Site icon The News Nest

এবার হিমাচল প্রদেশে করোনার বলি ১, দেশজুড়ে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৯, আক্রান্ত ৪৬৭

death 2

দেরাদুন: ক্রমশ ভয়ঙ্কর আকার নিচ্ছে করোনার থাবা। সোমবার পশ্চিমবঙ্গের পর এবার হিমাচল প্রদেশেও মৃত্যু হল এক ব্যক্তির। টান্ডার এক হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন ওই ব্যক্তি।

সূত্রের খবর, মৃত ওই ব্যক্তি আসলে তিব্বতি উদ্বাস্তু। সম্প্রতি তিনি ফিরেছিলেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে। রাজ্যের মুখ্য় স্বাস্থ্য আধিকারিক গুরুসদন গুপ্তা সংবাদমাধ্য়মে জানিয়েছেন ৬৯ বছরের ওই ব্যক্তি গত ১৫ মার্চ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে ফিরে আসেন। তারপর তিনি দিল্লিতে এক ব্যক্তির কাছে ছিলেন। অসুস্থ হয়ে পড়ায় ২২ তারিখ তাঁকে ভর্তি করা হয় কাংড়ার বালাজি হাসপাতালে। সেখানে থেকে তাঁকে পাঠানো হয় টান্ডায়। সেখানেই তাঁর মৃত্যু হয়।

আরও পড়ুন:  বেহাল অবস্থা! করোনা টেস্টের যোগ্য নয় এ রাজ্যের কোনও বেসরকারি ল্যাব

এদিকে, দেশের লাফিয়ে বাড়ছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা।সোমবার পৌনে দশটা পর্যন্ত ওই সংখ্যা গিয়ে দাঁড়িয়েছে  ৪৬৭। এর মধ্যে মহারাষ্ট্র ও কেরলে আক্রান্তের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি। মহারাষ্ট্রে এই সংখ্যা ৭১ ও কেরল সংখ্য়াটি হল ৬০। কর্ণটক ও উত্তরপ্রদেশ রয়েছে তিনিশোর কোটায়।

করোনা সংক্রমণ রুখতে লকডাউনের মতো পদক্ষেপ করছে একের পর এক রাজ্য। এই মুহূর্তে দেশের ১৯ রাজ্যে জারি লকডাউন। তার পরেও সাধারণ মানুষের মধ্যে লকডাউন ভাঙার প্রবণতা দেখা দেওয়ায় পঞ্জাবের পর মহারাষ্ট্রেও জারি হয়েছে কারফিউ। সোমবারই রাজ্যগুলিকে লকডাউন না মানলে কড়া আইনি ব্যবস্থা নিতে রাজ্যগুলিকে নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তিনি বলেন লকডাউন নিয়ে প্রশাসনের যাবতীয় নির্দেশিকা যে মানা হচ্ছে, তা নিশ্চিত করতে হবে সব রাজ্য সরকারকে।

আরও পড়ুন: কোভিড-১৯ সংক্রমণ রুখবে হাইড্রক্সিক্লোরোকুইন এবং এজিথ্রোমাইসিনে! তবে সমস্যাও আছে

যদিও এই মারণ ভাইরাসের সংক্রমণ রুখতে শুধুমাত্র সমাজকে লকডাউন করাই যথেষ্ট কি-না, তা নিয়ে প্রশ্নচিহ্ন দেখা দিয়েছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা-র (WHO) কার্যনির্বাহী ডিরেক্টর মাইক রিয়ানের মতে, লকডাউনের মাধ্যমে ভাইরাস সংক্রমণের উপরে আপাতত রাশ টানা সম্ভব হলেও ভবিষ্যতে তা ফের ফিরে আসতে পারে। যে কারণে এই মারণ ভাইরাসকে চিরতরে নির্মূল করতে চিন- দক্ষিণ কোরিয়ার মডেল অনুসরণে করার জন্য বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সরকারের কাছে আবেদন করেছেন তিনি।

Exit mobile version