Site icon The News Nest

Bengaluru: ছাত্রীদের ব্যাগে কন্ডোম-আইপিল, ছাত্রদের ব্যাগে মদের বোতল! লজ্জায় লাল শিক্ষকরা

Bengaluru

সম্প্রতি, কর্নাটকের প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্কুল কর্তৃপক্ষ বা ‘ক্যামস’, বেঙ্গালুরু (Bengaluru) শহরের কয়েকটি স্কুলে আচমকা ছাত্রছাত্রীদের ব্যাগে তল্লাশি চালায়। প্রাথমিকভাবে এই তল্লাশি অভিযান চালানো হয়েছিল তাদের ব্যাগে মোবাইল ফোন আছে কি না, তা দেখার জন্য। কিন্তু, কেঁচো খুঁড়তে গিয়ে বেরিয়ে আসে সাপ। অষ্টম, নবম, দশম শ্রেণির ছাত্রছাত্রীদের স্কুল ব্যাগ তল্লাশি করে চোখ ছানাবড়া প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্কুল কর্তৃপক্ষের। কন্ডোম, গর্ভনিরোধক বড়ি, সিগারেট, লাইটার, মদ – কী নেই তাদের ব্যাগে!

সূত্রের খবর, স্কুলে ছাত্রছাত্রীরা নিয়মিত মোবাইল নিয়ে যাচ্ছে বলে গত কয়েক দিন ধরেই অভিযোগ জমা পড়ছিল। তাই কর্নাটকের প্রাথমিক এবং মাধ্যমিক স্কুল কর্তৃপক্ষ সত্যিই মোবাইল নিয়ে স্কুলে যাওয়া হচ্ছে কি না, তা খতিয়ে দেখার পরিকল্পনা করেন। স্কুলে স্কুলে নির্দিষ্ট কর্মী পাঠানো হয়। তাঁরা ছাত্রছাত্রীদের ব্যাগ তল্লাশি করে দেখেন। ব্যাগ তল্লাশির কথা আগে থেকে কাউকে জানানো হয়নি। ফলে ছাত্ররাও আগে থেকে প্রস্তুত হয়ে আসার সুযোগ পায়নি।

আরও পড়ুন: 26/11 Mumbai Attack : নিহতদের শ্রর্দ্ধার্ঘ্য, সন্ত্রাস দমনে কড়া বার্তা জয়শঙ্করের

ক্যামস-এর সাধারণ সম্পাদক ডি শশীকুমার জানিয়েছেন, এক ছাত্রীর ব্যাগ থেকে ওরাল কন্ট্রাসেপটিভস (গর্ভনিরোধক বড়ি) পাওয়া গিয়েছে। এছাড়া, জলের বোতলে মদ নিয়ে আসতে দেখা গিয়েছে ছাত্রছাত্রীদের। দশম শ্রেণির আরেক ছাত্রীর ব্যাগে পাওয়া গিয়েছে কন্ডোম। কর্তৃপক্ষ তাকে চেপে ধরায় সে জানিয়েছে, তার স্কুলের কিংবা টিউশন পড়ার জায়গার সহপাঠীরা তার ব্যাগে কন্ডোম ঢুকিয়ে দিয়েছে। বেঙ্গালুরুর ৮০ শতাংশ স্কুলে এই অভিযান চালানো হয়েছে।

মূলত অষ্টম, নবম এবং দশম শ্রেণির ছাত্রছাত্রীদের ব্যাগ থেকেই এই ধরনের আপত্তিকর জিনিস পাওয়া গিয়েছে বলে খবর। স্কুলগুলির তরফে এর পর পদক্ষেপ করা হয়। কোনও কোনও স্কুল ছাত্রদের অভিভাবকদের ডেকে তাঁদের সঙ্গে কথাবার্তা বলে। তবে কোনও ছাত্র বা ছাত্রীকে স্কুল থেকে বরখাস্ত করা হয়নি। বরং তাঁদের ভবিষ্যৎ সম্পর্কে অভিভাবকদের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। বিপথগামী ছাত্রদের উন্নতির জন্য কাউন্সেলিংয়ের পরামর্শও দিয়েছেন কেউ কেউ।

আরও পড়ুন: Delhi Murder: বাবার কাটা মুণ্ড হাতে নিয়ে হাঁটছে ছেলে, হাড়হিম করা সিসিটিভি ফুটেজ পুলিশের হাতে

 

Exit mobile version