গতকালই রাজনীতির ময়দানে নেমে সামনে থেকে ব্যাটিং করার জন্য শাসক দলে নাম লেখান সৌরভ দাস। বাংলা সিনেমা বিশেষত ওয়েব সিরিজে চলে তাঁর একচ্ছত্র রাজত্ব! চরিত্রহীন, মন্টু পাইলটের মতো বহু সিরিজে তিনি নজর ও মন কেড়েছেন নেটিজেনদের।
আর তৃণমূলের ককপিটে ওঠার পরেই, মন্টু পাইলটের একটি ভিডিও ভাইরাল সোশ্যাল মিডিয়াতে। সেখানে দেখা গেছে একটি মেয়ের সঙ্গে অশালীন আচরণ করছেন তিনি। ভিডিওটি একটি বড় ভিডিও থেকে কাটা ক্লিপ। কয়েক সেকেন্ডের। তাই দেখেই নিন্দার স্রোত বয়ে গেছে সোশ্যাল মিডিয়ার উঠোন জুড়ে।
দু-দিন আগেই ছিল অভিনেতার জন্মদিন। সেই জন্মদিনের সেলিব্রেশনের সময়কারই ভিডিয়ো সেটি। অভিনেতা যেই সময় ওই তরুণীর সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা তৈরির চেষ্টা করছিলেন, পাশেই ছিল তাঁদের বাবাও। গোটা ঘটনা কিছুতেই মেনে নিতে পারছেন না নেট নাগরিকরা। এই নিয়ে শুক্রবার রাতে বিস্ফোরক ফেসবুক পোস্ট লেখেন অভিনেত্রী সুদীপ্তা চক্রবর্তী।তিনি লেখেন- ‘কুরুচিকর, বিকৃতমনষ্ক, অবিশ্বাস্য! কখনও তার সঙ্গে কাজ করিনি। খুব কমবারই দেখা হয়েছে হয়ত, কিন্তু যে আমার এক জুনিয়র সহকর্মী। আজ ওর জন্য আমি অভিনয় জগতের অংশ হিসাবে লজ্জাবোধ করছি!! মানে..ওটা কী এক্সাইটেমন্টের অভিব্যক্তি? সত্যি কি তাই? বাবা-বোনের উপস্থিতিতেই এই কাণ্ড? আমি জানি না, আমি ভীষণ কনফিউজড, আমি হতবাক!!!’
আরও পড়ুন: ভিলেন হয়ে প্রথমবার বড় পর্দায় শন, দেরাদুনে শ্যুটিং সারছেন ঋতুপর্ণার সঙ্গে
অভিনেতা ভাস্বর চট্টোপাধ্যায়ও ফেসবুকে ক্ষোভ প্রকাশ করে লেখেন- ‘জানি না কী লেখা উচিত,তবে সব অভিনেতারাই আজ বড্ড ছোট হল। মারাত্মক!’
শুক্রবার দিনভর ওই ভাইরাল ভিডিয়ো ঘিরে চলা চাপানউতোরের পর গভীর রাতে গোটা বিষয় নিয়ে সাফাই দেন অভিযুক্ত অভিনেতা। সোশ্যাল মিডিয়ায় দীর্ঘ পোস্ট লেখেন, সঙ্গে শেয়ার করেন নিজের জন্মদিনের সেলিব্রেশনের সেই মুহূর্তের ভিডিয়ো। অভিনেতার পোস্ট করা ভিডিয়োটি অবশ্য কয়েক সেকেন্ডের নয়, প্রায় ৬ মিনিট দীর্ঘ। তবে বিতর্কিত অংশটিতে ক্যামেরা জুম করা মুখে, অর্থাত্ সেটি নজরে আসবে না এই ভিডিয়োয়। এই নিয়েও সাইবারবাসীরা আক্রমণ শানিয়েছেন অভিনেতাকে। তাঁদের বক্তব্য- ‘ওতোই যখন ধোয়া তুলসীপাতা, তাহলে ওই সময় মুখটা জুম করা হল কেন?’
টলিউডের হাতে গোনা কিছু সেলেব অবশ্য ওই অভিনেতার পাশে দাঁড়িয়েছেন। প্রশ্ন উঠেছে, সৌরভের জন্মদিনের ভিডিওটি যখন তোলা হয় তখন পাশে তাঁর বাবাও ছিলেন, মেয়ের হেনস্থা দেখে বাবা কিছু বলেননি কেন? বোনই বা কোনও প্রতিবাদ করলেন না কেন? এছাড়াও সেখানে আরও অনেকেই ছিলেন, তাঁরা কি শুধুই ভিডিও করছিলেন? প্রতিবাদ কেন করেননি? এইরকম অনেক প্রশ্নই এসেছে সাধারণের তরফ থেকে!
এখন দেখার বিষয়, এতটা নিন্দা-সমালোচনার মধ্যে দিয়ে তাঁর রাজনীতি জীবনে প্রবেশ কতটা সুখের হয়। তাঁর দলই বা তাঁকে কী চোখে দেখে পরবর্তী সময়ে। সৌরভ নিজেই বা এ নিয়ে আর কিছু বলবেন বা করবেন কিনা, তা নিয়েও কৌতূহল রয়েছে জনমানসে।
আরও পড়ুন: IFFI-তে প্রদর্শিত হল ‘অভিযাত্রিক’, উৎসবে নজর কাড়লেন দিতিপ্রিয়া-অর্জুন