Site icon The News Nest

পিতৃপক্ষেই মায়ের বোধন! পুজোর ৪১ দিন আগেই উমা এল ট্যাংরার দাস বাড়িতে

Durga Puja 768x427 1

করোনা আবহে পুজো হবে কী ভাবে? চিন্তায় পুজো কমিটিগুলি। ট্যাংরা শীল লেনের দাস বাড়ির ছবিটা অবশ্য অন্য। পঞ্জিকা মতে ষষ্ঠীর ৪১ দিন আগে শুক্রবার শুরু দুর্গাপুজো। পিতৃ পক্ষের কৃষ্ণা নবমীর আর্দ্রা নক্ষত্র থেকেই নিয়ম মেনে দেবীর আরধনা শুরু হয় এই বাড়িতে। এ বারও তার ব্যতিক্রম হয়নি।

প্রতিমা চলে এসেছে। চক্ষুদান পর্ব সারা। পুরো দমে পুজো মুডে ট্যাংরার শীল লেনের এই বনেদি পরিবার। দেড় মাস ধরে উৎসব। এ বার আশ্বিন মাস মল মাস হওয়ায় মহালয়া পর্যন্ত দেবী আরধনা চলবে। তারপরের একমাস নিত্যপুজো। এমনিতে দাস বাড়ির পুজো শুরু হয় ১৬ দিন আগে কৃষ্ণপক্ষের নবমীতে। কিন্তু এ বারে মলমাস পড়ায় তিথি এগিয়ে এসেছে অনেকটা। ফলে শুক্রবারেই হয়ে যাবে দেবীর বোধন। তারপর মহালয়া পর্যন্ত পৌরাণিক নিয়মে হবে পুজো। তারপর দিন থেকে প্রতিপদ পর্যন্ত নিত্যপুজো চলবে। ফের প্রতিপদ থেকে ষষ্ঠী বিশেষ পুজোর পর সপ্তমী থেকে নবমী পর্যন্ত হবে মহাপুজো।

আরও পড়ুন: পণ্ডিতদের আবেদন খারিজ, পুজোর ৭ দিন আগে বাজবে না মহিষাসুরমর্দিনী

করোনাকালে স্বাস্থ্যবিধি মেনে পুজোর আয়োজন করা হয়েছে। প্রতিমা থেকে পুজোর সরঞ্জাম সব স্যানিটাইজ করা হয়েছে। গোটা ফল উৎসর্গ করা হবে। দুরত্ববিধি মেনে পুজোয় বসবেন পুরোহিত। মাস্ক পরা মাস্ট। কিছু নিয়মে কাটছাঁট হয়েছ। মণ্ডপে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার নির্দেশিকা লাগানো হয়েছে। বাড়িতে ঢোকার সময় হাত স্যানিটাইজ করা হচ্ছে। পরিবারের সব সদস্যদের মায়ের কাছে একটাই প্রার্থনা। বধ হোক করোনাসুর।

দাস পরিবারের দুই সন্তান। দিদি মৌমিতা দাস পেশায় চিকিৎসক এবং ভাই প্রসেনজিৎ দাস পেশায় ইঞ্জিনিয়ার। তারাই পুজোর সমস্ত আয়োজন করেন। পিতৃপক্ষে মায়ের আরাধনা কেন? প্রসেনজিৎবাবুর উত্তর, “দুর্গা মায়ের নাম তো রোজই আমরা নিয়ে থাকি। তাছাড়া শাস্ত্র মেনেই আমরা সমস্ত আয়োজন করি। মায়ের পুজোর তো নানা রীতি চালু আছে। আমরা বৃহৎনন্দিকেশ্বর প্রথা মেনেই সনাতন সংস্কৃতিকে ধরে রেখে মায়ের আরাধনা করি।” এবার নিয়ে ১৩ বছর প্রতিমা পুজো হচ্ছে দাস বাড়িতে। এর আগে ঘট পুজোর প্রচলন ছিল। তবে করোনার কোপে পুজোতেও কাটছাঁট করতে হয়েছে।

আরও পড়ুন: যাবতীয় বাধা-বিপত্তি দূর করতে চান? জপ করুন গণেশের দ্বাদশ নাম অক্ষর…

Exit mobile version