কেন্দ্রের ২০২০-২১ সালের সুশাসনের সূচকে শীর্ষে রয়েছে গুজরাট, মহারাষ্ট্র এবং গোয়া। শনিবারই কেন্দ্রের তরফে এই সুশাসনের তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। তাতে কেন্দ্রশাসিক অঞ্চলগুলির মধ্যে শীর্ষে রয়েছে দিল্লি। সুশাসনের তালিকায় গুজরাটের সূচক ১২ শতাংশেরও বেশি বেড়েছে। গোয়ায় ২০১৯-২০ সালে সূচকের তুলনায় এই বছর প্রায় ২৫ শতাংশ বেড়েছে সুশাসনের সূচক।
উত্তর প্রদেশের পরিসংখ্যান বলছে, ২০১৯ সালের হিসেবের তুলনায় প্রায় ৯ শতাংশ বেড়েছে সূচক। এদিকে বাণিজ্য ও শিল্প ক্ষেত্রে শীর্ষস্থানে উঠে এসেছে উত্তর প্রদেশ। সুশাসনের জন্য সূচকের যে ১০ টি সেক্টরের কথা উল্লেখ করা হয়েছিল, তার মধ্যে অন্যতম ছিল বাণিজ্য ও শিল্প। আর সবথেকে নীচে পশ্চিমবঙ্গ। সুশাসনের প্রশ্নে বিহার, ঝাড়খণ্ডের মতো রাজ্যও পশ্চিমবঙ্গের থেকে ভাল ফল করেছে বলে ওই রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে। যদিও তৃণমূল কংগ্রেসের তরফে ওই রিপোর্টকে ‘মনগড়া’ বলা হয়েছে।
আরও পড়ুন: রাজস্থানে মোক্ষম ধাক্কা খেল বিজেপি, পঞ্চায়েত নির্বাচনে প্রায় দ্বিগুন আসন পেল বিরোধীরা
একের পর এক রাজ্যে গোহারা হয়েছে বিজেপি। বাংলায় তাদের অবস্থা দিন দিন করুণ আকার ধারণ করেছে। গোটা দেশে প্রভাব পড়েছে ৩৭০ ধারা বিলোপ, কৃষি আইন সংশোধন, নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন– সহ নানা সিদ্ধান্ত। তাতে দেশের সরকারের ভূমিকা নিয়েই প্রশ্ন উঠে গিয়েছে। সেখানে সুশাসন কোথায়? তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। অথচ অমিত শাহের কথায়, ‘নরেন্দ্র মোদী ও তার সরকার এমন কোনও সিদ্ধান্ত নেয়নি, যা জনতার চোখে ভাল ‘দেখায়’। বরং যা জনগণের জন্য ভাল, সেই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি।’
সংসদ থেকে উত্তরপ্রদেশ বারবার মোদী সরকারকে সমালোচনার মুখে পড়তে হয়েছে। ব্যাকফুটে যেতে হয়েছে কৃষি আইন নিয়ে। তারপরও সুশাসন রাজ্য কোনগুলি সেই তালিকা এই সরকারের পেশ করা মানায় কিনা তা নিয়ে প্রশ্ন তুলে দিয়েছে বিরোধীরা। এখন বিজেপি সূত্রে খবর, আগামী দিনে ওই আইন প্রত্যাহারকে দলীয় প্রচারের অভিমুখ করা হবে। যাতে উত্তরপ্রদেশ নির্বাচনে জেতা যায়।
আরও পড়ুন: নববর্ষের শুরুতেই টিকা ১৫-১৮ বছর বয়সিদের, ঘোষণা প্রধানমন্ত্রীর