Site icon The News Nest

সন্তান জন্মের পরই করোনায় আক্রান্ত মা,বন্ধ হতে পারে মেডিক্যালের ইডেন বিল্ডিং

eden

কলকাতা: সন্তান জন্মের পরই করোনায় আক্রান্ত মা। আর তারপরই বন্ধ করে দেওয়া হল কলকাতা মেডিক্যাল কলেজের ইডেন বিল্ডিং। উল্লেখ্য, করোনার সংক্রমণের জেরে এর আগেই বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে রাজ্যের আরও দুটি হাসপাতাল, হাওড়া জেলা হাসপাতাল ও চিনারপার্ক সংলগ্ন বেসরকারি চার্নক হাসপাতাল। এবার বিপর্যয়ের মুখে কলকাতা মেডিক্যাল কলেজের ইডেন বিল্ডিং।

জানা গিয়েছে, সন্তান জন্ম দেওয়ার পরই নোভেল করোনা ভাইরাসের সংক্রমণে আক্রান্ত হন এক প্রসূতি। সন্তান জন্ম দেওয়ার পরই জ্বর আসে ওই প্রসূতির। সঙ্গে সঙ্গেই তাঁর লালারস পরীক্ষা করা হয়। পরীক্ষার রিপোর্টে ওই প্রসূতির শরীরে করোনার জীবাণু মেলে। এরপরই কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে প্রসূতি রোগ বিভাগের ইডেন বিল্ডিং বন্ধ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় কর্তৃপক্ষ। 

আরও পড়ুন: জ্বর নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি নুসরত জাহানের বাবা, আজই করোনা টেস্টের জন্য লালারস সংগ্রহ

হাসপাতাল সূত্রে খবর, ওই বিল্ডিংয়ে ঢোকা বেরোনোর যাবতীয় পথ পুরোপুরি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। চিকিৎসক, নার্স থেকে শুরু করে স্বাস্থ্যকর্মীদের সকলকে কোয়ারেন্টাইনে পাঠানো হচ্ছে। তৈরি করা হচ্ছে সেই তালিকা। এই মুহূর্তে সুপারের ঘরে জরুরি বৈঠকে বসেছেন হাসপাতাল কর্তারা।

উত্তর কলকাতার বাসিন্দা ওই মহিলা কী ভাবে করোনায় আক্রান্ত হলেন, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তিনি ভর্তি হওয়ার আগে কোথায় কোথায় গিয়েছিলেন? কাদের সংস্পর্শে এসেছিলেন, তাঁর একটি তালিকা তৈরি হচ্ছে। এর পাশাপাশি ওই মহিলার সন্তানের কোভিড-১৯ টেস্ট করা হতে পারে বলে হাসপাতাল সূত্রে খবর।

আরও পড়ুন: মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক হল রাজ্যে, নির্দেশ না মানলে কড়া ব্যবস্থা

বিষয়টি নিয়ে উদ্বিগ্ন চিকিৎসা মহলের একাংশ। কারণ, বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই করোনার লক্ষণ প্রথমে ধরা পড়ছে না। পরে যখন তাঁদের করোনা পজিটিভ রিপোর্ট আসছে, তখন পরিস্থিতি হাতের বাইরে বেরিয়ে যাচ্ছে বলে মনে করছেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষরা। চিকিৎসকদের একাংশের মত, নূন্যতম করোনা উপসর্গ মনে হলেও তাঁদের করোনা টেস্ট করাতে হবে। সেই সঙ্গে করোনা ওয়ার্ডে রাখতে হবে ওই রোগীদের।

একই সঙ্গে যাঁরা হাসপাতালে কাজ করছেন, প্রত্যেকেই পার্সোনাল প্রোটেকটিভ ইকুইপমেন্ট (পিপিই) পরে কাজ করা উচিত বলে মনে করছে চিকিৎসক মহল।

আরও পড়ুন: দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনার বলি ৩৫, মৃত বেড়ে ৩০৮! আক্রান্ত ৯১৫২

Exit mobile version