Site icon The News Nest

দেশে করোনা আক্রান্ত ৬৭৬১, মৃত্যু ২০০ ছাড়াল

India 1583953528

নয়াদিল্লি: গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৮৯৬ জন। মৃত ৩৭। শুক্রবার কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তরফে একথা জানানো হয়েছে। একদিনে দেশে এতজনের আক্রান্ত হওয়া কিংবা মারা যাওয়ার ক্ষেত্রে এটি সর্বাধিক বলে মন্ত্রক জানিয়েছে। ভারতে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৬,৭৬১। অন্তত ২০৬ জনের মৃত্যু হয়েছে সংক্রমণের ফলে।

গত কয়েক দিন ধরেই এক দিনের মধ্যে দেশে করোনা-আক্রান্তের সংখ্যা ওঠানামা করেছে। সোমবার  দেশে সেই সংখ্যাটা ছিল ৭০৪। যদিও মঙ্গলবার তা একধাক্কায় কমে হয় ৫০৮। এর পর বুধবার তা আরও কিছুটা কমে গিয়ে হয় ৪৮৫। তবে গত কাল আক্রান্তের সংখ্যা ফের বেড়ে দাঁড়ায় ৫৯১-তে। এ দিন  তা দু’শো পার করেছে। করোনা-আক্রান্তের সংখ্যার নিরিখে মহারাষ্ট্র, দিল্লি বা তামিলনাড়ুর পাশাপাশি উদ্বেগ দেখা দিয়েছে অসমে। 

আরও পড়ুন: রবিবার ফের জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেবেন প্রধানমন্ত্রী, লকডাউন বাড়ানোর ঘোষণা নিয়ে বাড়ছে জল্পনা

এ দিন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে প্রথম মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে অসমে।  সকালে টুইট করে এ কথা জানিয়েছেন ওই রাজ্যের স্বাস্থ্যমন্ত্রী হিমন্তবিশ্ব শর্মা। অসমের হাইলাকান্দি জেলার ৬৫ বছরের এক বৃদ্ধ করোনায় আক্রান্ত হয়ে চিকিত্সাধীন ছিলেন। এ দিন সকালে শিলচর হাসপাতালে তাঁর মৃত্যু হয়। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের দেওয়া পরিসংখ্যান অনুযায়ী, অসমে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ২৯। তবে মহারাষ্ট্র, তামিলনাড়ু বা দিল্লির মতো রাজ্য়গুলিতে করোনা-আক্রান্তের সংখ্যাটা মোটেই স্বস্তিদায়ক নেই। 

করোনা-আক্রান্তের নিরিখে দেশের মধ্যে সবচেয়ে আশঙ্কাজনক অবস্থায় রয়েছে মহারাষ্ট্র। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক জানিয়েছে, মহারাষ্ট্রে এই ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা ১৩৬৪। এর মধ্যে ইতিমধ্যেই সে রাজ্যে মৃত্যু হয়েছে ৯৭ জনের।অন্য দিকে, করোনা-আক্রান্তের নিরিখে তামিলনাড়ুকে পিছনে ফেলে দিয়েছে  দিল্লি।  রাজধানীতে মোট আক্রান্ত হয়েছেন ৮৯৮ জন। পাশাপাশি মৃতের সংখ্যা ছুঁয়েছে ১২। তামিলনাড়ুতে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৮৩৪ জন। মৃত্যু হয়েছে ৮ জনের।

আরও পড়ুন: ১৫ এপ্রিল থেকে এক সপ্তাহের জন্য চালু হতে পারে দূরপাল্লার ট্রেন!

এদিনই ওড়িশার পরে দেশের দ্বিতীয় রাজ্য হিসেবে ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত লকডাউন বাড়ানোর কথা জানিয়ে দিয়েছে পঞ্জাব। ১৪ এপ্রিল পর্যন্ত দেশে লকডাউন ঘোষণা করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। লকডাউনের সময়সীমা বাড়ানো হবে কি না তা নিয়ে আলোচনা চলছে। এরই মধ্যে অন্তত পঞ্জাব ও ওড়িশা জানিয়ে দিয়েছে, তারা লকডাউন সম্প্রসারিত করছে। 

এদিকে শুক্রবার নিজেদের ভুল স্বীকার করে নিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ‘হু’। ভারতে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ সংক্রান্ত পরিস্থিতির যে রিপোর্ট তারা প্রকাশ করেছিল তাতে দেখানো হয়েছিল ভারত এই মুহূর্তে গোষ্ঠী সংক্রমণের পরিস্থিতিতে পৌঁছেছে। কিন্তু এই রিপোর্টে ভুল রয়েছে বলে মেনে নিল ‘হু’। জানিয়েছে ভারতে গোষ্ঠী সংক্রমণ শুরু হয়নি। ‘ক্লাস্টার অফ কেসেস’ তথা গুচ্ছ ঘটনার কথা জানা গিয়েছে।

আরও পড়ুন: রোগ জাত-ধর্ম দেখে হয় না, নিজামুদ্দিন ফেরতদের প্রসঙ্গে সমালোচকদের জবাব মুখ্যমন্ত্রীর

Exit mobile version