Site icon The News Nest

Jammu and Kashmir: ভোটের কাশ্মীরে মন্দির উদ্বোধন শাহের, দিলেন পাক অধিকৃত শারদাপীঠ দর্শনের কথা

amit

শীঘ্রই নিয়ন্ত্রণরেখা পেরিয়ে পাক অধিকৃত কাশ্মীরে তীর্থ করতে যেতে পারবেন হিন্দুরাও! বুধবার পাক সীমান্তের গাঁ ঘেঁসে একটি হিন্দু মন্দিরের সূচনা করে এমনটাই ইঙ্গিত দিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। তিনি জানিয়েছেন, কেন্দ্র কর্তারপুর করিডরের ধাঁচে POK-তে সারদা পীঠ হিন্দুদের জন্য খুলে দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু করতে চাইছে।

আর কয়েক মাস পরেই জম্মু ও কাশ্মীরে বিধানসভা ভোট হওয়ার কথা। তার আগে বুধবার কূপওয়াড়া জেলার টিটওয়াল গ্রামে দেবী শারদার মন্দির ভিডিয়ো কনফারেন্সের মাধ্যমে উদ্বোধন করলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। স্বাধীনতার পরে এই প্রথম নিয়ন্ত্রণরেখার (এলওসি) গা-ঘেঁষে কোনও মন্দিরের উদ্বোধন করা হল।

পাক-অধিকৃত কাশ্মীরে মুজফফ্‌রাবাদ থেকে ১৬০ কিলোমিটার দূরে নীলম উপত্যকায় রয়েছে ১৮টি মহাশক্তি পীঠের একটি শারদাপীঠ এবং শারদা বিশ্ববিদ্যালয়ের ধ্বংসাবশেষ। ষষ্ঠ থেকে বারোশো শতকের মাঝে ভারতীয় উপমহাদেশে এটি ছিল অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ মন্দির বিশ্ববিদ্যালয়। নালন্দা-তক্ষশীলার থেকেও প্রাচীন ওই বিশ্ববিদ্যালয়টি পরবর্তী সময়ে বিদেশি হানাদারদের হামলায় ধ্বংস হয়ে যায়। পাক অধিকৃত কাশ্মীরের ওই মন্দিরের ধাঁচেই কাশ্মীরের কুপওয়ারা জেলার টিটওয়াল গ্রামে নিয়ন্ত্রণরেখা ঘেঁসে তৈরি হয়েছে নতুন শারদা মন্দির।

আরও পড়ুন:  Bengaluru Mysuru Expressway: ছ’দিন আগেই উদ্বোধন মোদীর, এক রাতের বৃষ্টিতেই ডুবল আট হাজার কোটির রাস্তা

মন্দির উদ্বোধনের পর শাহ জানান, পাক অধিকৃত কাশ্মীরে রয়েছে প্রাচীন শারদা মন্দির। সেখানে ভক্তদের যাতায়াতের সুযোগ করে দিতে ভবিষ্যতে কর্তারপুর করিডোরের ধাঁচে ‘পথ খোলার’ বিষয়টি কেন্দ্রের বিবেচনায় রয়েছে। যদিও এই কাজটি করতে হলে সরাসরি পাকিস্তান সরকারের সঙ্গে কথা বলতে হবে ভারতকে। কিন্তু বর্তমান রাজনৈতিক প্রেক্ষিতে সেটা কতটা সম্ভব, তা নিয়ে সংশয় রয়েছে।  প্রসঙ্গত, কর্তারপুরের ধাঁচে সীমান্তের ও পারে থাকা মূল শারদা মন্দির পর্যন্ত হিন্দুদের যাত্রার ব্যবস্থা করার জন্য দু’দেশের কাছে আর্জি জানিয়েছেন পিডিপি নেত্রী তথা জম্মু ও কাশ্মীরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মেহবুবা মুফতিও।

ভিডিয়ো কনফারেন্সের মাধ্যমে মন্দিরের উদ্বোধন করে শাহ বলেন, ‘‘৩৭০ অনুচ্ছেদ প্রত্যাহারের পরে কাশ্মীরের পরিস্থিতি যে শান্ত হয়েছে, তা সীমান্ত এলাকায় ওই মন্দির নির্মাণ থেকেই স্পষ্ট। কেবল হিন্দু মন্দিরই নয়, জঙ্গিরা বিভিন্ন সময়ে যে সুফি তীর্থস্থানগুলি ভেঙে দিয়েছে, সেগুলিও পুনরুদ্ধার করবে মোদী সরকার।’’

বিধানসভা ভোটকে ‘পাখির চোখ’ করেই নরেন্দ্র মোদী সরকারের এই পদক্ষেপ বলে মনে করছেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের একাংশ।  রাজনৈতিক মহলের ধারণা, শাহ নিজেও জানেন POK-তে হিন্দু তীর্থস্থান খোলার কাজটা বেশ কঠিন এবং ঝুঁকিপূর্ণ। কিন্তু সামনেই কাশ্মীরে নির্বাচন। আর তাতে মূলত হিন্দু ভোটারদের টার্গেট করেই এগোচ্ছে বিজেপি। শাহর এই প্রতিশ্রুতিও মূলত হিন্দু ভোটারদের সমর্থন পাওয়ার লক্ষ্যে বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।

আরও পড়ুন: Rahul Gandhi: সব মোদীই চোর! মন্তব্যের জেরে ২ বছরের জেলের সাজা রাহুল গান্ধীর

Exit mobile version