Site icon The News Nest

১২ লক্ষ প্রদীপে সেজেছিল অযোধ্যা, শেষে অবশিষ্ট তেল কুড়োচ্ছে আমজনতা!

oil

দিওয়ালির দিন রেকর্ড গড়ে গিনেস বুকে নাম তুলেছে উত্তরপ্রদেশের অন্যতম পর্যটন কেন্দ্র অযোধ্যা। প্রায় ৯ লক্ষেরও বেশি প্রদীপের আলো সাজিয়ে বিশ্বরেকর্ড গড়েছে অযোধ্য়া। গত ৩ নভেম্বর, উত্তর প্রদেশ সরকার ড. রাম মনোহর লোহিয়া অবধ বিশ্ববিদ্যালয়-সহ পর্যটন বিভাগ দীপোৎসব ২০২১-এর মধ্য দিয়ে বিশ্বরেকর্ডে গড়েছে। শো চলাকালীন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ, কেন্দ্রীয় পর্যটন ও সংস্কৃতি মন্ত্রী এবং ত্রিনিদাদ ও টোবাগো , ভিয়েতনাম ও কেনিয়ার রাষ্ট্রদূতরা উপস্থিত ছিলেন।

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi) আলোকজ্জ্বল অযোধ্যাকে দেখে উত্তরপ্রদেশের সরকারকে প্রশংসায় ভরিয়ে বলেছিলেন, অযোধ্যা তার হারানো দ্যুতি ফিরে পেয়েছে। কিন্তু প্রদীপের আলো নিবে যাওয়ার পর আলোর নিচে থাকা অন্ধকার যেন প্রকট হয়ে উঠল। শনিবার থেকে ইন্টারনেটে ছড়িয়ে পড়া এক ভিডিওয় দেখা গিয়েছে প্রদীপের অবশিষ্ট তেল সংগ্রহে নেমেছে নারী ও শিশুরা। সম্ভবত সেই তেল রান্নার কাজে লাগাতেই তারা নেমে পড়েছে রাস্তায়।

উত্তরপ্রদেশের এক অবসরপ্রাপ্ত আমলা সূর্যপ্রতাপ সিং ভিডিওটি টুইট করে লেখেন, দিওয়ালিতে এভাবে ১২ লক্ষ প্রদীপ জ্বালিয়ে যোগী (Yogi Adityanath) সরকার গরিবদের যেন ব্যঙ্গ করছে। পোস্টে তিনি লিখেছেন, ”১২ লক্ষ প্রদীপ জ্বালাতে ৩৬ হাজার লিটার সরষের তেল খরচ করেছে সরকার। এই রাজ্যের ৩০ শতাংশ মানুষ রোজ খেতে পান না। সরকার সেই গরিবদের যেন ব্যঙ্গ করল।” উল্লেখ্য, সূর্যপ্রতাপ উত্তরপ্রদেশের শিক্ষা দপ্তরের প্রধান সচিব ছিলেন। ২০১৫ সালে তিনি অবসর নেন।

ভিডিওয় দেখা গিয়েছে, হর কি পউরিতে সরযূ নদীর তীরে শিশুরা দল বেঁধে তেল তুলে বোতল ও পাত্রে ভরে নিচ্ছে। সেই দৃশ্য প্রসঙ্গে সূর্যপ্রতাপের দাবি, ওই তেল ভেজালও হতে পারে। তিনি সকলকে অনুরোধ করেছেন তেল কেনার আগে ভাল করে খতিয়ে দেখে নিতে। তাঁর কটাক্ষ, ”কে বলতে পারে এই তেল কেনার পিছনে কোনও ধরনের দুর্নীতি কাজ করছে না?” সেই সঙ্গে তিনি আবারও মনে করিয়ে দেন, ”রাজ্যের অর্ধেক শিশুরা দুধ খেতে পায় না। ৩০ শতাশ মানুষ দু’বেলা রুটি পান না।”

এই টুইটের কমেন্টে অনেকেই যোগী সরকারকে তোপ দেগেছে। এক টুইটেরাত্তির আবেদন, ”যোগীজি যদি প্রতিটি দরিদ্র পরিবারকে অর্ধেক লিটার তেলও দিতেন, তাঁরা দিওয়ালিতে সেই তেল দিয়ে ভাল খাবার রান্না করতে পারতেন। আশীর্বাদ করতেন যোগী আদিত্যনাথকে।”

Exit mobile version