Site icon The News Nest

করোনা চিকিৎসক-নার্সদের থাকতে হবে হাসপাতালেই,নির্দেশিকা স্বাস্থ্য ভবনের

12345 1

কলকাতা: সরকারি হাসপাতালের যেসব চিকিৎসক, স্বাস্থ্যকর্মীরা সরাসরি করোনা রোগীদের পরিষেবা দিচ্ছেন এখন থেকে তাঁদের বাড়ি যেতে হবে না। হাসপাতালের পক্ষ থেকে তাঁদের থাকা, খাওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে। গোষ্ঠী সংক্রমণ এড়াতে রাজ্যের স্বাস্থ্যদপ্তর থেকে এমনই নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে।

স্বাস্থ্যদপ্তরের নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, সংশ্লিষ্ট হাসপাতালকেই করোনার চিকিৎসায় যুক্ত স্বাস্থ্যকর্মীদের জন্য থাকা, খাওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে।কেবল চিকিৎসক নন, সামনে থেকে মোকাবিলা করা স্বাস্থ্যকর্মীদেরও এই হাসপাতালে থাকার ব্যবস্তা করা হয়েছে। তাঁরা টানা সাতদিন ধরে কাজ করছেন। যার জেরে এই চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের শারীরিক ও মানসিক চাপ যথেষ্ট হচ্ছে। তাছাড়া সরাসরি করোনা রোগীদের সংস্পর্শে আসার ফলে সংক্রমণেরও সম্ভাবনা থেকে যাচ্ছে । মূলত সে কারণেই এমন পদক্ষেপ নিল রাজ্য স্বাস্থ্যদপ্তর। সব জেলাশাসক এবং মেডিক্যাল কলেজের প্রিন্সিপাল এবং জেলার সিএমএইচওদের এই নির্দেশ জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।

মূলত সংক্রমণ রুখতেই এই পদক্ষেপ বলে জানালো স্বাস্থ্য দপ্তর।  ইতিমধ্যেই মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন চিকিৎসক, নার্স ও স্বাস্থ্য কর্মীরা সাতদিন ডিউটি করবেন ও সাতদিন ছুটিতে থাকবেন। যে সাতদিন চিকিৎসা করবেন সেই দিনগুলিতে তাঁরা বাড়িতে যেতে পারবেন না । রবিবারই জেলার সমস্ত মেডিক্যাল কলেজ, হাসপাতাল ও সুপারকে চিঠি পাঠালো রাজ্য স্বাস্থ্য দপ্তর।

আরও পড়ুন:  শুধু ‘পুল’ নয়, সংক্রমণ রুখতে রাজ্যের রেড জোনে শুরু হচ্ছে Rapid Test

কলকাতার কাছকাছি বিভিন্ন জেলায় বসবাসকারী সরকারি হাসপাতালের চিকিৎসক, নার্স, স্বাস্থ্যকর্মীরা কাজের পরে বাড়ি ফিরে যান।রবিবারের নির্দেশিকায় বলা হয়েছে চিকিৎসক, নার্সদের থাকতে হবে হাসপাতালের হেড কোয়ার্টারে। তবে সাতদিনের রোস্টার শেষ হওয়ার পর তাঁরা বাড়ি ফিরতে পারেন বলে নির্দেশিকায় উল্লেখ করা হয়েছে।

স্বাস্থ্য ভবনের তরফে বলা হয়েছে, চিকিৎসক, নার্সরা বাড়িতে ফিরলে পরিবারের অন্যদেরও ঝুঁকি তৈরি হচ্ছে। ব্যাখ্যা করে বলা হয়েছে, প্রতিদিন যাতায়াতের কারণে শারীরিক ও মানসিক ধকল দুই হচ্ছে। চিকিৎসক, নার্সদের যাতে অযথা ধকল না হয় সেই কারণেই এই সিদ্ধান্ত বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য ভবন। নির্দেশিকায় আরও বলা হয়েছে, চিকিৎসক, নার্সদের যদি বাড়িতে এমন কোনও পরিস্থিতি হয় যা এড়িয়ে যাওয়া সম্ভব নয় তাহলে সংশ্লিষ্ট হাসপাতালের সিএমওএইচের অনুমতি নিয়ে বাড়ি যেতে হবে।

কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক কয়েকদিন আগেই চিকিৎসক, নার্সদের সাত দিন কাজ সাত দিন বিশ্রামের প্রোটোকল শুরু করেছে। রাজ্য সরকারও সেই অনুযায়ী সিদ্ধান্ত নিয়েছে। কয়েকদিন আগেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সাংবাদিক বৈঠকে এই ঘোষণা করেছিলেন।সরকারি হাসপাতালের যে সমস্ত চিকিৎসক, নার্স দূর থেকে আসেন তাঁদের হোটেল, লজে রাখার ব্যবস্থা আগেই শুরু হয়েছিল। এবার যাঁদের কাছাকাছি বাড়ি তাঁদেরও থেকে যেতে হবে হাসপাতালে। অর্থাৎ যদি আরজি কর হাসপাতালের কোনও ডাক্তার বা নার্সের বাড়ি যদি ৫০০ মিটার দূরেও হয় তাহলেও তিনি এখন আর বাড়ি ফিরতে পারবেন না।

আরও পড়ুন:  ‘গ্রিন জোন’ পূর্ব বর্ধমানেও এ বার ঢুকে পড়ল করোনা, মিলল প্রথম আক্রান্তের খোঁজ

Exit mobile version