Site icon The News Nest

এবার রাজ-শুভশ্রীর আবাসনে করোনার হানা! আতঙ্কে সেলেব দম্পতি

কলকাতা: বাইপাসের ধারের অত্যন্ত অভিজাত আবাসন। করোনা রুখতে লকডাউনের যাবতীয় বিধি মেনে সেখানে কড়াকড়িও বিস্তর। কারণ, যে কেউ নন, সেখানকার আবাসিকদের
তালিকায় রয়েছেন টলিউডের তাবড় ব্যক্তিত্ব। আছেন রাজ-শুভশ্রী, পায়েল সরকার, অরিন্দম শীলেরা। এ হেন আবাসনেই এ বার হানা দিল করোনা! এখানকারই এক আবাসিককে করোনা সংক্রমণ নিয়ে ভর্তি হতে হয়েছে হাসপাতালে। ফলে তীব্র আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে তাঁদের মধ্যে।

রাজ-শুভশ্রীর জীবনে নতুন অতিথি আসা এখন সময়ের অপেক্ষা। এই সময়েই করোনার ভয়াল থাবা চিন্তা বাড়িয়ে দিচ্ছে গোটা পরিবারের। বাইপাসের ওই আবাসনে কোভিড পজিটিভ ধরা পড়ায় আতঙ্কের সুর পরিচালক রাজ চক্রবর্তীর গলায়। তিনি জানিয়েছেন, “আমার বাড়িতে প্রেগন্যান্ট স্ত্রী, বাবা-মা বয়স্ক, এত সচেতনতা বজায় রেখেও সেই করোনা ঢুকল! যিনি করোনা নিয়ে এলেন তিনি এখন হাসপাতালে। তিনি সুস্থ হয়ে উঠুন, কিন্তু তিনি লকডাউনের সময় নিয়ম না মেনে বাইরে বেড়িয়েছেন, তিনি সরকারি নিয়মকে অগ্রাহ্য করলেন! তার ফল আমাদের সব্বাইকে ভুগতে হচ্ছে।” রীতিমতো চিন্তায় পড়েছেন রাজ। জানালেন, তাঁদের আবাসন সিল করা না হলেও করোনা সংক্রমণের খবর ছড়িয়ে যাওয়ায় আবাসনকে স্যানিটাইজ করা হয়।

অভিনেত্রী পায়েল সরকার যেমন বললেন, “কড়া নিরাপত্তার মধ্যে আমাদের আবাসনকে মুড়ে রাখা হয়েছিল। লকডাউন প্রায় শেষের দিকে, এই অবস্থায় আমাদের আবাসনেই কোভিডের খবর মেলাটা খুব দুর্ভাগ্যজনক! আমি তো শুধু হাঁটার জন্যই নীচে নামতাম। এ বার সেটাও হবে না।”

আরও পড়ুন: পোশাকহীন শরীরে জড়িয়ে অজগর! ২৫ বছর আগের ছবি নিয়ে আবেগপ্রবণ মিলিন্দ

পরিচালক অরিন্দম শীল জানিয়েছেন, তাঁদের আবাসনে গৃহ পরিচারিকা থেকে গাড়ির চালক— কাউকেই ঢুকতে দেওয়া হত না। বাইরে থেকে সব্জিওয়ালা, দুধ আর নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিস কেনা হত, এমনকি টাকাও হাতে হাতে না নিয়ে টেবিলে রেখে পরে নেওয়া হত। তা হলে এই বিপদ ঘটল কেমন করে? অরিন্দম শীলের গলাতেও আক্ষেপ, “আমরা ওর পরিবারের জন্য সমব্যথী। আমরা ওঁর দ্রুত আরোগ্য কামনা করি। এটা যে কারওরই যে কোনও সময় হতে পারে। তবে সকলেরই উচিত নিয়ম মেনে চলা।”

করোনার প্রবেশে স্বভাবতই পুরো আবাসনের মানুষ হতাশ, কেউ কেউ রেগে আছেন সেই মানুষটির উপর যিনি প্রথম করোনা আনলেন বাইপাসের এই বিশাল আবাসনে। ওই ব্যক্তির দ্রুত আরোগ্য কামনা করার পাশাপাশি রাজ বলছেন, “এক জন মানুষ যে ভাবে করোনা নিয়ে এলেন তাতে পুরো আবাসনের মানুষ তাঁর উপর প্রচণ্ড রেগে আছে। আবাসনের লোকজন কাল এসে আমায় বলে উনি কোনও দিনই কোনও নিয়ম মানতেন না!

নিজের ইচ্ছেমতো বাইরে বেরিয়ে যেতেন। এমনকি, লকডাউনের আগেও গাড়ি অবধি আবাসনের নিয়ম মেনে রাখতেন না। আমাদের ফ্ল্যাটের কয়েকটি তল নীচেই ওঁরা থাকেন। আমাদের দুশ্চিন্তা বাড়ল।” এই প্রসঙ্গে রাজ জানালেন, শুভশ্রীর শরীরের কথা ভেবে তিনি নিজেও বাজার যাচ্ছিলেন না। তাঁর জামাইবাবুই বাজার করে দিচ্ছিলেন। রাজের আশঙ্কা, “এ বার তো আমার জামাইবাবুকেও আসতে বলতে পারব না। খাব কী? এর পর কী হবে জানি না!”

আরও পড়ুন: বিয়ে ভাঙছে নওয়াজের! বিচ্ছেদের মামলা দায়ের করলেন আলিয়া

Exit mobile version