Site icon The News Nest

VIRAL VIDEO: IIT বোম্বেতে মোটিভেশনাল স্পিচ, দেব আনন্দকে নকল, সুশান্তকে ভুলতে নারাজ দেশবাসী

sushant in leather jacket

The News Nest: সুশান্ত সিং রাজপুত আমাদের ছেড়ে অকালে চলে গিয়েছেন ঠিকই,তবে তাঁর সুখস্মৃতি আঁকড়েই ভালো থাকবার চেষ্টায় রয়েছেন তাঁর ফ্যানেরা। সুশান্তের মৃত্যুর পর সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল তারকার একাধিক ভিডিয়ো,যার মধ্যে অন্যতম ছিছোড়ের মেক-আপ রুমের একটি মজাদার ভিডিয়ো। ছবির সেটে সহকর্মী ও সহ-অভিনেতাদের সঙ্গে দুষ্টুমি করতে কতখানি ভালোবাসতেন সুশান্ত তা ভালোই বুঝিয়ে দিচ্ছে এই ভিডিয়ো। 

পরিচালক নীতিশ তিওয়ারির ছিছোড়ে ছবিতে দুটি লুকে পাওয়া গিয়েছে সুশান্তকে। একটি লুকে কলেজ স্টুডেন্ট হিসাবে,অন্যটিতে একজন মাঝবয়স্ক ভদ্রলোক,এক কিশোরের পিতার ভূমিকায়।ছিছোড়ের মেক-আপ রুমের এই ভিডিয়োটি দেখেই বোঝা যাচ্ছে বয়স্ক লুকের জন্য তৈরি হচ্ছেন সুশান্ত। মেক-আপ আর্টিস্টরা ব্যস্ত হেয়ার মাস্ক তৈরিতে, পরচুলা পড়ানোর জন্য মাথায় আঠা লাগাচ্ছেন তাঁরা,অন্যদিকে সুশান্ত ব্যস্ত দেবানন্দকে নকল করতে। চেয়ারে বসে বসেই পল ভর কে লিয়ে কই হামে গানের স্টেপ অনুকরণ করতে দেখা গেল সুশান্তকে। দেবানন্দের জনি মেরা নাম ছবির গান এটি,গেয়েছিলেন কিশোর কুমার। সুশান্তের এই প্রণোচ্ছ্বল ভিডিয়ো দেখে মন কাঁদছে তাঁর ভক্তদের।

আরও পড়ুন: তোর বাড়ির নেমপ্লেটে এখনও সুশান্তের নাম…তোদের বিয়ে হলে এটা হত না! অঙ্কিতাকে খোলা চিঠি বন্ধু সন্দীপে

২০১৬ সালে আই আই টি বোম্বে-র একটি অনুষ্ঠানে কিছু বক্তব্য রেখেছিলেন সুশান্ত। সেই ভিডিয়োটিও উঠে এসেছে সোশ্যাল মিডিয়াতে। যেখানে নিজের সম্পর্কে নানান তথ্য আই আই টি-র ছাত্রছাত্রীদের সঙ্গে শেয়ার করতে দেখা যায় হাসিখুশি সুশান্তকে।

সুশান্তকে বলতে শোনা যায়, ”অর্থ আর পরিচিতিই সব সুখ দেয়, এই কথাটা বড় একটা মিথ্যা। আমি নিজেই মধ্যবিত্ত পরিবার থেকে উঠে আসা একজন ছেলে। যখন আমি বড় হয়ে উঠছিলাম, অর্থের একটা বড় ভূমিকা ছিল। আর তাছাড়া আমার পরিবারের তিন প্রজন্ম জানে না পরিচিতি, খ্যাতি বিষয়টা কী? যেটা আমি এখন জেনেছি। তাই আমি শুরুটা যখন করেছিলাম, তখন কিছুই ছিল না। আমি পরিবার বলেছিল, আমাকে ইঞ্জিনিয়ার হতে হবে। আর মেডিক্যাল নিয়ে পড়াশোনা করবে আমার দিদিরা। আমাকে বলা হয়েছিল, ইঞ্জিনিয়ারিং পড়া হলে সিভিল সার্ভিস দেবে, আর তখন থেকেই জীবনে সব সুখের রাস্তা খুলে যাবে। সেভাবেই শুরুটাও করেছিলাম, প্রচুর কোচিং, পড়াশোনা করি, শেষপর্যন্ত একাধিক ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে পড়ার সুযোগ পাই। শেষপর্যন্ত দিল্লি কলেজ অফ ইঞ্জিনিয়ারিং-এ ভর্তিও হয়ে যাই। ভাবছিলাম, আমি বোধহয় সাফল্যের খুব কাছাকাছি আছি। কিন্তু কোথাও গিয়ে নিঃশ্বাস বন্ধ হয়ে আসছিল। কোথাও গিয়ে আমি ঠিক সুখী ছিলাম, না, আমি আরও অন্যকিছু চাইছিলাম। এসবের মাঝে সিভিল সার্ভিসের জন্যও তৈরি হচ্ছিল, কিন্তু ঠিক ভালো লাগছিল না। তখন ভালো লাগানোর জন্য থিয়েটার করতে শুরু করি, নাচের ক্লাসে ভর্তি হই। এটা কিছুটা লজ্জা কাটানোর জন্যও করেছিলাম। এই থিয়েটার ও নাচ করতে আমার বেশ ভালো লাগতে শুরু করে। তখনই আমি সিনেমায় আসার কথা ভাবি। আর ইঞ্জিনিয়ারিং শেষ করার মাত্র দুটো সেমিস্টার যখন বাকি, আর ছেড়ে দি।”

এছাড়াও অভিনয় জীবনের শুরু, পরিচিতি পাওয়ার শুরু থেকে আরও নানান কথা শেয়ার করেন সুশান্ত। তবে শুধু আইআইটি বোম্বেতেই নয়, মুম্বইয়ের শৈলেশ জে মেহতা স্কুল অফ ম্যানেজমেন্ট-এর একটি অনুষ্ঠানেও ছাত্র-ছাত্রীদের সঙ্গে সুশান্ত সিং রাজপুতের একটি কথোপকথন অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল।

আরও পড়ুন: মুছে দিলেন ফেসবুকে লেখা খোলা চিঠি, ইনস্টা অ্যাকাউন্ট ডিলিট করলেন সুশান্তের দিদি শ্বেতা

Exit mobile version