Site icon The News Nest

সীমান্ত থেকে কি সত্যিই সেনা সরাবে চিন? উদ্বেগ প্রকাশ বিদেশমন্ত্রীর

S jaishankar

গালোয়ানে ভারত-চিন রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের পর এক বছর কেটে গিয়েছে। ইতিমধ্যে লাদাখ সীমান্ত থেকে সেনা সরানোর বার্তা দিয়েছে বেজিং। কিন্তু প্রতিশ্রুতি দিলেও আদৌ কি সেনা সরাচ্ছে চিন? তা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করলেন বিদেশমন্ত্রী জয়শঙ্কর। সম্প্রতি কাতারে অনুষ্ঠিত ইকনমিক ফোরামে উপস্থত হয়ে এই মন্তব্য করেছেন বিদেশমন্ত্রী।

এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ‘দুই দেশই অধিক সংখ্যক মোতায়েন না করার লিখিত প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। কিন্তু চিন তাদের দেওয়া কথা রাখছে কি না, তা স্পষ্ট নয়। তিনি জানিয়েছেন, লাদাখের একেবারে কাছে এখনও সেনা মোতায়েন করে রেখেছে চিন। চিনের এই প্রবণতাই দুই দেশের সম্পর্কের মুখে একটা বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়াচ্ছে বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি।

লাদাখে শান্তি ফেরাতে সীমান্তে বাফার জোন তৈরি করা নিয়ে আলোচনা হয়েছিল ভারত ও চিনের মধ্যে। সেই বাফার জোন কোন এলাকাকে করা হবে তা নিয়েও চুপ চিন। উল্লেখ্য, বাফার জোনের মধ্যে থাকা এলাকাটিকে অলিখিত ভাবে দুই দেশই নিজেদের নিয়ন্ত্রণরেখা হিসেবে মেনে নেবে। তা সেই বিষয়েও আর কোনও অগ্রগতি দেখা যাচ্ছে না চিনের তরফে।

আরও পড়ুন: বারামুলায় রাতভর নিরাপত্তারক্ষী-সেনা সংঘর্ষ, হত লস্করের শীর্ষ জঙ্গি-সহ ৩

অন্য দিকে, চিন বুঝে গিয়েছে যে পাহাড়ে ভারতের সঙ্গে পেরে ওঠা কঠিন। এমনটাই মন্তব্য করলেন চিফ অফ ডিফেন্স স্টাফ জেনারেল বিপিন রাওয়াত। তাঁর দাবি, গালোয়ানে সংঘর্ষের পর চিন বুঝে গিয়েছে যে ওদের সেনাবাহিনীর আরও অনেক প্রস্তুতি ও ট্রেনিং দরকার।

এক সাক্ষাৎকারে বিপিন রাওয়াত বলেন, ‘চিনের সেনাবাহিনীর পাহাড়ে যুদ্ধের তেমন অভিজ্ঞতা নেই। ওদের সাধারণত কম সময়ের জন্য ওই সব অঞ্চলে আনা হয়।’ তিনি আরও বলেন, ‘গালোয়ানের সংঘর্ষের পর ভারতের সীমান্তে যুদ্ধ কৌশলে বদল এনেছে চিন। তাঁরা বুঝে গিয়ে্যচে যে তাঁদের আরও বেশি ট্রেনিং দরকার।’ বিপিন রাওয়াত উল্লেখ করেছেন, চিনের সেনা সাধারণত আসে সমতল এলাকা থেকে। তাই তাদের এই সব এলাকায় যুদ্ধ করার খুব বেশিদিনের অভিজ্ঞতা থাকে না।

আপাতত কার দাবি সঠিক আর কার দাবি ভুল সেই নিয়ে ধন্ধে আমজনতা।

আরও পড়ুন: ফের রক্তাক্ত কাশ্মীর! এবার জঙ্গিদের গুলিতে নিহত CID অফিসার, শুরু তদন্ত

Exit mobile version