Site icon The News Nest

৭৬ দিন পর লকডাউন উঠল করোনার উৎপত্তিস্থল উহান থেকে, স্বাভাবিক হচ্ছে জনজীবন

euhan open

বেজিং: আজ থেকে ঠিক ৭৬ দিন আগে লকডাউন হয়ে গিয়েছিল ব্যস্ত এক শহর। করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রুখতে গৃহবন্দি হয়েছিলেন শহরবাসী। অবশেষে বিধিনিষেধ উঠল করোনার উৎসস্থল উহান থেকে। করোনা ভাইরাসের কবল থেকে মুক্ত হয়ে এই প্রথম ট্রেন চলল এই প্রদেশে। লকডাউন কাটিয়ে জীবনের ছন্দে ফিরে উহানের জনসাধরণ অনুমতি পেল ট্রেনে ভ্রমণ করার।

নিয়মের বেড়াজালকে শিথিল করে ইউহানের হুবেইতে শুরু হয়েছে ব্যবসা-বাণিজ্য। আজ থেকে অনুমতি পত্র ছাড়া হুবেইয়ের প্রায় ১১ লক্ষ নাগরিককে রাস্তায় বের হওয়ার ও অনুমতি দেওয়া হয়েছে। সরকারের তরফ থেকে জানান হয়েছে, এই হুবেই প্রদেশের কোনও নাগরিকই আর সংক্রমিত নন। তাঁরা সকলেই সুস্থ। চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে লকডাউনের কড়া নিয়মাবলি মেনে চলেছেন হুবেই প্রদেশের নাগরিকরা। করোনা যুদ্ধ জয়ের পর ইয়াং নদীর তীরে করোনা মোকাবিলা করা চিকিৎসক ও স্বাস্থ্য কর্মীদের সম্মানার্থে, তাঁদের ছবি রেখে একটি বিশেষ প্রদর্শনীর আয়োজন করে। চিনের রাষ্ট্রপতি শি জিনপিং করোনা মোকাবিলা করে জয়ী এই ইউহানকে ‘বীরত্বের শহর’ বলে চিহ্নিত করেছেন।

আরও পড়ুন: ১৪ এপ্রিলের পরও স্কুল কলেজ বন্ধ রাখার আর্জি অধিকাংশ রাজ্যের, লকডাউনের মেয়াদ বৃদ্ধি নিয়ে বাড়ছে জল্পনা

উহান শহরে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছিলেন ৫০ হাজারের বেশি মানুষ। তাঁদের মধ্যে মারা গিয়েছেন আড়াই হাজারের বেশি। চিনে মহামারীতে যত মানুষ মারা গিয়েছেন, তাঁদের ৮০ শতাংশ উহান শহরের। প্রায় এক মাস ধরেই অবশ্য সেখানে মহামারীর প্রকোপ কমছে। গত ২১ দিনে শহরে মাত্র তিনজন ওই রোগে আক্রান্ত হয়েছেন। তার মধ্যে গত ১৫ দিনে আক্রান্ত হয়েছেন দু’জন।

চিনের স্বাস্থ্য বিভাগের তথ্য বলছে, ৩ হাজার ৩০০ জনের বেশি মানুষ সেখানে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গিয়েছেন। যদিও চিনের সংবাদমাধ্যম বলছে, প্রশাসন অনেক তথ্য গোপন করছে। করোনা মারা গিয়েছেন প্রচুর মানুষ। কিন্তু চিনের প্রশাসন এত মানুষের মৃত্যুর খবর গোপন করেছে। চিন প্রশাসন জানিয়েছে, ৮৮ হাজার মানুষ এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। যার মধ্যে ৭৭ হাজারের বেশি মানুষ সুস্থ হয়েছেন। এই পরিসংখ্যানের উপরও বিশ্বাস রাখছে না চিন ও আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম।

আরও পড়ুন: গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনার বলি ৩৫, মৃত বেড়ে ১৪৯! আক্রান্ত ৫১৯৪

Exit mobile version