Site icon The News Nest

এপ্রিল ফুল দিবসে করোনা নিয়ে ভুয়ো গুজব রটালে কঠিন শাস্তি, কেন্দ্রকে নির্দেশ সুপ্রিম কোর্টের

supreme court web

নয়াদিল্লি: করোনা নিয়ে গুজব ছড়ালে কড়া ব্যবস্থা নেবে দেশের শীর্ষ আদালত। আজ কেন্দ্রকে নোটিস দিয়ে এমনটাই জানাল সুপ্রিম কোর্ট। ইতিমধ্যেই সোশ্যাল মিডিয়ার ভুল তথ্য প্রচারের জেরে নানা সমস্যা দেখা দিয়েছে রাজ্যগুলিতে। তাই কড়া মনোভাব পোষণের নির্দেশ কেন্দ্রকে।

আরও পড়ুন: আতঙ্কের মধ্যেই সুখবর! সেরে উঠেছেন বাংলার ৩ করোনা রোগী, আজই ছুটি হতে পারে বেলেঘাটা ID থেকে

লকডাউন পরিস্থিতিতে সোশ্যাল মিডিয়ায় খুবই ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন সকলে। যোগাযোগের অন্যতম প্রধান মাধ্যমও হয়ে উঠেছে ফেসবুক, টুইটার, হোয়াটসঅ্যাপ। কিন্তু কিছু অসাধু মানুষের চক্রান্তে এই সোশ্যাল মিডিয়ায় ভুল তথ্য ছড়িয়ে পড়ছে দ্রুত। ফলে বাড়িতে বন্দিদশায় থেকে নাজেহাল হচ্ছেন মানুষ। আরা তারা এই সব ভুল তথ্যই বিশ্বাস করে ফেলছেন। তাই সোশ্যাল মিডিয়ায় যাতে ভুল খবর না ছড়ায় সেই বিষয়ে কেন্দ্রকে কড়া পদক্ষেপ নেওয়ার নির্দেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট। লকডাউনে সোশ্যাল মিডিয়ার ভূমিকা কী এই নিয়ে কেন্দ্রকে প্রশ্ন করে দেশের শীর্ষ আদালত। পাশাপাশি সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে মিথ্যে খবর রোধে কেন্দ্রকে সাংবাদিক সম্মেলন করে নিজেদের পদক্ষেপের কথা ঘোষণা করতে বলে দেশের শীর্ষ আদালত। কেউ যদি দেশের এই পরিস্থতি নিয়ে বা কেন্দ্রের নাম করে কোনও ভুল তথ্য প্রচার করে তাহলে তার বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশও দেয় সুপ্রিম কোর্ট। করোনা সংক্রান্ত কোনও কৌতুহল থাকলে জনসাধারণকে কেন্দ্রীয় সরকারের উল্লিখিত সাইটগুলিতে গিয়েও তথ্য জেনে নেওয়ার পরামর্শ দেয় দেশের শীর্ষ আদালত।

আরও পড়ুন: জেনারেল ওয়ার্ডে করোনা আক্রান্ত! ‘লক’ করা হতে পারে হাওড়া জেলা হাসপাতাল

অন্যদিকে, এপ্রিল ফুল দিবস উপলক্ষে করোনাভাইররাস সংক্রমণ নিয়ে ভুয়ো তথ্য প্রচার করা থেকে রাজ্যবাসীকে বিরত থাকার জন্য আবেদন জানালেন মহারাষ্ট্রের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অনিল দেশমুখ।মঙ্গলবার তিনি জানিয়েছেন, ‘আগামিকাল পয়লা এপ্রিল, অর্থাৎ এপ্রিল ফুল দিবস। বর্তমান পরিস্থিতিতে সবাইকে আর্জি জানাচ্ছি, দয়া করে গুজব ও ভুল তথ্য প্রচার করবেন না। যাঁরা তা সত্ত্বেও গুজব রটাবেন, তাঁদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

এ দিন মহারাষ্ট্রে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৪৮ জন। সংক্রমণে মৃত্যু হয়েছে ১০ জনের। Covid-19 এর অগ্রগতি রুখতে চেষ্টার ফাঁক রাখতে চাইছে না উদ্ধব ঠাকরের সরকার। এ দিকে সংকটের জেরে রাজ্যের রাজস্ব আদায়ে ঘাটতি দেখা দেওয়ায় মুখ্যমন্ত্রী-সহ নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি এবং সরকারি কর্মচারীদের মাতসিক বেতন ছাঁটাইয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য প্রশাসন।

আরও পড়ুন: করোনার জেরে মন্দার মুখে বিশ্ব, প্রভাব পড়বে না ভারত-চিনে, আশা রাষ্ট্রসংঘের

Exit mobile version