গালওয়ান উপত্যকা কাণ্ডে পুনরাবৃত্তি হতে পারে এবার লাদাখের প্যাঙ্গন লেকের দক্ষিণ প্রান্তে। ৩০ অগাস্ট থেকে থেকে ওই অঞ্চলের কয়েকটি পাহাড় দখল করতে চাইছে চিনা সেনা। ভারতীয় সেনা জওয়ানরা ওই অঞ্চল দখলে রেখেছে। তবে ওই অঞ্চলে চিনা সেনাদের মারণ অস্ত্র ‘গুয়ানদাও ব্লেড’ হাতে দেখা গিয়েছে। ইতিমধ্যে চিনা সেনার জমায়েতের কিছু ছবিও প্রকাশ পেয়েছে।
আরও পড়ুন: ২১ সেপ্টেম্বর স্কুল চালু করার জন্য চূড়ান্ত নির্দেশ কেন্দ্রের, জেনে নিন কোন কোন নিয়ম বাধ্যতামূলক
অন্যদিকে, চিনের সরকারি মুখপত্র ‘গ্লোবাল টাইমস’-এর একটি প্রতিবেদনে বুধবার দাবি করা হয়, ভারতের সঙ্গে উত্তেজনার মধ্যেই সীমান্তে সামরিক শক্তি বাড়ানো হচ্ছে। ‘গত দু’সপ্তাহ ধরে ভারতের প্ররোচনায় সীমান্তে নতুন করে উত্তেজনা ছড়িয়েছে। এর ফলে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে সীমান্তে বোমারু, এয়ার ডিফেন্স মিসাইল, আর্টিলারি, সাঁজোয়া গাড়ি, পদাতিক বাহিনী ও স্পেশ্যাল ফোর্স মোতায়েন করা হচ্ছে। পিএলএ দেশের সার্বভৌমত্ব এবং অখণ্ডতা রক্ষা করতে কতটা সক্ষম, এটা তারই প্রমাণ।’
চলতি বছরের মে মাস থেকেই পূর্ব লাদাখ সীমান্তে উত্তেজনার পারদ চড়ছে। প্যাংগং লেক, গলওয়ান, দেপসাং উপত্যকার মতো ভারতীয় ভূখণ্ডে ঘাঁটি গেরে বসেছে চিন। ১৫ জুন রাতে গলওয়ান উপত্যকায় বিনা প্ররোচনায় ভারতীয় সেনার উপর হামলা চালায় চিনা বাহিনী। অনুপ্রবেশকারী পিএলএ-কে রুখে শহিদ হন এক কর্নেল-সহ ২০ জন ভারতীয় সেনা। সংঘর্ষে অনেক চিনা সেনাও প্রাণ হারায়। যদিও সরকারিভাবে হতাহতের সংখ্যা এখনও পর্যন্ত জানায়নি বেজিং।
আরও পড়ুন: গুজব ছড়িয়ে পিটিয়ে খুন, যোগী রাজ্যে দু’দিনে গণপিটুনিতে মৃত ২, ভাইরাল ভিডিয়ো
এরই মধ্যে অগস্টের শেষদিকে পালটা প্যাংগং লেকের দক্ষিণ প্রান্তের বেশকিছু এলাকার দখল নেয় ভারতীয় সেনা। গত কয়েকদিন ধরে এই এলাকা পুনরুদ্ধারেই তৎপর পিএলএ। ভারতীয় সেনা সূত্রে খবর, ৪ সেপ্টেম্বর, শুক্রবার প্রথম প্যাংগংয়ের দক্ষিণপ্রান্ত দখলের চেষ্টা করে চিন। কিন্তু ভারতীয় সেনার তৎপরতায় সেই চেষ্টা ব্যর্থ হয়। এরপর রবিবার এবং সোমবারও ফের চিন ওই এলাকা দখলের চেষ্টা করে। কিন্তু ভারতীয় বাহিনী এক ইঞ্চি জমিও ছাড়েনি। হতাশায় শূন্য়ে বেশ কয়েক রাউন্ড গুলি ছোড়ে পিএলএ। এরফলে ৪৫ বছর পর ভারত-চিন সীমান্তে গুলি চালানোর ঘটনা ঘটে। যদিও গুলি চালানোর অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছে বেজিং। উলটে ভারতীয় সেনার বিরুদ্ধেই পালটা গুলি চালানোর অভিযোগ করেছে চিন।