Site icon The News Nest

একদিন আগেই মুক্তি পেল Family Man 2, দেখার আগে জেনে নিন এই ৫টি তথ্য…

The Family Man Season 2

ফের একবার খবরে ‘দ্য ফ্যামিলি ম্যান ২’। তবে কোনও বিতর্কের জন্য নয়। স্রেফ তার স্ট্রিমিংয়ের জন্য। মুক্তি পাওয়ার কথা ছিল ৪ জুন শুক্রবার। কিন্তু সবাইকে চমকে দিয়ে কোনওরকম ঘোষণা ছাড়াই একদিন আগে ৩ জুন ওটিটি প্ল্যাটফর্মে দিব্যি স্ট্রিমিং শুরু হয়ে গেছে বহু প্রতীক্ষিত এই ওয়েব সিরিজের দ্বিতীয় সিজনের। নির্ধারিত সময়ে ‘দ্য ফ্যামিলি ম্যান ২’-কে হাজির করার পিছনে দায়ী একমাত্র অ্যামাজন প্রাইম ভিডিও কর্তৃপক্ষ। স্বাভাবিকভাবেই প্রিয় ওয়েব সিরিজের নতুন সিজনের দেখা প্রতীক্ষিত সময়ের আগে পেয়ে যারপরনাই অবাক অনুরাগীরা। এবং বলাই বাহুল্য খুশিও। সব মিলিয়ে আপাতত নেটদুনিয়ায় এই গোটা ঘটনা নিয়ে শুরু হয়েছে মজাদার মিমের বন্যা।

দুই দেশের পারস্পরিক চুক্তি, দেশের নিরাপত্তা, রাজনৈতিক নেতাদের জেদ, চরমপন্থীদের নৃশংশতা আর এই সবকিছুর সঙ্গে সমান্তরাল ভাবে চলা দেশের নিরাপত্তার জন্য কয়েকজন নিরাপত্তাকর্মীর নিরলস শ্রম ও আত্মত্যাগ – এই সূত্র ধরে একটি ওয়েব সিরিজের গল্প যেমন টানটান চমকপ্রদ হওয়া উচিত, এ গল্প ঠিক তেমনই। পরতে পরতে রাখা আছে থ্রিল। টানটান গল্পের গতি। জোরালো অভিনয়। সেই সঙ্গে চিত্রনাট্য জুড়ে হিউমারের দারুণ ব্যবহার। সব মিলিয়ে এই ধরনের ওয়েব সিরিজ থেকে দর্শকের প্রত্যাশা যেমন থাকে, পরিচালক রাজ-ডিকে জুটি ঠিক তেমন ভাবেই সাজিয়ে উপহার দিয়েছেন নয়া সিজন। ফলে, এবারও দর্শকের আশাপূরণের ট্র্যাডিশন বজায় থাকছে।

আরও পড়ুন: মাত্র ১০ টাকার বিনিময়ে মিলবে নুসরাত ফারিয়ার ডিজাইনার পোশাক!

গল্প ছাড়া নয়া সিজন সম্পর্কে আর যে পাঁচটি কথা না জানলেই নয় –

১) আগের সিজনের গল্প যেখানে শেষ হয়েছিল, সেই অধরা কাহিনির উপসংহার কি নতুন সিজনে পাওয়া যাবে? ট্রেলার দেখে এর আঁচ পাওয়া যায়নি। অনেকটাই নতুন গল্প বলে মনে হয়েছিল। হ্যাঁ, এখানে গল্প নতুন। নতুন করে চরমপন্থী বনাম দেশের নিরাপত্তাকর্মীদের প্রতিদ্বন্দ্বিতা শুরু। তবে গতবারের কাহিনির পরিণতিও কিন্তু এখানে আছে। যেখানে তা শেষ হয়েছে, অনেকটা সেই পথ ধরেই এগিয়েছে নতুন গল্প।

২) কেবলমাত্র সাফল্য নয়, ব্যর্থতাও জীবনের অঙ্গ। তা স্বীকার করে নিতে হয়। এই কথাটি বেশ অন্তর্লীন ভাবেই বুঝিয়ে দিয়েছেন পরিচালকরা। এককালে বলিউডের হিরোকেন্দ্রিক সিনেমায় নায়ককে জিততেই হত। এখানেও শেষমেশ টিম শ্রীকান্তকে জয় হাসিল করতে হয়। কিন্তু তার ভিতর ভিতর কোথাও থেকে যায় ব্যর্থতার গল্পগুলোও। তা যে রক্তক্ষরণ ঘটায় গোপনে, সেই সত্যিটুকু এখানে অস্বীকার করা হয়নি। যত আধুনিক সরঞ্জামই থাকুক হাতে, যত সাহস, বীরত্ব থাকুক না কেন, জীবনের সাপলুডোতে কখনও মই, কখনও সাপের মুখ থাকে। টাস্কের দায়িত্বে থাকা অফিসারদের ক্ষেত্রেও যেমন তা সত্যি, তেমনই সত্যি বোধহয় আধুনিক জীবনের মানুষদের ক্ষেত্রেও।

৩) শ্রীকান্ত ও তাঁর স্ত্রী সুচিত্রার জীবনে সম্পর্কের টানাপোড়েন গত সিজনেই দেখানো হয়েছিল। এই সিজনে তা অনেকটা জায়গা জুড়ে থেকেছে। গল্পের প্লটের পাশাপাশি এই সাবপ্লট যত এগিয়েছে তত আধুনিক জীবনের জটিলতার মানচিত্র স্পষ্ট হয়েছে। বস্তুত, জীবন কেবলমাত্র সাদা-কালোর উজ্জ্বল ছবি নয়, তার ভিতর যে ধূসর অঞ্চল থাকে, তাও অস্বীকারের জায়গা নয়। সম্পর্কের এই গল্পটি বারবার সেই দিকটাই তুলে ধরে।

৪) এই ওয়েব সিরিজের একটি স্তম্ভ যদি গল্প হয়, অন্যটি সন্দেহাতীত ভাবেই অভিনয়। শ্রীকান্ত চরিত্রে মনোজ বাজপেয়ী (Manoj Bajpayee) যে পরিচালকের তুরুপের তাস, সে-কথা আলাদা করে বলার প্রয়োজন নেই। ঠান্ডা মাথার একজন টাস্কের নিরাপত্তাকর্মী, যার মুখের নির্ভয় রেখায় ধরা পড়ে ইস্পাতকঠিন একজন মানুষ। সেই তিনিই যখন একজন ক্লান্ত স্বামী, কিংবা বাবা, অথবা রসিক বন্ধু তখন যেন একেবারে অন্য এক মানুষ – সব মিলিয়ে যতক্ষণ মনোজ পর্দায় থেকেছেন দর্শক চোখ ফেরাতে পারেননি। এই সিরিজে তাঁর যা দায়িত্ব ছিল, তা তিনি শুধু পূরণ করেননি, তাঁর মতো তুখোড় অভিনেতা জীবনের এই পর্বে পরিমিত ও মার্জিত অভিনয়কে একটা অন্য মাত্রায় নিয়ে গেছেন এখানে।

আরও পড়ুন: পাকিস্তানি টিভি সিরিজে বাজল রবীন্দ্র সংগীত! উচ্ছাস বাঙালি নেটিজেনদের

Exit mobile version