Site icon The News Nest

হাইড্রক্সিক্লোরোক্যুইন দ্রুত আমেরিকায় পাঠান প্লিজ, ভারতের থেকে ওষুধ চেয়ে মোদিকে ফোন ট্রাম্পের

242694 299773bb f9cc 4df1 b804 f96e99551953

নয়াদিল্লি: শনিবার সন্ধেবেলা একটা ট্যুইট করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। আর সেই ট্যুইটে লিখলেন, আমেরিকার প্রেসিডোন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে কথা হয়েছে তাঁর। করোনাভাইরাস মোকাবিলায় দুই দেশ হাতে হাত মিলিয়ে কাজ করবে, ট্রাম্পের সঙ্গে এই কথাও হয়েছে বলে উল্লেখ করেন নরেন্দ্র মোদী। তবে সেই টেলিফোনিক কথাবার্তায় ভারতের প্রধানমন্ত্রীর কাছে একটি অনুরোধ রাখেন ট্রাম্প। সে কথা শনিবার রাতে সাংবাদিকদের কাছে জানালেন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট।

আরও পড়ুন: দেশে করোনা-আক্রান্ত বেড়ে ৩৩৭৪, মৃত্যু ৭৭ জনের

আমেরিকার তরফে ভারতের ওষুধ সংস্থাগুলির কাছে হাইড্রক্সিক্লোরোক্যুইন ডোজ পাঠানোর জন্য বলা হয়েছে। ডোনাল্ড ট্রাম্প বলছেন, মোদীকে ফোনে তিনি ভারত থেকে হাইড্রক্সিক্লোরোক্যুইন ডোজগুলি যত দ্রুত সম্ভব পাঠানোর জন্য অনুরোধ করেছেন। প্রথম থেকেই ট্রাম্প দাবি করে আসছেন, এই ওষুধই আদতে COVID-19 এর গেম চেঞ্জার।

ট্রাম্প আরও বলেন, “ভারত এই ওষুধ প্রচুর পরিমাণে তৈরি করছে। সে দেশের কোটি কোটি মানুষের জন্য এটা প্রচুর পরিমাণে দরকার। চিকিৎসার জন্য এই অ্যান্টি-ম্যালেরিয়া ড্রাগ হাইড্রক্সিক্লোরোকুইন ভারত থেকে নেওয়া হবে।” সাংবাদিকদের কাছে ট্রাম্প বলেন যে, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে তিনি ফোনে বলেছেন, যে পরিমাণ ওষুধের অর্ডার আমেরিকার তরফে করা হয়েছে, সেগুলি তাড়াতাড়িই সেখানে পাঠাতে। পাশাপাশিই বিষয়টিকে গুরুত্বের সঙ্গে যে ভারত এবং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বিবেচনা করছেন, সে কথাও সাংবাদিকদের কাছে জানান ট্রাম্প।

আরও পড়ুন: কোভিড সংক্রমণ থেকে দেশ বাঁচলেও বিদ্বেষ থেকে বাঁচবে কি? প্রশ্ন সর্বত্র

করোনার ছোবলে ইতিমধ্যেই বিধ্বস্ত আমেরিকা। অব্যাহত মৃত্যু মিছিল। এদিকে আমেরিকার ওষুধের ভাঁড়ারে টান পড়েছে। উল্লেখ্য, ম্যালেরিয়ার প্রতিষেধক হিসেবে ভারত দীর্ঘদিন ধরেই hydroxychloroquine ব্যবহার করে আসছে। বিশ্বের সবথেকে বেশি hydroxychloroquine উৎপাদনকারী দেশগুলির মধ্যেও রয়েছে ভারত। করোনা মোকাবিলায় সেই প্রতিষেধক ব্যবহার করা হচ্ছে। তবে গত ২৫ মার্চ সেই ওষুধের (active pharmaceutical ingredient ও ফর্মুলেশন) রফতানির উপর বিধিনিষেধ চাপিয়েছিল ভারত। বিশেষ ক্ষেত্রে বিধিনিষেধ প্রত্যাহারের সুযোগ ছিল। কিন্তু শনিবার নয়া বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, সেই বিধিনিষেধ কোনওভাবে প্রত্যাহার করা যাবে না।

যদিও সংশ্লিষ্ট মহলের মতে, সরকার চাইলে নয়া বিজ্ঞপ্তিতেও পরিবর্তন ঘটাতে পারে। বিশেষযত মোদী-ট্রাম্পের সম্পর্কের কথা মাথায় রেখে মার্কিন মুলুকে hydroxychloroquine রফতানির পথে হাঁটতে পারে নয়াদিল্লি।

আরও পড়ুন: রাহুল গান্ধীর বহু গুরুত্বপূর্ণ কথা মাঠে মারা যাচ্ছে ব্যক্তিত্বের কারণে, করোনা সাবধানবাণী তারই একটি

Exit mobile version