অনুযায়ী, সৌদি রাজপরিবারের বহু সদস্য করোনা আক্রান্ত। সংখ্যাটা প্রায় ১৫০। রিয়াধের শাসক তথা রাজপুত্র নাকি ইনটেনসিভ কেয়ারে রয়েছেন। আর ১২ জনেরও বেশি সদস্য চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তবে গোটা বিষয়টি নিয়ে মুখে কুলুপ এঁটেছে সৌদি রাজপরিবার।

সৌদি রাজ পরিবারে প্রথম উদ্বেগ ছড়ায় রিয়াধের গভর্নর তথা রাজপুত্র ফয়সাল বিন বন্দর বিল আবদুলাজিজ আল সৌদকে নিয়ে। জ্বর, সর্দি-কাশি সব করোনার প্রায় সব উপসর্গ নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন বছর সত্তরের আবদুলাজিজ। তাঁকে ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিটে ভর্তি করে চিকিৎসা চলছে বলে মার্কিন দৈনিক ‘নিউইয়র্ক টাইমস’-এর একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।

আরও পড়ুন: লকডাউনে থাকা ধোনির সময় কাটছে কীভাবে, হদিশ দিলেন সাক্ষী

হাসপাতালের তথ্য ও রাজপরিবারের একাধিক সূত্র সূত্র উদ্ধৃত করে নিউইয়র্ক টাইমসের দাবি, রাজা সলমন ও রাজপুত্র মহম্মদ বিন সলমন ‘সেল্ফ আইসোলেশন’ গিয়েছেন। ৮৪ বছরের রাজা রয়েছেন জেড্ডার কাছে একটি দ্বীপে ঘরবন্দি রয়েছেন। রাজপুত্র সলমন রয়েছেন লোহিত সাগগর উপকূলের একটি নিভৃত স্থানে। তবে রাজ পরিবারের সূত্রে খবর, এখনও রাজ পরিবারের দূর সম্পর্কের সদস্যদের মধ্যেই করোনার সংক্রমণ ছড়িয়েছে। মূল রাজ পরিবারে এখনও সংক্রমণের খবর নেই।

সৌদি রাজ পরিবারের সদস্যদের চিকিৎসা করা হয় কিং ফয়সাল স্পেশালিস্ট হাসপাতালে। ওই হাসপাতালে সৌদি প্রশাসনের পক্ষ থেকে পাঠানো একটি ‘হাই অ্যালার্ট’ উদ্ধৃত করে নিউইউয়র্ক টাইমসের দাবি, ৫০০টি বেড তৈরি রাখার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে। যদ দ্রুত সম্ভব সংক্রামক রোগীদের সরিয়ে ফেলার নির্দেশও দেওয়া হয়েছে। তার পর থেকেই রোগী সরানোর কাজ শুরু হয়েছে বলে খবর।

আরও পড়ুন: মিলল ড্রাগ কন্ট্রোলের ছাড়পত্র, দিনে ১০লক্ষ হাইড্রক্সিক্লোরোকুইন তৈরি হবে কলকাতায়

সৌদি আরবের রাজ পরিবারে রয়েছে প্রায় ১৫০০ সদস্য। তার মধ্যে আবার হাজার খানেক রাজপুত্র। তাঁরা মাঝে মধ্যেই ইউরোপের বিভিন্ন দেশে যাতায়াত করেন। তাঁদের কারও মাধ্যমেই সংক্রমণ ছড়িয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। অন্য দিকে সৌদি আরবে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত প্রায় ৩০০০ মানুষ। মৃত্যু হয়েছে ৪০ জনেরও বেশি। মরুর দেশ সৌদি আরবেই রয়েছে মুসলিম সম্প্রদায়ের দুই তীর্থক্ষেত্র মক্কা ও মদিনা। সেখানে প্রায় সারা বছর দেশি-বিদেশিদের ভিড় লেগেই থাকে। কিন্তু করোনা ভাইরাসের প্রকোপে দুই শহরে সমস্ত ধর্মীয় জমায়েত নিষিদ্ধ করা হয়েছে।

এ বছর জুলাইয়ে রয়েছে হজযাত্রা। সারা বিশ্বের মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষ ওই সময় সৌদি আরবে যান। এ বছরের হজ কর্মসূচি নিয়ে এখনও সরকারি ভাবে কিছু জানানো হয়নি। অন্য দিকে দেশের এক রাজ্য থেকে অন্য রাজ্যে যাতায়াতের উপর নিয়ন্ত্রণ জারি হয়েছে। পাঁচটি গুরুত্বপূর্ণ শহরে জারি হয়েছে ২৪ ঘণ্টার লকডাউন।

আরও পড়ুন: টিকটকের জনপ্রিয়তায় থাবা বসাতে ছোট ভিডিওর ফিচার আনছে ইউটিউব

Exit mobile version