Site icon The News Nest

পরিযায়ী শ্রমিক,পর্যটক,পডুয়াদের ঘরে ফেরার অনুমতি দিল কেন্দ্রের

নয়াদিল্লি: যে সমস্ত পরিযায়ী শ্রমিকদের (Migrant Labourers) শরীরে করোনা ভাইরাসের কোনও লক্ষণ নেই, তাঁরা নিজের রাজ্যে সফর করতে পারবেন বলে বুধবার জানাল কেন্দ্রীয় সরকার, পাশাপাশি এনিয়ে একাধিক গাইডলাইন প্রকাশ করা হয়েছে।

কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের  নির্দেশিকায় বলা হয়েছে পরিযায়ী শ্রমিকরা নিজের রাজ্যে ফিরতে পারবেন। পাশাপাশি পড়াশোনা করতে বা বেড়াতে গিয়ে আটকে পড়া পর্যটকদেরও নিজের রাজ্যে ফেরার ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে এই নির্দেশিকায়। যাঁদের করোনাভাইরাসে সংক্রমণের কোনও লক্ষণ বা উপসর্গ নেই, তাঁরাই ফিরতে পারবেন।

আরও পড়ুন: সোমবার থেকে রাজ্যের গ্রিন জোনে চালু হচ্ছে বাস-ট্যাক্সি, দেখে নিন আর কীসে কীসে ছাড়

নির্দেশিকায় রয়েছে, ‘‘যাঁরা নিজের রাজ্যে ফিরতে চান, তাঁদের স্ক্রিনিং করা হবে। যাঁদের কোনও উপসর্গ নেই, তাঁদেরই ছাড়া হবে।’’আটকে থাকা মানুষকে ফেরানোর বিষয়টি দেখাশোনা করার জন্য প্রতিটি রাজ্যকেই নোডাল কর্তৃপক্ষ নিযুক্ত করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে৷ নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, লকডাউন চলার কারণে পরিযায়ী শ্রমিক, তীর্থযাত্রী, পর্যটক, ছাত্র এবং অন্যান্য অনেকেই ভিন রাজ্য আটকে রয়েছেন৷ তাঁদেরকে ফেরাতেই এই নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে৷ পাশাপাশি এই ধরনের মানুষকে এক রাজ্য থেকে আর এক রাজ্যে ফেরানোর সময় যাবতীয় বিধিনিষেধ মেনে চলতে হবে বলেও উল্লেখ করা হয়েছে৷

ভিনরাজ্যে আটকে থাকা মানুষকে উদ্ধারের জন্য রাজ্য বা কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিকে নিজেদের মধ্যে আলোচনা করে সহমতের ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত নিতে বলা হয়েছে৷আটকে থাকা মানুষের যাতায়াতের জন্য শুধুমাত্র বাস ব্যবহারের কথা বলা হয়েছে৷ বাসের ভিতরে বসার সময়ও নিরাপদ দূরত্ব বজায় রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে কেন্দ্রের নির্দেশিকায়৷ বাসগুলি জীবাণুমুক্ত করার কথাও বলা হয়েছে৷ পরিযায়ী শ্রমিকদের নিয়ে যাওয়ার সময় সব রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলকেই তাঁদের এলাকার রাস্তা ব্যবহারের অনুমতি দিতে বলা হয়েছে৷

নিজেদের এলাকায় পৌঁছনোর পর প্রত্যেককেই বাধ্যতামূলক স্বাস্থ্য পরীক্ষা করিয়ে হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকতে বলা হয়েছে৷ নিয়মিত তাঁদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করানোর পরামর্শও দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার৷ প্রসঙ্গত, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীদের বৈঠকে পরিযায়ী শ্রমিক সহ ভিনরাজ্যে আটকদের ফেরানোর বিষয়টি উঠেছিল৷ বিষয়টি নিয়ে উদ্যোগী হতে প্রধানমন্ত্রীকে অনুরোধ করেছিলেন বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার৷

আরও পড়ুন: ‘মা নিতে এসেছেন’-মৃত্যুর আগের মুহূর্তে বলেছিলেন ইরফান

Exit mobile version