Site icon The News Nest

এবার লেখকের ভূমিকায় তাহসান, বইমেলায় প্রকাশ পাচ্ছে প্রথম বই ‘অনুভূতির অভিধান’

tahsan

নতুন পরিচয়ে হাজির হলেন দেশের তুমুল জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী ও অভিনেতা তাহসান খান। নিজের লেখনী দিয়ে আলো ছড়াতেই গায়ক ও অভিনেতা পরিচয়ের বাইরে এবার তিনি আত্মপ্রকাশ করেছেন লেখক হিসেবে। প্রথমবারের মতো বই লিখেছেন এই গায়ক। বইটির নাম ‘অনুভূতির অভিধান’।

গান আর কবিতা লেখার চর্চাটা অনেক পুরনো। তাই নিজেকে একজন লেখক হিসেবে আত্মপ্রকাশ করার প্রয়াস মস্তিষ্কের কোন এক প্রকোষ্ঠে সুপ্ত অবস্থায় ছিল বলে মনে করেন তাহসান। তিনি জানিয়েছেন,’2020 সালে আমাদের চিরচেনা জীবনে হঠাৎ ধরা দিয়েছিল অবসর। যে অবসরে কোনো কিছু করার ছিল না। তাই তো গল্প, কবিতা লিখেই সময় পার করেছি। লেখালেখির নেশা আগে থেকেই ছিল। কিন্তু কখনও বই প্রকাশ করার কথা ভাবিনি। করোনার লকডাউনে আবারও লেখালেখি শুরু করলাম। তখন ভেবেছি, এখনকার লেখাগুলো নিয়ে বই প্রকাশ করা যায় কিনা? সেই ভাবনা থেকে ‘অনুভূতির অভিধান’ লিখেছি। এটি প্রকাশ করছে অধ্যয়ন প্রকাশনী।’

বই সম্পর্কে বাংলাদেশের এই গায়ক – নায়ক জানিয়েছেন, ‘এই বইতে ২৫টি গল্প রয়েছে; যা আমার জীবনের নানা সময়ের অনুভূতির গল্প। এই বেড়ে ওঠার প্রক্রিয়ায় আমরা মানুষ, সমাজ থেকে অনেক কিছু শিখি। আবার আমাদের অনেক কিছু নিজেদের বিবেক-বুদ্ধি দিয়ে বিবেচনা করতে হয়। কিন্তু একজন মানুষ তার মনের অনুভূতিগুলোর প্রকাশ ঠিক সেভাবে করতে পারে না। যে কারণে শৈশব বা কৈশোর অথবা তার পরবর্তী বয়সে হতাশা চলে আসে। এই বিষয়গুলো নিয়েই আমার বইটি। আমি আমার গল্পে নানা অনুভূতির চর্চার কথা তুলে ধরেছি। আমি বিশ্বাস করি, অনুভূতির চর্চার মাধ্যমে পৃথিবী আরও সুন্দর হবে।’

আরও পড়ুন: বন্ধুর বিয়েতে ‘গেন্দা ফুল’-‘জলেবি বাঈ’ গানে নাচলেন আলিয়া, জমে উঠল অনুষ্ঠান

তিনি আরো বলেন, ‘শ্যাডেনফ্রুয়েডা’ বলে একটা জার্মান শব্দ আছে। যার বাংলা মানে করলে দাঁড়ায়, অন্যের দুঃখে সুখী হওয়া। এটা একটা জটিল অনুভব। আমাদের অনেকের ভেতর এই অনুভূতির বোধ প্রবল। এ রকম সব অনুভূতির কাব্য নিয়ে আমার বই। এগুলো সবই আমার নিজের ব্যক্তিগত জীবন থেকে অনুপ্রাণিত। অভিমান, ভালোবাসা, বিস্ময়, প্রেম—এ রকম সব অনুভূতির গাঁথুনিতে বানানো এই বই। ক্লাসরুমে তো গণিত, বিজ্ঞান, ভূগোল—কতকিছুই শেখায়। কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ যে ব্যাপারটি বাদ দিয়ে যায়, তা হলো ‘হাউ টু ডিল উইথ ইমোশন’। আমি এখানে নানান ইমোশনের গল্প বলেছি। যাতে অনুভূতির আলাপ মানুষের আড্ডায় জায়গা করে নেয়। আশা করছি বইটি সুদূরপ্রসারী ইতিবাচক একটা প্রভাব ফেলতে পারবে।

এরপর কী নিয়মিত বই লিখবেন? এমন প্রশ্নে তাহসানের উত্তর, একজন শিল্পী হিসেবে আমার যখন যেটা ভালো লাগে সেটাই করি। শ্রোতা বা দর্শকরা আমার কাছে যেটা চায়, আমি সেটা করি। এখন এটা পড়ার পর যদি রেসপন্স ভালো পাই বা আমার অডিয়েন্স যদি চায় তবে সামনে আরও লিখবো। এই সময়টাতে আমার লেখার ছিলো, লিখেছি। বাকিটা আসলে ভবিষ্যতের ব্যাপার।

আরও পড়ুন: ”অন্তর্বাস পরেননি কেন?” সোশ্যালে মিডিয়ায় ট্রোলিংয়ের মুখে Darshana Banik

Exit mobile version