Site icon The News Nest

রাজ্যে বাড়ছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা, তার মধ্যেই চলছে রাজ্যপাল- মুখ্যমন্ত্রীর তরজা

244381 m j

কলকাতা: লকডাউন চললেও থামছে না রাজভবন-নবান্ন সংঘাত! করোনা মোকাবিলা ও লকডাউন কার্যকরে ‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রশাসন ও পুলিশ ব্যর্থ’ বলে টুইটারে তোপ দেগেছিলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। দাবি করেছিলেন, ‘কেন্দ্রীয় আধা সামরিক বাহিনীকে ব্যবহার করেই’ লকডাউন কার্যকর করা উচিত। বুধবার বিকেলে সাংবাদিক বৈঠকে নাম না করে রাজ্যপালকে জবাব দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।বলেছিলেন, ‘সাহায্যের হাত বাড়ানো দূর। কেউ কেউ কেন্দ্রীয় বাহিনী চাইছেন। কীসের জন্য চাইছেন?’ সেনার চিকিৎসকই যে করোনা-আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন, তা মনে করিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘কারোর সর্বনাশ চাই না। আমরা সবার ভালো চাই।’ সবার ‘শুভ বুদ্ধির’ আশা করেন মুখ্যমন্ত্রী।

আরও পড়ুন: দেশে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ছাড়াল ১২ হাজার, মৃত বেড়ে ৪১৪

মুখ্যমন্ত্রীর কথায়, “এটা একটা কঠিন সময়। এটা যেন সমষ্টিগতভাবে না বাড়ে, সেটা যেন সবাই একটু খেয়াল রাখি।” মুখ্যমন্ত্রীর এই কথার সমালোচনা করে বৃহস্পতিবার সকালে ফের টুইটে খোঁচা দেন রাজ্যপাল। তিনি বলেন, “আগে কাজ করুন, ব্যবস্থা নিন, পরে প্রতিক্রিয়া দেবেন।”

টুইটে রাজ্যপাল লেখেন, ‘করোনা মোকাবিলায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে পরামর্শ, কাজ করুন, প্রতিক্রিয়া নয়। এটা গঠনমূলক। সমালোচনার কোনও স্থান নেই। লকডাউন ভঙ্গকারী ও ব্যর্থ আধিকারিকদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার সময়। লকডাউন ২-এর নির্দেশিকা ১০০ শতাংশ ইতিবাচক প্রতিক্রিয়া পেয়েছে। আপনার ১০০ শতাংশ দিন।’

আরও পড়ুন: করোনা: কলকাতা-সহ রাজ্যের চার জেলা ‘হটস্পট’, ‘গ্রিন জোন’-এ ৭ জেলা

রাজ্যে করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা নিয়ে অভিযোগ তুলেছে বিরোধী শিবির বিশেষত বিজেপি। তাদের অভিযোগ, আক্রান্তের সংখ্যা ও মৃত্যুর ঘটনা গোপন করা হচ্ছে। এর জেরে আরও বিপজ্জনক পরিস্থিতির দিকে ঠেলে দেওয়া হচ্ছে।যদিও গত মাসেই করোনা প্রতিরোধে মুখ্যমন্ত্রীর ভূমিকা নিয়ে ইতিবাচক কথা বলেছিলেন রাজ্যপাল।

উল্লেখ্য, পশ্চিমবঙ্গে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ২৩১। সুস্থ হয়ে উঠেছেন ৪২ জন। মৃত্যু হয়েছে সাতজনের।

আরও পড়ুন: দেশে ১৭০ জেলা হটস্পট, রাজ্যের ১১ জেলায় করোনার দাপট

Exit mobile version