গুজব ছড়িয়ে পিটিয়ে খুন, যোগী রাজ্যে দু’দিনে গণপিটুনিতে মৃত ২, ভাইরাল ভিডিয়ো

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest

ফের উত্তরপ্রদেশে (Uttar Pradesh) গণপিটুনি। আর সেই বেধড়ক মারে মৃত্যু হল তফসিলি সম্প্রদায়ভুক্ত এক ব্যক্তির। লকডাউনে তিনি তাঁর কিশোরী মেয়েকে বিক্রি করে দিয়েছেন বলে গুজব ছড়ায়। তারই ‘ফলস্বরূপ’ ওই ব্যক্তিকে পিটিয়ে  হত্যা করা হয়েছে বলে অভিযোগ। প্রসঙ্গত, ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে পরপর দু’টি গণপিটুনির (Mob lynching) ঘটনায়  বিরোধীদের সমালোচনার মুখে মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ।

বিরোধীদের দাবি, তফশিলি জাতির অন্তর্ভুক্ত ছিলেন মৃত সর্বেশ দিবাকর। শাসক দলের লোকেদের হাতেই তাঁর মৃত্যু হয়েছে। তবে সেই দাবি উড়িয়ে গিয়েছে উত্তরপ্রদেশ পুলিশ।

ঠেলাগাড়িতে কচুরি বিক্রি করতেন সর্বেশ। তাঁর বাড়ি মনিপুরী এলাকায়। তাঁর সঙ্গে থাকতেন তাঁর ১৬ বছরের কন্যা। সে একটি স্থানীয় স্কুলে পড়ে। পাশাপাশি পরিচারিকার কাজ করত। কোভিডের কারণে তাঁর ও মেয়ের দুজনের হাতে কাজ না-থাকায় প্রবল দারিদ্র্যের মধ্যে দিন কাটাচ্ছিলেন তাঁরা। সে জন্যই দিন কয়েক আগে মেয়েকে এক আত্মীয়ের বাড়িতে কিছুদিন থাকার জন্য পাঠিয়ে দেন বাবা।

কিন্তু এলাকায় গুজব ছড়ায় যে পেট চালাতে মেয়েকে তিনি বিক্রি করে দিয়েছেন। অভিযোগ, সেই গুজবের ভিত্তিতেই রবিবার রাতে সরবেসকে বেধড়ক মারধর করা হয়। হাসপাতালে নিয়ে গেলে তাঁর মৃত্যু হয়। যদিও পুলিশ এই গুজবের ভিত্তিতে মারধরের অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছে।

গোটা ঘটনার ভিডিওটি টুইটারে পোস্ট করে সমাজবাদি পার্টির নেতারা। তাতে দেখা গিয়েছে, কয়েকজন মিলে সরবেশকে তাঁরই বাড়ির ছাদে মারধর করছে। কখনও হাতজোড় করে আবার কখনও পা ধরে ক্ষমা চাইছে সরবেস। কিন্তু তাতেও মার থামেনি। চড়-কিল-ঘুষি চলতে থাকে। শেষপর্যন্ত মাটিতে লুটিয়ে পড়েন তিনি। পুলিশের দাবি, তাঁরাই সরবেশকে উদ্ধার করে জেলা হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানেই তাঁর মৃত্যু হয়।

সেই ভিডিয়ো ট্যুইটারে পোস্ট করেছে সমাজবাদী পার্টি। সর্বেশকে পিটিয়ে খুন করার পেছনে বজরং দলের হাত রয়েছে বলে অভিযোগ করেছে তারা। এই ঘটনার নিন্দা করে ট্যুইট করেন বহুজন সমাজ পার্টির প্রধান মায়াবতীও। তিনি লিখেছেন, ‘গতকাল উত্তরপ্রদেশের মণিপুরীতে সর্বেশ কুমার নামে এক দলিতকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে। যে ভাবে মহারাজগঞ্জে গোবিন্দ চৌহানকে, শাহজাহানপুরে রাজবীর মৌর্যকে, বরেলিতে ওয়াজিদকে খুন করা হয়েছিল। এটা খুবই দুঃখের।’

রবিবারই উত্তরপ্রদেশের বরেলি জেলার একটি গ্রামে পিটিয়ে খুনের ঘটনা ঘটে। যার জেরে প্রাণ যায় ৩২ বছরের বসিদ খান নামে এক ব্যক্তির। গণপিটুনির জেরে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের কারণেই মারা যান তিনি।

 

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest