Site icon The News Nest

মোদীর ডাকে শুরু অকাল দীপাবলি, করোনা মোকাবিলায় রাত ৯টায় নিভল আলো

ani

ওয়েব ডেস্ক:  ‘রাত ন’টায় ৯ মিনিট’। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এই আহ্বান জানিয়েছিলেন শুক্রবার। ঘড়ির কাঁটায় রাত ন’টা বাজতেই নিভে গেল আলো। জ্বলে  উঠল মোমবাতি, প্রদীপ, টর্চ জ্বালিয়ে অকাল দীপাবলি।

রবিবার ঠিক রাত ন’টা থেকে বৈদ্যুতিক আলো নিভিয়ে বাড়ির বারান্দায়, ব্যালকনিতে দাঁড়িয়ে ৯ মিনিট ধরে  মোমবাতি, প্রদীপ, টর্চ বা মোবাইলের আলো জ্বালানোর আহ্বান জানিয়েছিলেন মোদী। প্রধানমন্ত্রীর সেই আহ্বানে সাড়া দিয়ে শুরু হয়ে গেল মোমবাতি, টর্চ, প্রদীপ জ্বালানো। সারা দেশের সঙ্গে রাজ্যের ছবিটাও প্রায় একই। রাজ্যে ঠিক ন’টার সময় নিভে যায় রাজভবনের আলো। জ্বলে ওঠে মোমবাতি। দেশের অন্যান্য প্রান্তেও একই ছবি।

আরও পড়ুন: করোনা পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করতে প্রণব-মনমোহন-মমতাকে ফোন মোদীর, চাইলেন পরামর্শ

গত শুক্রবার সকালে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ভিডিও বার্তায় আহ্বান জানিয়েছেন, রবিবার রাত ন’টায় মোমবাতি, প্রদীপ কিংবা মোবাইলের ফ্ল্যাশলাইট জ্বালিয়ে করোনাভাইরাস সংকটের মধ্যে দেশের প্রতি সংহতি জানান। মোদী বলেন, “১৩০ কোটি দেশবাসীর মহাশক্তি জাগরণ করতে হবে। মহাসঙ্কল্পকে অন্য উচ্চতায় নিয়ে যেতে হবে। তাই ৫ এপ্রিল রবিবার রাত ন’টায় আমি আপনাদের সকলের ন’মিনিট চাইছি। ওই সময়ে আপনারা ঘরের সমস্ত লাইট বন্ধ করে ঘরের দরজা বা বারান্দায় দাঁড়িয়ে ৯ মিনিট ধরে মোমবাতি, প্রদীপ, টর্চ বা মোবাইলের ফ্ল্যাশলাইট জ্বালান।”

তাঁর দাবি, এর ফলে এক অনন্য মহাশক্তির প্রকাশ হবে দেশে। প্রতিটি দেশবাসী একইসঙ্গে লড়াই করার সঙ্কল্প করবেন ওই উজ্জ্বলতায়। তাঁরা মনে করে নেবেন, “হাম আকেলে নেহি হ্যায়, কোয়িভি আকেলা নেহি হ্যায়।” প্রধানমন্ত্রী মনে করিয়ে দেন, ১৩০ কোটি দেশবাসী করোনা দূর করার একই সঙ্কল্প নিয়ে লড়ছে।

আরও পড়ুন: মোমবাতি জ্বালানোর আবেদন বয়কটের ডাক! উড়ে গেল অপর্ণা সেনের ফেসবুক পোস্ট

গত ২২ মার্চ জনতা কার্ফুর দিন তালি-থালি বাজিয়ে দেশের চিকিৎসক, নার্স, স্বাস্থ্যকর্মীদের কুর্নিশ করার আহ্বান জানিয়েছিলেন প্রধামনমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তবে ওই মোদীর আহ্বানে সাড়া দিতে অনেকেই দল বেঁধে রাস্তায় বেরিয়ে পড়েছিলেন। কিন্তু যেখানে সামাজিক দূরত্বের কথা বলা হচ্ছে, সেখানে এ ভাবে দল বেঁধে বেরিয়ে পড়ায় আঁৎকে উঠেছিল দেশবাসী। যেখানে সামাজিক দূরত্বের কথা বলা হচ্ছে, সেখানে এ ভাবে দল বেঁধে বেরিয়ে পড়়ায় আরও সংসক্রমণ বাড়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছিল।

(বিস্তারিত আসছে)

 

Exit mobile version