Site icon The News Nest

মমতার কাছে গান শুনতে চাইতেন গীতশ্রী? আসল সত্যি লেখা সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়ের আত্মজীবনীতে

sandhya

গত সপ্তাহেই প্রয়াত হয়েছেন গীতশ্রী সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়। কিংবদন্তি গায়িকার এই মৃত্যুতে শোকে ভেঙে পড়েন অনেকেই। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও ভারাক্রান্ত মন নিয়ে জানিয়েছিলেন যে তিনি নিজের ‘অগ্রজা’কে হারিয়েছেন।

সেই সময় সাক্ষাৎকারে বলা মমতা একটি কথা মুহূর্তে ভাইরাল হয়ে যায়। তিনি জানিয়েছিলেন, “সন্ধ‍্যা মুখোপাধ‍্যায় নিজে এত ভাল গান করতেন। আর এদিকে আমাকে বলতেন, মমতা একটা গান শোনাও না। আমি বলতাম, আপনি আমাকে বলছেন! আপনি নিজে সঙ্গীত বিশারদ। তাও গাইতে বলতেন। তাই আমাকে কতবার সন্ধ‍্যাদিকে গান গেয়ে শোনাতে হয়েছে”।

মমতার এই কথা নিয়ে ব্যাপক ট্রোল হতে শুরু করে। গীতশ্রী সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায় গান শুনতে চাইতেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে, একথা মেনে বিশ্বাস করতে পারেন নি অনেকেই। এবার এই নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি পোস্ট করলেন অভিনেত্রী সুদীপা বন্দ্যোপাধ্যায়। সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়ের আত্মজীবনীর একটি অংশ ছবি তুলে শেয়ার করেছেন তিনি।

আরও পড়ুন: Nusrat Imrose Tisha: মেয়েকে সঙ্গে নিয়ে প্রথম জন্মদিন উদযাপন তিশার, আনন্দে মাতোয়ারা ফারুকী

কী লেখা রয়েছে তাতে? নিজের আত্মজীবনে সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায় লিখেছেন, “মমতা একবার ফোনে আমাকে ‘প্রাণ ভরিয়ে তৃষা হরিয়ে’, শুনিয়ে বেশ অবাক করে দিয়েছিল। এত সুন্দর গেয়েছিল। জিজ্ঞেস করেছিলাম- তুমি গান শিখতে? এত সুন্দর গাইলে! ও লজ্জিতবাবে বলেছিল, ছোটবেলায় শিখেছিলাম। ওই একটু-আধটু গাইতে চেষ্টা করি সন্ধ্যাদি।”

শুধু তাই নয়, একবার নাকি গীতশ্রীর জন্মদিনে মুখ্যমন্ত্রী ফোন করেছিলেন শুভেচ্ছা জানানোর জন্য। তখনও সন্ধ্যাদেবীর মনে হয়েছিল, যেন তাঁর আরেক মেয়ে ফোন করেছে। সেইসময়ও মমতার কাছ থেকে গান শোনার আবদার রেখেছিলেন তিনি। কিন্তু সেদিন মুখ্যমন্ত্রী জলপাইগুড়িতে মিটিংয়ে থাকায় গান শোনাতে পারেননি। বলেছিলেন, অন্য কোনও দিন শোনাবেন।

এই পোস্ট করে সুদীপার মন্তব্য, “গীতশ্রী সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়ের আত্মজীবনীর এই পৃষ্ঠাটা দেখে চমকে উঠলাম, সবার সাথে শেয়ার করতে খুব ইচ্ছে হলো। কোনো মন্তব্য করতে চাই না আমি এই ব্যাপারে, ওঁর মতো একজন বিদগ্ধ ব্যক্তিত্বের লেখা নিয়ে মন্তব্য করার যোগ্যতাও আমার নেই। তবে এটুকুই বলার, আমরা না জেনে কত কিছুকে “ডাঁহা মিথ্যে, এ হতেই পারে না” ভেবে কতরকম মন্তব্যই না করি, হাসাহাসি করি।”

আরও পড়ুন: Taslima Nasrin: ফের ফেসবুকে নিষিদ্ধ হলেন তসলিমা নাসরিন! কেন?

Exit mobile version